ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
জরুরি অবস্থা ঘোষণায় মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে তারাকান্দায় ব্যক্তি মালিকানায় জমির উপর দিয়ে সরকারি রাস্তার প্রকল্প মামলা প্রত্যাহার না হলে বিএনপির সংবাদ বর্জনের হুঁশিয়ারি সংবাদিকদের সরকার সর্বক্ষেত্রেই ধারাবাহিক ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে যশোর ক্ষণিকা পিকনিক কর্নারে বছরে কোটি টাকা লুটপাট ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২০ দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে- আমীর খসরু অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে চার্জশিট যশোরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ আটক ৩ বাউল সংগীতে হৃদয় ছোঁয়া কণ্ঠস্বর রফিক সরকারের সার মজুতে বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি ভাঙনের কবলে উপকূলবাসী লাল চাঁদ হত্যার বিচারে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি- মির্জা ফখরুল শ্যামলীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই খুলে নিয়ে গেলো জামা-জুতাও অদৃশ্য শত্রু ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে- তারেক রহমান দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ডাকসুর প্যানেল নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর লুকোচুরি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জামায়াত আমিরের উদ্বেগ চোখে অশ্রু-কণ্ঠে একরাশ হতাশা

ডেঙ্গু সংক্রমণে অতি ঝুঁকিপূর্ণ চট্টগ্রামের সাত এলাকা

  • আপলোড সময় : ১০-১০-২০২৪ ০৩:৫০:২৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-১০-২০২৪ ০৩:৫০:২৯ অপরাহ্ন
ডেঙ্গু সংক্রমণে অতি ঝুঁকিপূর্ণ চট্টগ্রামের সাত এলাকা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামে প্রতিদিনই ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গু শনাক্তের দিক থেকে নগরীর সাতটি এলাকাকে ‘লাল বা অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ ছাড়া আরও ১৬টি এলাকাকে হলুদ, নীল ও সবুজ জোনে ভাগ করা হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে শনাক্ত হওয়া ৫১৫ জন ডেঙ্গুরোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে এ জরিপ তৈরি করা হয়েছে। তালিকাতে নগরীর ২৩টি এলাকাকে লাল, হলুদ, নীল ও সবুজ জোনে ভাগ করা হয়। লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলো হলো- কোতোয়ালী, বাকলিয়া, বায়েজিদ, বন্দর, পাহাড়তলী, খুলশী ও চকবাজার। হলুদ জোনের এলাকাগুলো হলো- পাঁচলাইশ, হালিশহর, পতেঙ্গা, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং। নীল জোনের এলাকাগুলো হলো- লালখানবাজার, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, আকবরশাহ, কাট্টলী, নাসিরাবাদ ও দামপাড়া। আর সবুজ জোনের এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- অক্সিজেন, সিটি গেট, চৌমুহনী ও সদরঘাট। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, গত ১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৫১৫ জন ডেঙ্গুরোগীর সর্বোচ্চ ১০৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোতোয়ালী থানা এলাকায়। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৩ জন বাকলিয়ায়, বায়েজিদ এলাকায় ৭৬ জন, বন্দরে ৩৩ জন, পাহাড়তলীতে ৩২ জন, খুলশীতে ২৩ জন এবং বন্দর এলাকায় ২০ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে সেপ্টেম্বরে। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে ‘হলুদ’ জোন হিসেবে চিহ্নিত পাঁচলাইশে আক্রান্ত হন ১৯ জন, হালিশহরে ১৮ জন, পতেঙ্গায় ১৫ জন, চান্দগাঁওয়ে ১১ জন এবং ডবলমুরিংয়ে আক্রান্ত হন ১০ জন। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে চট্টগ্রামে ২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫ জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন এবং বাকিরা নগরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নগরীতে এখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিভিন্ন জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমছে। বিশেষত ফুলের টব, ডাবের খোসা ও গাড়ির টায়ারসহ বিভিন্ন পরিত্যক্ত বস্তুতে পানি জমার কারণে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা প্রজননে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীও বাড়ছে। তিনি বলেন, সবাইকে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখাসহ কোথাও যেন তিনদিনের বেশি পানি না জমে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া রাতে ছাড়াও দিনের বেলায়ও মশারি টানাতে হবে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮৬৭ জন। যার মধ্যে ১১৫৩ জন নগরীর এবং ৭১৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ডেঙ্গুতে জেলায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬ জন। তাদের মধ্যে ১০ নারী, চার পুরুষ এবং দুজন শিশু রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ