ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ , ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শোক সংবাদ ৫ বছর সরকারকে ক্ষমতায় রাখার বিষয়টি জনগণ বলছে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আনন্দ-গান-শোভাযাত্রায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন ভারত নেপাল ও ভুটান থেকে কিছু পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা রেলে ইঞ্জিন-কোচ সংকটে বন্ধ রয়েছে ৭৯টি ট্রেন ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ২ পার্বত্য চট্টগ্রামে পানির তীব্র সংকট পাহাড়ে জনজীবন বিপর্যয় প্লট দুর্নীতিতে শেখ হাসিনা-জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় সনদ শিগগিরই -আলী রীয়াজ আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক সয়াবিন তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক-জামায়াত সীমান্তে ২৩ লাখ টাকার হিরার নাকফুল ফেলে পলায়ন বেতন-বোনাস না দিয়ে কারখানা বন্ধ, শ্রমিকদের বিক্ষোভ সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ক্লাস বর্জন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা ১১৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবি দুই সপ্তাহের মধ্যে চালের দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে আসবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা বরিশালে আদালতে মামলা জট

রাজধানীতে মন্দিরে হামলা ও জায়গা দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • আপলোড সময় : ১০-১০-২০২৪ ১২:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-১০-২০২৪ ১২:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন
রাজধানীতে মন্দিরে হামলা ও জায়গা দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পুরান ঢাকায় দুর্বৃত্তরা শ্রী শ্রী যূঁত মদন গোপাল জিউঁ বিগ্রহ ঠাকুর মন্দিরে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মন্দিরের জমির পরিমাণ ৫৩০ অযুতাংশ। মন্দিরের জমি দখল করে নেয়ার জন্য হামলা করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে এবং হার্ডডিক্স নিয়ে যায় যাতে কোন ফুটেজ না পাওয়া যায়। বিগ্রহের অলংকার ও পূজার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কার্তিক রায়ের বাসায় ভাংচুর করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় এবং কার্তিক রায়ের স্ত্রী শিল্পী রানি রায় এর উপর রড দিয়ে হামলা করে। সন্ত্রাসীদের হামলায় শিল্পী রানি রায় ও তার দুই মেয়ে মৌ রায় ও কণা রায় আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উক্ত ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার দাস এসব কথা বলেন।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার দাস গোবিন্দ বলেন, শ্রী শ্রী যুত মদন গোপাল জিউ বিগ্রহ ঠাকুর মন্দির, ৯৫/৯৬ ঋষিকেশ দাস রোড, সূত্রাপুর, ঢাকা-১১০০। প্রতিষ্ঠাতা-ললিতা বৈষ্ণবী, স্বামী-গঙ্গাচরণ দাস নিঃসন্তান দম্পতি। জমির পরিমাণ ৫৩০ অযুতাংশ। মন্দির প্রতিষ্ঠাকাল ২৭ শে আষাঢ় ১২৯০ বাংলা। সিএস পর্চায় জমির মালিক নিরূপমা দাস্যি ওরফে ললিতা বৈষ্ণবী, স্বামী-গঙ্গাচরণ দাস, যাহা লাখেরাজ সম্পত্তি। যে সম্পত্তির কোন কর হয় না, নিষ্কর সম্পত্তি। এই সম্পত্তি দেবোত্তর করে ভগবানকে উৎসর্গ করে নিজেই সেবাইত নিযুক্ত হন এবং তার মৃত্যুর পরবর্তীতে তিনি হরমোহন দাস-কে পরবর্তী সেবাইত নিযুক্ত করেন। গীতা রানী এই মন্দির এবং মন্দিরের বাড়ির কেহ না, তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা বলেছেন। এই বাড়ীতে তিনি কখনো থাকেননি। গীতা রানি বলেছেন তিনি এক মুসলিম পরিবারের সাথে থাকেন। সত্য হল এই, গীতা রানী মুসলিম পরিবারের সাথে থাকেন না। তিনি থাকেন এক মুসলিম লোকের সাথে, তার নাম সামছু এবং গীতা রানী তার পিসির বাড়ী ৫ কালিচরণ সাহা রোড, মিল ব্যারাক গেন্ডারিয়া থাকেন। অনেকদিন যাবত গীতা রানি সামছু নামের ভদ্রলোকের সাথেই থাকেন। ৯৫ নং ঋষিকেশ দাস রোডের দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর রশিদের কপিতে হরমোহন দাস সেবাইত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছেন। ২০১৩ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী গীতা রানী অবৈধভাবে মন্দির দখল নিতে আসলে এই মন্দিরে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সভাপতি শিবনাথ ঘোষ শিবু এবং গোবিন্দ এর নেতৃত্বে এলাকার সব হিন্দু এবং হিন্দু সংগঠন মিলে দখলদারদের হাত থেকে মন্দির উদ্ধার করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে মিস আপীল মামলা চলমান অবস্থায়। বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক, থানা পুলিশ কোন ভূমিকা নিচ্ছে না, সেনা টহলও নেই। সামগ্রিক অবস্থার বিচারে এই সুযোগে গীতা রানী, সামছু ও মান্নান গং-রা প্রায় ২০০/২৫০ জন লোকবল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গত ১২ই সেপ্টেম্বর বিকাল ৩.১৫ ঘটিকায় দ্বিতীয়বারের মতো মন্দিরে হামলা চালায়। প্রথমে সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে এবং হার্ডডিক্স নিয়ে যায় যাতে কোন ফুটেজ না পাওয়া যায়। বিগ্রহের অলংকার ও পূজার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কার্তিক রায়ের বাসায় ভাংচুর করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় এবং কার্তিক রায়ের স্ত্রী শিল্পী রানি রায় এর উপর রড দিয়ে হামলা চালিয়ে জখম করে, তার দুই মেয়ের গায়ে হাত দেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তারা মন্দিরের গেইটে এবং সমস্ত মন্দিরে ১৭টা তালা মেরে দেয়। মন্দির কমিটির সেক্রেটারী মনোজ কুমার দাস গোবিন্দ মন্দিরটি মেইনরোডে অবস্থিত হওয়ায় তার ডাকে এলাকাবাসী ও লোকজন জড়ো হয় এবং সকলে এগিয়ে আসে, হিন্দু সংগঠনগুলোও এগিয়ে আসে এবং থানায় যায়। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরে পুলিশ আসে পরে সেনাবাহিনী এসে তালা ভেঙ্গে মন্দির খুলে দেয়। উল্লেখ্য, সূত্রাপুর থানায় একাধিকবার মন্দির দখল ও হামলার অভিযোগ দিতে গেলে অফিসার ইনচার্জ নানারকম অজুহাত দিয়ে অভিযোগ গ্রহণ করেননি। শুধুমাত্র মিথ্যা আশ^াস দিয়ে যাচ্ছেন। এজাহার ও মামলা নিচ্ছে না। এমতাবস্থায় মন্দিরের নিয়মিত সেবাপূজা কার্যক্রম ব্যাঘাত ঘটছে এবং সকলে আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন পাশাপাশি তারা মন্দিরে যেন তাদের সেবাপূজা কার্যক্রম নিবিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন। প্রতিবাদ সমাবেশে মন্দির কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স