ঢাকা , বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ , ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সামগ্রিক শুল্ক কাঠামো হ্রাস পেতে পারে-এনবিআর বেতন-ভাতা নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষের শঙ্কা সুনামগঞ্জে ১০৬ নদী মরতে বসেছে জুলাই যোদ্ধারা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হচ্ছে আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ ৬ জন গ্রেফতার ঈদে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত রাখতে নির্দেশনা অধিদফতরের বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় তিন মিনিটে যমুনা পার মুক্তি পেলো ‘জ্বীন ৩’ ছবির গান ‘কন্যা ‘ট্রেডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার’ জয়া ঈদে পর্দায় দেখা যাবে অপূর্ব-নীহা জুটি এবার ভিলেন রূপে দেখা যাবে শাহরুখকে করণের কটাক্ষের জবাবে দিলেন কার্তিক যে কারণে কেঁদে বুক ভাসালেন আমিরকন্যা সংকটে দুর্বল ব্যাংক মারা গেছেন অভিনেত্রী এমিলি দ্যকেন বক্স অফিসে নতুন রেকর্ড গড়লো ‘নে ঝা ২’ জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীতে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল দুর্ঘটনা ও অপরাধ সংঘটনে বেশি দায়ী মোটরসাইকেল

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টি ফের প্লাবিত ৪ জেলা

  • আপলোড সময় : ০৬-১০-২০২৪ ১০:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-১০-২০২৪ ১০:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন
পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টি ফের প্লাবিত ৪ জেলা টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের তিনটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত দেড়শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানিতে সড়ক ভেঙে ঢাকার সঙ্গে শেরপুর হয়ে নালিতাবাড়ীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর উপর দিয়ে যাওয়া মহারশি ও ভোগাই নদীর অন্তত ১০ জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তলিয়ে গেছে গ্রামের রাস্তাঘাট ও আবাদি জমি। ছবিটি শনিবার তোলা
*পাহাড়ি ঢলে ৩ জনের মৃত্যু
*বহু গ্রাম পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত
*তলিয়ে গেছে মাছের খামার
*নষ্ট হয়েছে জমির ফসল

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলার নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বহু গ্রাম পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের খামার ও হাজার হাজার একর জমির ফসল। পাহাড়ি ঢলে ও আকস্মিক বন্যায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। 
জানা গেছে, দেশের ভেতরে ও তৎসংলগ্ন ভারতের রাজ্যগুলোয় অতিভারী বৃষ্টিতে ভোগাই, কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরীর পানি কুল ছাপিয়ে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এতে ময়মনসিংহ বিভাগে সবকটি জেলার নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি, যা সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্তার হচ্ছে। গতকাল শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন তথ্য জানিয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, সোমেশ্বরী, জিঞ্জিরাম ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে ভোগাই নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে শেরপুর জেলার ভোগাই নদী নাকুয়াগাঁও ও জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাসমুহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভোগাই-কংস, জিঞ্জিরাম ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানির সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভুগাই-কংস ও জিঞ্জিরাম নদী তীরবর্তী শেরপুর, জামালপুর, ও ময়মনসিংহ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং নেত্রকোণা জেলার কংস নদের পানির সমতল বিপদসীমা অতিক্রম করে কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে? পরবর্তী ২ দিনে নদী সমূহের পানির সমতল হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুইদিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী একদিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
সিলেট বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ সারিগোয়াইন ও যাদুকাটা নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে মনু, খোয়াই ও ধলাই নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, পরবর্তী একদিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তি একদিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, সাঙ্গু, মুহুরি, হালদা, ফেনী ও মাতামুহুরি নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ২ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগের এই সকল নদীসমুহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তি একদিন এই সকল নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজমান রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিকের থেকে অধিক উচ্চতার জোয়ার এবং কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) পরিলক্ষিত হতে পারে।
রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৫ দিন পর্যন্ত নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে, পরবর্তী ২ দিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তী দুদিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানির সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তি একদিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তি একদিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
অপরদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুদিন ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে, তবে এ সময়ে নদীসমূহ বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রাজশাহী, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী দুদিন পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ-আপার আত্রাই, আপার করতোয়া, পূনর্ভবা, ঘাঘট, ইছামতি-যমুনা, টাঙন ও যমুনেশ্বরী নদী সমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তি ১ দিন নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
ঢাকা জেলা এবং এর নিকটবর্তী প্রধান নদীসমূহ-বুড়িগঙ্গা, টঙ্গী খাল, তুরাগ ও বালু নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী দুদিন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ৩ দিন পর্যন্ত এসকল নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় কমপক্ষে ১১৩টি গ্রাম এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ৫০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় এক নারীর মরদেহের সঙ্গে ভেসে এসেছে তার শিশু সন্তান। তবে মা-শিশুর পরিচয় জানা যায়নি। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাঘবেড় এলাকায় মায়ের সঙ্গে ভেসে আসে শিশুটি। পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের মহারশি, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বাড়তে থাকে, যা পরবর্তীতে বন্যার সৃষ্টি করে। বন্যা থেকে বাঁচতে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় তলিয়ে গেছে এসব অঞ্চলের ফসলি জমি, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। জলবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবারের মানুষ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদী দুটির বাঁধ ভেঙে জল উপচে পড়ছে। পানির তোড়ে প্লাবিত হয়েছে পোড়াগাঁও, নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবেড় ইউনিয়নসহ পৌরসভার গড়কান্দা ও নিচপাড়া এলাকা। চেল্লাখালী নদীর জলে তলিয়ে গেছে নন্নী-আমবাগান সড়ক, নন্নী-মধুটিলা ইকোপার্ক সড়ক, আমবাগান-বাতকুচি সড়ক।
ঝিনাইগাতীতে উপজেলা পরিষদ চত্বর, সদর বাজারসহ ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত শুক্রবার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর জল অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ জলবন্দী হয়ে পড়ে। শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তঘেষা রানীশিমুল ও সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ জলবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেক সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। আমনের খেত নিমজ্জিত। এলাকাগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও নেই।
ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, দিনভর টানা বৃষ্টি চলছে। কালিকাবাড়ি, পঞ্চনন্দপুর, সেহাগীপাড়া, মন্দিরঘোনাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে। সাধারণ মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনও সহায়তা পাওয়া যায়নি।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন জানান, ধোবাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম এখন বন্যাকবলিত। বাড়িঘরে পানি ওঠে যাওয়ায় স্কুলসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছেন মানুষ। পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ৮০ হাজার মানুষ ।
এদিকে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ আলী জানান, উপজেলার বারোটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম বন্যাকবলিত। বন্যায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তারা এখন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছেন। বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে প্রশাসনসহ স্থানীয় নেতারা দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান তিনি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন জানান, হঠাৎ ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাইড়া উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়ে সাধারণ মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। দুই উপজেলার বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যের জন্য সরকারিভাবে ১০ মেট্রিক টন করে ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। পরে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে সরকারি ত্রাণ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স