ঢাকা , সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতি স্থবির হবে না-অর্থ উপদেষ্টা কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ঘরমুখো মানুষের ঢল শেরপুরে পাটচাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিরলে মতিউর রহমানের মডেল কৃষি বাড়ি দেখতে আসছেন অনেকে কলারোয়ায় তিন ‘স’ মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কুড়িগ্রামে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে জীবন্ত গরু-ছাগল সিরাজগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ঈদ উৎসবে জমজমাট ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৫২১ জন ক্রিমিয়া রেলসেতুতে ১১০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইরানের সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে দেশ ছেড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ৩৬ জনের মৃত্যু মার্কিন অভিনেতা জোনাথন জসকে গুলি করে হত্যা রোমান্টিক সময় কাটাচ্ছেন তাহসান-রোজা দম্পতি কাঁধে কাঁধ মেলালেন শাকিব-নিশো চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেলো তাণ্ডব ‘অপারেশন সিঁদুর’ কল্যাণ জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরুর!

জনপ্রতি ১৫ হাজারে ৩৭ রোহিঙ্গাকে দেশে ঢুকিয়েছে দালালচক্র

  • আপলোড সময় : ১০-১০-২০২৪ ১২:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-১০-২০২৪ ১২:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন
জনপ্রতি ১৫ হাজারে ৩৭ রোহিঙ্গাকে দেশে ঢুকিয়েছে দালালচক্র
মিয়ানমার থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুড়া এলাকায় তাদের আটক করা হয়। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২১ শিশু, ১২ নারী ও ৪ জন পুরুষ রয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ শামলাপুরে ফিশিং ট্রলার মাধ্যমে শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে স্থানীয়রা ৩৭ জনকে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। বাকি অন্তত ৬৩ জন পালিয়ে পাশের ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের বিষয় স্বীকার করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, দালালের মাধ্যমে নৌকায় মিয়ানমারের থেকে অনুপ্রবেশকালে স্থানীয়দের সহতায় ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গা রেজিয়া বেগম বলেন, আরাকান আর্মি আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিছে। তারা আমাদের ক্যাম্প তৈরি করতে বলছিল। আমাদের গ্রামে বিমান হামলা করে, এতে অনেকেই মারা যাচ্ছে। তাই প্রাণে বাঁচতে নাফ নদীর তীরে আসি। সেখানে একটা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করি। আমাদের প্রতিজনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে দালালরা। রোহিঙ্গা ফাতেমা বেগম (৫০) বলেন, আমাদের ওপর বেশি জুলুম-নির্যাতন করতাছে আরাকান আর্মি। আমাদের সামনে অনেক মানুষকে ড্রোন দিয়ে হত্যা করছে। টাকাপয়সা, গয়না কেড়ে নিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে নাফ নদী কিনারে গিয়ে কান্না করলে একটি নৌকা আমাদের তুলে নিয়ে বাংলাদেশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমহাদ হোসেন খোকন বলেন, দালাল চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে একটি রোহিঙ্গা নিয়ে আসে। পরে তাদের সমুদ্রের তীরে নামিয়ে দেয়। এদের মধ্য বেশির ভাগই শিশু। তাদের প্রাথমিকভাবে খাবার সহতায় দেওয়া হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স