ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন ১৯ জনের মৃত্যু মহালছড়িতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ শ্রীপুরে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে থানার এএসআই ক্লোজড সাঘাটার ভূমিদস্যু সুইট ও সহযোগীদের শাস্তির দাবি ফুলবাড়ীতে প্রতিপক্ষের গাড়ি ভাঙচুর ও মারপিট ৩১ শয্যার হাসপাতালে ২২ পদ শূন্য, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেননি ডিসি আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা বান্দরবানে হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি আমতলীতে ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২জন স্টাফদের মধ্যে১৬ জনের শুন্যপদ থাকায় চিকিৎসাসেবা ঝুঁকে পরছে হেরা ফেরি ৩-তে ফিরছেন টাবু বাশার-তিশার নতুন রোমান্সের গল্প ‘বসন্ত বৌরি’ ওজন কমাতে সার্জারি, প্রাণ গেল মেক্সিকান ইনফ্লুয়েন্সারের ‘স্কুইড গেম’ অভিনেত্রী লি জু-শিল আর নেই বিচ্ছেদের পর ফের নতুন প্রেম খুঁজছেন মালাইকা অরোরা? দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘বলী’ আসছে ৭ ফেব্রুয়ারি হামলার পর প্রথমবার জনসমক্ষে সাইফ আলী খান অবশেষে প্রকাশ্যে এলো চিত্রনায়িকা পপির স্বামী-সন্তানসহ ছবি

নতুন প্লাবিত ১০ ইউনিয়ন দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট

  • আপলোড সময় : ০৯-১০-২০২৪ ০১:০১:১১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-১০-২০২৪ ০১:০১:১১ পূর্বাহ্ন
নতুন প্লাবিত ১০ ইউনিয়ন দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট নেত্রকোণায় টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে জেলার সদর, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা,পূর্বধলা, বারহাট্টায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন প্রায় এক লাখ পানিবন্দি মানুষ। মানুষের খাবারের পাশাপাশি গো খাদ্য সংকট, বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে। জেলার অনেক জায়গায় আমন ও শাক-সবজি খেত তলিয়ে গেছে। এতে করে কৃষকেরা পড়েছেন বিপাকে। ছবিটি মঙ্গলবার তোলা

ময়মনসিংহে অপরিবর্তিত নেত্রকোণায় অবনতি শেরপুরে মৃত্যু ৯
* হালুয়াঘাটে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ধারা, ধূরাইল, নড়াইল, সাখুয়াই, আমতৈল ও বিলডোরাসহ মোট ৬টি ইউনিয়নে।
* ধোবাউরা উপজেলা সদর, গোয়াতলা, পোড়াকানদলিয়া ও বাগবেড়সহ ৪টি ইউনিয়নের বহু পরিবার এখনও পানিবন্দি রয়েছে।


অতি ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় নেত্রকাণার পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্বিত রয়েছে। তবে শেরপুরের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বাড়ছে ফুলপুর উপজেলার পানি।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রাস্তার ধারে খেলার সময় বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর প্রাণ হারিয়েছে? জেলায় এ নিয়ে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে ময়মনসিংহ ও শেরপুরে। অন্যদিকে নেত্রকোণায় পাহাড়ি ঢলের কারণে এখনও পানি বেড়েই চলেছে। দুর্গত এলাকায় পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
ভারত থেকে নেমে আসা ঢল আর কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই উপজেলার পর জেলার ফুলপুর উপজেলাতেও বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সংকট দেখা দিয়েছে খাবার পানির। ধোবাউড়ায় গত কয়েকদিন একটানা পানি বাড়লেও বৃষ্টি না থাকায় বর্তমানে কিছু এলাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও পানি কমতে শুরু করেছে। একই অবস্থা হালুয়াঘাট ও ফুলপুর উপজেলায়। পানিতে বহু মানুষ ঘরবন্দি থাকায় অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ধোবাউড়ায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার দিনভর বৃষ্টি চলে। টানা বর্ষণে ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা, ঘোষগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে নেতাই নদের বাঁধ ভেঙে এবং পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রায় চল্লিশটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপর বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় সোমবার সকাল থেকে পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা, ঘোষগাঁও ইউনিয়নের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও চারটি ইউনিয়নে পানি অপরিবর্তিত অবস্থায় আছে।
এদিকে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকা থেকে মালিঝি নদী হয়ে পানি হালুয়াঘাটে প্রবেশ করে। পানি ঢুকে প্লাবিত হয় উপজেলার কৈচাপুর, নড়াইল, জুগলী ও ধুরাইল ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়ক, হালুয়াঘাট থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদ, খাদ্য গুদাম, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনের অংশ, জয়িতা প্রাঙ্গণসহ পৌরশহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
হালুয়াঘাট সাখুয়াই গ্রামের আজিজুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন এই ইউনিয়নে পানি কম থাকলেও নিচু এলাকা হওয়ায় এখন পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ঘরের ভেতরে পানি ডুকে পড়েছে। সাপ-বিচ্ছুর ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারছে না মানুষ। রান্না করে খাবার খাওয়ার মতোও অবস্থা নেই। খুব কষ্টে আছে সবাই।
ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নটি রবিবার থেকে প্লাবিত হয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল হাই নামে এক কৃষক বলেন, ৫০ শতাংশ জমিতে সবজির চাষ করেছি। ইতোমধ্যে পুরো জমি প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকায় থাকা বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। যাদের ঘরবাড়ির ভেতরে এখনও পানি প্রবেশ করেনি, তারা অপেক্ষা করছেন। কারণ, মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত পানি বাড়েনি।
হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদুল আহমেদ জানান, হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ভূবনকূড়া, জুবলী, কৈচাপুর, সদর, গাজীরভিটা ও পৌর এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ধারা, ধূরাইল, নড়াইল, সাখুয়াই, আমতৈল ও বিলডোরাসহ মোট ৬টি ইউনিয়নে।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন জানান, এই উপজেলার মোট ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে গামারীতলা, ঘোঁষগাঁও ও দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে পানি কমেছে। তবে এই উপজেলা সদর, গোয়াতলা, পোড়াকানদলিয়া ও বাগবেড়সহ ৪টি ইউনিয়নের বহু পরিবার এখনও পানিবন্দি রয়েছে।
ফুলপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম আরিফুল ইসলাম জানান, সিংহেশ্বর, ছনধরা ও সদর ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি ভাটির দিকে নেমে আসায় বর্তমানে ফুলপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় পানিবন্দিদের উদ্ধার কাজের পাশাপাশি চলছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। এসব এলাকায় ইতিমধ্যে ৬৩ মেক্ট্রিক টন চাল,৭ লাখ নগদ টাকা এবং দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স