ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকার সংস্কার কমিশন করলেও নদীর ক্ষেত্রে প্রতিফলন নেই-আনু মুহাম্মদ বাড্ডায় কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহত ১ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল খরচেও কমানো যাচ্ছে না নানামুখী আতঙ্ক রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা সেই শিশু আছিয়া না ফেরার দেশে ধর্ষণে আতঙ্ক -উদ্বেগ ভারতকে অযাচিত বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বলল ঢাকা প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে যাচ্ছেন ২৬ মার্চ সালমান এফ রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা খরায় পুড়ছে চা-বাগান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু একরাতে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা এলাকায় আতঙ্ক স্বাভাবিক নিত্যপণ্যের বাজার, সংকট সয়াবিনে মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ ছেঁউড়িয়ায় শুরু লালন স্মরণোৎসব দোহাজারীতে বাসচাপায় ৩ জন নিহত হেনস্তার পর ছাত্রীকে ফেলে দিলো দুর্বৃত্তরা ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ভ্যাট দেয় না বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরনের কাপড় টিভি ফ্রিজ খাট টাকা সব পুড়ে শেষ বস্তিতে আগুন

১৪ দল এখন বুড়ো জোটে পরিণত হয়েছে

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৪ ১২:১১:৪২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৪ ১২:১১:৪২ পূর্বাহ্ন
১৪ দল এখন বুড়ো জোটে পরিণত হয়েছে ১৪ দল
১৪ দল এখন বুড়ো জোটে পরিণত হয়েছে যা কার্যত খুঁড়িয়ে চলছেআওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ২০ বছর (২০০৪-২০২৪) ধরে সক্রিয় থাকলেও পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই জোটের ভবিষ্যৎ কী, সেই প্রশ্ন ঘুরছে শরিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যেএ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কোনও মন্তব্য না করলেও ভেতরে-ভেতরে আছে ক্ষোভ, হতাশাজোটগত রাজনৈতিক তৎপরতা হ্রাস পাওয়ায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে শরিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব বেড়েছেএই জোটের সক্রিয়তা এবং অর্জন কমতে থাকলেও ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীয়তার আবেদন ফুরায়নি বলে মনে করেন শরিক নেতারাতারা বলছেন, যা-ই হোক, জোট এখনও আছে, আগামীতেও থাকবেতবে তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন একাই একশ’, কার্যত তারা দেশের রাজনীতিতে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তারকারীদলে পরিণত হয়েছেএরকম ধারণা পোষণ করছেন ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারাতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের একলা চলোনীতির কারণে জোটের আগের মতো আর জোট নেইএ নিয়ে শরিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের মাঝে বিস্তর ক্ষোভ থাকলেও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছেন নাতারা মনে করছেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বাস্তবতায় মুখ খুলে কোনও লাভ হবে না, বরং ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি
একান্ত আলাপচারিতায় ১৪ দলের অন্তত পাঁচটি দলের আট নেতার ভাষ্য, ১৪ দল এখন ২০ বছরের (২০০৪-২০২৪) বুড়ো জোটে পরিণত হয়েছে, যা কার্যত খুঁড়িয়ে চলছেনতুন নির্বাচনি বাস্তবতায় জোট-মহাজোটের রাজনীতির প্রভাব কমে আসছেফলে কাগজে-কলমে ১৪ দলীয় জোট থাকলেও আগের মতো আর জোট নেই২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে ১৪ দলের সক্রিয়তা ক্রমে চক্রবৃদ্ধি হারে কমেছেশরিক দলগুলো এই বাস্তবতা ও পরিস্থিতি বুঝতে পারছে বলেই অনেকটা চুপ হয়ে গেছেজোটের রাজনীতি রেখে দলীয় রাজনীতি করছে দলগুলোকেউ কেউ এর মধ্যেই যেভাবে পারছে সুবিধা নিচ্ছে
১৪ দলের নেতাদের পর্যবেক্ষণ বিএনপি তাদের পুরনো ২০ দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা নতুন জোট গঠন করে রাজপথে নামলে আওয়ামী লীগও আবার ১৪ দলীয় জোট বা মহাজোট সক্রিয় করবেএর বাইরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যে যুগপৎ আন্দোলন করছে, তা দানা বাঁধলেও ১৪ দলের তৎপরতা দৃশ্যমান করতে পারে আওয়ামী লীগঅর্থাৎ, ১৪ দলীয় জোট থাকা না থাকা অথবা সক্রিয় করা না করার বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতি ও আওয়ামী লীগের ওপরতবে ১৪ দলীয় জোট টিকে থাকলেও কিংবা সক্রিয় হলেও আগের যৌবনআর কখনও ফিরবে না বলে মনে করেন তারা
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৪ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া গনমাধ্যমকে বলেন, ১৪ দলের বৈঠক হয় না অনেক দিনকবে হবে তাও জানি না, আওয়ামী লীগ জানেজোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ না পেলে তো মিটিং ডাকেন নাআগে কথা বলতাম, তখন ১৪ দলের ফাংশনিং ছিলতখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী কথা বলতাম, সমালোচনা করতামএখন ১৪ দলের গুরুত্ব মনে হয় আওয়ামী লীগ ফিল করছে না১৪ দল আরও সক্রিয় হলেও আগের অবস্থা আর ফিরবে না
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে ২০০৪ সাল থেকে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামে ১৪ দলীয় জোটসে সময় মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক আদর্শের ভিত্তিতে গড়া এই জোটকে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি করে ১৪ দলপরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে মিলে মহাজোট গড়ে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগমহাজোট সরকারের সময় ১০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ১৪ দলের কর্মসূটি কমে আসলেও ধারাবাহিকতা ছিলজাতীয় পার্টির (জাপা) পাশাপাশি ১৪ দলের শরিক তিনটি দলের তিন জন মন্ত্রী হয়েছেনতারা হলেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের হাসানুল হক ইনু ও সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া

জাতীয় পার্টি-জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, একভাবে দেখলে ১৪ দলীয় জোট এখন নিষ্ক্রিয় বলা যায়জোটের নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ নিজেদের নিয়েই ব্যস্তসে কারণে জোটগতভাবে কোনও বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে নাতাই আমরাও অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে আছিএখন ১৪ দলকে সক্রিয় করবে কি করবে না, সেটা আওয়ামী লীগের ওপর নির্ভর করছে
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ১৪ দলীয় জোটের সক্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে থাকেওই সময়ে জোটের তিন জন শরিক নেতা মন্ত্রিসভায় স্থান পানতারা হলেনওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জুতবে আওয়ামী লীগ আবার ১৪ দলের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিয়ে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেওই সরকারে ১৪ দলের কোনও শরিক নেতা মন্ত্রিত্ব পাননিজাতীয় পার্টিকেও মন্ত্রিসভার বাইরে রাখা হয়বিরোধী দলের ভূমিকায় যায় জাপা
সবশেষ গত ৫ বছরে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক হয়েছে দেড় ডজনের মতোএসব বৈঠকের সিংহভাগই হয়েছে জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বাসায়সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে কয়েকটি সমাবেশ হয় ১৪ দলের ব্যানারেআর ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে-পরে জোট নেতাদের সঙ্গে চারটি হয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গেতবে গত নির্বাচনের পর ১৪ দলের জোটগত কর্মসূচি নেই এখন পর্যন্ত, এমনকি বৈঠকও হয়নি সেভাবে
জোটের আরেক শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, নেত্রী বলে দিয়েছেন, ১৪ দলীয় জোট আছে, থাকবেআদর্শিক কারণে ১৪ দল আমরা একই আছিজনগণের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বা ১৪ দলের পক্ষ থেকে আরও জোড়ালোভাবে অবস্থান নেওয়া দরকারশুধু চুপ করে বসে থাকা না, কর্মসূচি নেওয়া দরকারআমরা আগেও ন্যায্য কথা বলেছি, যেটা অন্যায্য সেটার সমালোচনা করেছি, এখনও বলছি এবং করছিলুটপাট-দুর্নীতি, ব্যাংক ডাকাতিসহ এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও আমাদের কথা বলতে হবে

অপর দিকে, ১৪ দলের শরিক দল থেকে নবম জাতীয় নির্বাচনে (২০০৮) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চার জন, দশম সংসদে (২০২৪) সংরক্ষিত দুই জনসহ ১৩ জন, একাদশ সংসদে (২০১৮) আট জন, দ্বাদশ সংসদে (২০২৪) যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র দুই জনেএ ছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকদের ১৬টি আসনে আওয়ামী লীগ ছাড় দিলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয় ছয়টিতবে আওয়ামী লীগের ছাড় দেওয়া আসনগুলোতে দুটি ছাড়া বাকিগুলোতে দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন শরিক দলের প্রার্থীরাএমন ফলাফলের আশঙ্কায় ভোটের আগেই ছাড় দেওয়া আসনগুলো থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগকে অনুরোধ করলে সাড়া মেলেনি
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, ১৪ দলীয় জোট অবশ্যই আছে১৪ দলীয় জোট একটি আদর্শিক জোটপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় আমাদের সমন্বয়ে এই জোট প্রতিষ্ঠিত হয়যতক্ষণ ১৪ দলীয় জোট নেত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজন মনে করবেন ততক্ষণ ১৪ দলীয় জোট থাকবে, না চাইলে থাকবে নাএই ব্যাপারে অন্য কোনও নেতার কোনও কথাই গ্রহণযোগ্য হবে নাআমি মনে করি, ১৪ দলীয় জোটের এখনও প্রয়োজনিয়তা আছেবৈশ্বিক অবস্থান এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৪ দলীয় জোটের কোনও বিকল্প নেই
তিনি আরও বলেন, ১৪ দলীয় জোট নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নিচ্ছে বিরোধীরাসরকারি দলের লোকজন জোটকে সক্রিয় করছে নাএই অবস্থার পেছনে শরিক দলগুলোর মাঝে অনৈক্যও একটা কারণআমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে জোটের এমন অবস্থা হতো নাবিরোধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছেতাই জোটকে দ্রুত সক্রিয় করা দরকারএই বাস্তবতাও আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে, এতেই সবার মঙ্গল
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৪ দলীয় জোটকে প্রথম ১০ বছর (২০০৪-২০১৪) রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় দেখা গেছেওই সময়ে আওয়ামী লীগ ও সরকারের নেতিবাচক নানা কর্মকাণ্ডের জোর সমালোচনাও করতে দেখা গেছে জোট নেতাদেরপরের ১০ বছরে (২০১৪-২০২৪) ধারাবাহিকভাবে ক্রমাগত ১৪ দলের রাজনীতি হ্রাস পেতে থাকেএই সময়ের প্রথম দিকে আওয়ামী লীগ ও সরকারের নেতিবাচক নানা কর্মকাণ্ডের কিছু সমালোচনা করলেও শেষ দিকে অনেকটাই নীরব হয়ে গেছেন শরিক নেতারাশরিক দলগুলো দিবসকেন্দ্রিক এককভাবে কিছু কর্মসূচি পালন করলেও রাজনীতির মাঠে সাড়া মিলছে নাফলে ১৪ দল টিকে থাকলেও জোটের রাজনীতিতে চোট নেই
১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াতকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসতে ১৪ দলের প্রয়োজন ছিল আওয়ামী লীগেরএরপর টানা চার মেয়াদে দলটি ক্ষমতায় থাকায় দেশের রাজনীতিতে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করছেসে কারণে সময়ের সঙ্গে জোটের শরিক দলগুলোর প্রয়োজন এখন প্রায় ফুড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগের কাছেএ জন্য একলা চলো নীতিনিয়ে এগুচ্ছে দলটিএ ছাড়া সরকারবিরোধী দলগুলোও জোট রেখে সমমনা দলগুলো নিয়ে যুগপত আন্দোলন করায় ১৪ দলীয় জোটকে সক্রিয় করছে না আওয়ামী লীগসে কারণে জোট নেতারা কালেভদ্রে জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসায় গিয়ে চা-নাশতা খেয়ে ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেনকিন্তু তাতে আওয়ামী লীগ কান না দেওয়ায় ভবিষ্যতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তাদের
১৪ দলের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের যোগাযোগ এবং জোটগত রাজনৈতিক তৎপরতা সাম্প্রতিক সময়ে আগের মতো আছে কিনা জানতে চাওয়া হয় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কাছেতিনি বলেন, আগের মতো নেই, নেই
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৪ দলের দীর্ঘ যাত্রায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বৈষয়িক বিষয় নিয়ে প্লাস-মাইনাস কম-বেশি হয়েছে আরকিসেটা নিয়ে ১৪ দলে রাজনৈতিক কোনও বিভ্রান্তি নেই, সবাই একমত আছেদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক দলগুলোকে আসন ছাড়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদ খান মেনন বলেন, আগের মতো এবার দেওয়া হয়নি

১৪ দলের অন্তত দুটি শরিক দলের নেতা বলেন, বিএনএফ, বিএনএমের মতো দলকে ভাড়া করেনির্বাচনে এনে যে লাভ নেই, সেটা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্পষ্ট হয়ে গেছেআওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে, ১৪ দল তাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও আদর্শিক বন্ধুএই জোটের শরিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা প্রয়োজনসামনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটি মাথায় রেখেই বিষয়টা আওয়ামী লীগের ভাবা উচিত। 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের একজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ দলের শরিক দলগুলো আওয়ামী লীগের জন্য বোঝায় পরিণত হয়েছেতারা বিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলায় মাঠে নামে নাসরকারে থেকে, সংসদে থেকেও সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে পারেনি, বরং আরও কমেছেদলীয় রাজনীতিটাও সেভাবে করছে নাসুযোগ-সুবিধা তো নিচ্ছেবিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জোট-মহাজোট গুরুত্ব হারাচ্ছেএখানে আওয়ামী লীগের দোষ কোথায়?
১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র, সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ১৪ দলীয় জোট আদর্শের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে এবং সেভাবেই চলছেএই জোট আছে এবং থাকবেএ কথা তো আমাদের নেত্রী বলেছেনজোটের শরিক দলগুলো নিজেদের মতো করে রাজনীতি করছে
গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দলের মোকাবিলায় আমাদের সুসংগঠিত হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে১৪ দলীয় জোটকেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাছে টানতে হবেসব কিছু মিলিয়ে আমাদের নিজেদের সাবজেক্টিভ প্রিপারেশনের ওপর নির্ভর করে আমরা বাস্তব কঠিন পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে সক্ষম
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স