ঢাকা , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ , ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শোক সংবাদ ৫ বছর সরকারকে ক্ষমতায় রাখার বিষয়টি জনগণ বলছে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আনন্দ-গান-শোভাযাত্রায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন ভারত নেপাল ও ভুটান থেকে কিছু পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা রেলে ইঞ্জিন-কোচ সংকটে বন্ধ রয়েছে ৭৯টি ট্রেন ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ২ পার্বত্য চট্টগ্রামে পানির তীব্র সংকট পাহাড়ে জনজীবন বিপর্যয় প্লট দুর্নীতিতে শেখ হাসিনা-জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় সনদ শিগগিরই -আলী রীয়াজ আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক সয়াবিন তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক-জামায়াত সীমান্তে ২৩ লাখ টাকার হিরার নাকফুল ফেলে পলায়ন বেতন-বোনাস না দিয়ে কারখানা বন্ধ, শ্রমিকদের বিক্ষোভ সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ক্লাস বর্জন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা ১১৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবি দুই সপ্তাহের মধ্যে চালের দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে আসবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা বরিশালে আদালতে মামলা জট

টাইগারদের নিয়ে ভারতের ছেলেখেলা

  • আপলোড সময় : ১১-১০-২০২৪ ১২:২৫:৫০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-১০-২০২৪ ১২:২৫:৫০ পূর্বাহ্ন
টাইগারদের নিয়ে ভারতের ছেলেখেলা
স্পোর্টস ডেস্ক
আরও একটি টি-টোয়েন্টি, আরও একটি অসহায় আত্মসমর্পণ। দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে যেখানে রানবন্যার দেখা মেলে, ম্যাচের আগেও যেখানে রানের সমারোহ ছিল আলোচনার মুখ্য বিষয়, ভারতও যেটা করে দেখাল - সেখানেই বাংলাদেশ যেন ভিন্ন কোনো এক মাঠে খেলল। নিতিশ কুমার, রিঙ্কু সিং, হার্দিক পান্ডিয়াদের বেধড়ক পিটুনির জবাব বাংলাদেশ দিল সেই গড়পড়তা দলীয় সংগ্রহ দিয়ে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা তাই রীতিমত শাসন করেই নিশ্চিত করল সিরিজ জয়। ২০১৯ সালের পর থেকে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অপরাজিত থাকার ধারা তাই দাপটের সাথেই অব্যাহত রাখল ভারত। এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২১ রান করে ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান টিম ইন্ডিয়ার। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান করে ম্যাচ হারে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৭ উইকেটে হেরেছিলো বাংলাদেশ। টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে দিয়ে বোলিং ইনিংস শুরু করে সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। প্রথম ওভারে ৩টি চারে ১৫ রান দেন মিরাজ। দ্বিতীয় ওভারে পেসার তাসকিন আহমেদকে এনে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ভারতের ওপেনার সঞ্জু স্যামসনকে ১০ রানে বিদায় দেন তাসকিন। পরের ওভারে তানজিম হাসানও উইকেট তুলে নেন। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মাকে ১৫ রানে বোল্ড করেন তানজিম। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসে উইকেট শিকারের তালিকায় নাম তুলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে ৮ রানে থামিয়ে দেন ফিজ। পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। নবম ওভারে ভারতের চতুর্থ উইকেট পতনের সুযোগ তৈরি করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু স্পিনার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে আম্পায়ার্স কলে লেগ বিফোর থেকে বেঁচে যান নীতিশ কুমার রেড্ডি। জীবন পেয়ে রিঙ্কু সিংকে নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হন নীতিশ। স্পিনার রিশাদ হোসেনের ওভারে ৩টি ছক্কা ও ১টি চারে ২৪ রান তুলেন নীতিশ ও রিঙ্কু। ঐ ওভারেই ভারত ১’শ রান স্পর্শ করে। মারমুখী মেজাজ ধরে রেখে ২৭ বলে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন নীতিশ। ১৩তম ওভারে মিরাজের বলে তিনটি ছক্কা ও ১টি চারে ২৬ রান তুলে রিঙ্কুর সাথে জুটিতে ১’শ পূর্ণ করেন নীতিশ। ১৪তম ওভারে নীতিশ ও রিঙ্কুর ৪৯ বলে ১০৮ রানের বিধ্বংসী জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৪টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৭৪ রান করেন নীতিশ। এরপর ২৬ বলে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় অর্ধশতক করেন রিঙ্কু। হাফ-সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। তাসকিনের শিকার হন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৩ রান করা রিঙ্কু। ১৭তম ওভারে ১৮৫ রানে রিঙ্কু ফেরার পর ভারতকে ৯ উইকেটে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ এনে দেন হার্দিক পান্ডিয়া ও রিয়ান পরাগ। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথবারের মত ২শ রান করলো ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন দলের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান। সব মিলিয়ে ১৫টি ছক্কা মেরেছেন ভারতের ব্যাটাররা। পান্ডিয়া ২টি করে চার-ছক্কায় ১৯ বলে ৩২ এবং পরাগ ২টি ছক্কায় ৬ বলে ১৫ রান করেন। রিশাদ ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন। ভারতীয় ইনিংসের শেষ ওভারে ৮ রানে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। এছাড়া তাসকিন-মুস্তাফিজ ও তানজিম ২টি করে উইকেট নেন। সিরিজে সমতা ফেরাতে ২২২ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে সপ্তম ওভারে ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ১৬, লিটন দাস ১৪, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১১ এবং তাওহিদ হৃদয় ২ রানে আউট হন। পঞ্চম উইকেটে ২৭ বলে ৩৪ রানের জুটিতে দলের উইকেট পতন ঠেকান মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহ। ১টি চারে ১৬ রান করে মিরাজ ফেরার পর দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় টাইগাররা। জাকের আলি ১ ও রিশাদ হোসেন ৯ রানে বিদায় নিলে ৯৩ রানে সপ্তম উইকেট পতনে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। এক প্রান্ত আগলে বাংলাদেশের হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামা মাহমুদুল্লাহ। ১৯তম ওভারে নবম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ৩টি ছক্কায় ৩৯ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান করলে টেস্টের মত টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারও নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। নীতিশ ও বরুণ চক্রবর্তী ২টি করে উইকেট নেন। আগামীকাল হায়দারাবাদে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও ভারত।
স্কোর কার্ড :
ভারত : ২২১/৯, ২০ ওভার (নীতিশ ৭৪*, রিঙ্কু ৫৩, রিশাদ ৩/৫৫)।
বাংলাদেশ : ১৩৫/৯, ২০ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৪১, পারভেজ ১৬, বরুণ ২/১৯)।
ফল : ভারত ৮৬ রানে জয়ী।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য