টঙ্গী প্রতিনিধি
গাজীপুরে ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় বিপাকে পড়েছেন বাদী। ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়াসহ হামলার স্বীকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ধর্ষন মামলার আসামি নাসির ও আজিজের বিরুদ্ধে। এঘটনায় মামলার বাদী আসামীদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ৯টার দিকে স্থানীয় চেরাগআলী এলাকায় হামলার স্বীকার হন ভুক্তভোগী। হামলার ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাজনিতায় ভুগছেন অসহায় নারী। ন্যায় বিচারের আশায় ঘুরছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সমাজ প্রতিদের দ্বারে দ্বারে। এ মামলার আসামী নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার চরকাকড়া গ্রামের মৃত-আবুল কালামের ছেলে নাসির ওরফে মিজানুর রহমান (মেসিয়ার নাসির) ও ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার দিঘলবাগ গ্রামের মৃত-সাহেদ আলীর ছেলে আজিজুল হক ওরফে লুচ্ছা আজিজ তাদের বিরুদ্ধে দেয়া ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে।
মামলার বাদী উপায়ন্তর না পেয়ে এই প্রতিবেদককে জানান, আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে গত ১৮ মে ২০২৩ইং গাজীপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করি যাহার মামলা (নং-১২৫/২৩) এরপর থেকে আসামীদ্বয় আমাকে প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামী নাসির ও আজিজুল হক সহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার প্রমান পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এরপর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এবিষয়ে গত ১৮/০৬/২০২৪ ইং তারিখে গাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় যাহার (নং-১০২৫) এরি ধারাবাহিকতায় গত ৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে স্থানীয় চেরাগআলী এলাকায় আমাকে একা পেয়ে আসামীরা আমার গতিরোধ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ সহ মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। আমি মামলা তুলে নিতে রাজি না হলে নাসির ও আজিজ আমার উপর হামলা চালায় এতে আমি রক্তাক্ত জখম হই। এসময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে নাসিরকে ধরে গণধোলাই দেয়। তার সহযোগী আজিজ ও মাহবুব ভোঁ-দৌড় দিয়ে পালিয়ে রক্ষা পায়। এসময় স্থানীয়রা আমাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসক আমার আঘাত প্রাপ্ত মাথায় রক্ত বন্ধ করা সহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরমর্শ দেয়। আমি নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতালে ভর্তি না থেকে চিকিৎসা নিয়ে আমার আত্মীয়দের সহযোগিতায় বাসায় গিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাই। এঘটনার পর টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি লিখত অভিযোগ করি। হামলার ঘটনার পর আসামিরা মামলা থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন লোক মারফত আপোষ মিমাংসা করার জন্য চেষ্টা চালায়। আপোষ মিমাংসায় রাজি না হলে আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরো বলেন তাদের অব্যাহত হুমকি-ধমকিতে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমি অসহায় একজন গার্মেন্ট শ্রমিক হিসেবে অভিযুক্তদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, র্যাবের মহাপরিচালক ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
