ঢাকা , শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫ , ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
৮ দফা দাবিতে বরিশালে নার্সদের বিক্ষোভ সমাবেশ প্রাথমিক শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু রাজধানীতে ভয়াবহ গ্যাস সংকট ঝড়-বন্যায় নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে গাজার গৃহহীন ফিলিস্তিনিরা ইন্দোনেশিয়ায় একদিনে ২ বার ভূমিকম্প হোয়াইট হাউজের কাছে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সেনাকে গুলি গিনি বিসাউয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল, প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫০ জনের বেশি নিখোঁজ নোয়াখালী এক্সপ্রেস সরাসরি চুক্তিতে পেলেন সৌম্য ও হাসান তরুণ তারকা ইয়ামালকে সাফল্য সামলানোর কৌশল বার্তা দিলেন নাদাল নেইমারের চোট: ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় নতুন প্রশ্ন বিপিএলের নিলামের তালিকা প্রকাশ, অনিশ্চয়তার মাঝেও উত্তেজনা কমছে না টটেনহ্যামের বিপক্ষে ৮ গোলের লড়াইয়ে নাটকীয় জয় পিএসজির, ভিতিনিয়ার হ্যাটট্রিক অ্যানফিল্ডে নতুন দুঃস্বপ্ন, পিএসভির কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগে ভরাডুবি লিভারপুলের বায়ার্নকে উড়িয়ে শীর্ষে আর্সেনাল এমবাপের ৪ গোল, রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচে রিয়ালের ঘাম ঝরানো জয় শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ যথাযথ সুরক্ষা-নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতায় শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড তদন্ত প্রতিবেদন এবার লটারির মাধ্যমে ওসি নিয়োগ দেওয়া হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পর্যালোচনা করা হচ্ছে : ভারত

শুল্ক সুবিধা পেয়েও রফতানি বাড়েনি চীনে

  • আপলোড সময় : ২০-০৯-২০২৪ ১১:১৪:২৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৯-২০২৪ ১১:১৭:২৬ অপরাহ্ন
শুল্ক সুবিধা পেয়েও রফতানি বাড়েনি চীনে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
সম্প্রতি বাংলাদেশ ও অন্যান্য স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার কথা জানিয়েছে চীন। যদিও ২০২০ সালের জুলাই থেকে ট্যারিফ লাইনের আওতায় ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা কার্যকর করে চীন সরকার। এরপরও দেশটিতে আশানুরূপ বাড়েনি বাংলাদেশি পণ্য রফতানি। এ অবস্থায় চীনে রফতানি বাড়াতে রফতানিপণ্যের বহুমুখীকরণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক পরাশক্তি ও শীর্ষ রফতানিকারক। দেশটি বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশ থেকে চীনে রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। এরপরও রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীনে পণ্য রফতানি আশানুরূপ না বাড়ার কারণ খুজেঁ বের করা দরকার। দেশটিতে রফতানি বাড়াতে ও বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাড়াতে হবে বিপণন দক্ষতা। চীন সরকার ২০২০ সালের জুলাই থেকে ট্যারিফ লাইনের আওতায় ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা কার্যকর করে। পরবর্তীতে ২০২২ সালে আরও ১ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৯৮ শতাংশ করা হয়। ট্যারিফ লাইনে ৮ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি পণ্য দেশটিতে শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে। তারপরও গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি হয়েছে মাত্র ৬৭ কোটি ডলারের। গত ১৪ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন জানান, চীনের রাষ্ট্রদূত আমাদের যেটি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সিনো-আফ্রিকান যে শীর্ষ সম্মেলন হয়েছে সেখানে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে (এলডিসি) শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চীনের বাজারে বিক্রি করার মতো বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যের অভাব রয়েছে। এছাড়া রয়েছে মার্কেটিং বা বিপণনব্যবস্থার দুর্বলতা। ইউরোপে যুদ্ধ ও আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয় বিবেচনায় চীন অভ্যন্তরীণ বাজারে মনোনিবেশ করেছে। তৈরি পোশাক উৎপাদনে তারা নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে। বাংলাদেশের শীর্ষ রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক দিয়ে চীনা বাজার ধরা কঠিন। দেশটিতে রফতানি বাড়াতে প্রয়োজন রফতানি বহুমুখীকরণ। জানতে চাইলে বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনরে সহ-সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, এত সুবিধা পেয়েও চীনে কেন রফতানি বাড়ছে না সেটার কারণ অনুসন্ধান করা দরকার। হয়তো আমাদের অ্যাপ্রোচ ঠিক নেই। অর্থ্যাৎ আমাদের ব্যবসায়ীরা চীনের ব্যবসায়ীরদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। চীনের বাজারে ঠিকমতো বিপণন করতে পারছি না। ভাষা ও বিপণন দক্ষতায় সমস্যা আছে। তিনি আরও বলেন, চীনের বাজারে রফতানি করার মতো পণ্য আমাদের খুব কম। কারণ তারাই প্রায় সব পণ্যের কাঁচামাল প্রস্তুত করে। চীনে বাংলাদেশি চামড়ার প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশ থেকে তারা কমদামে প্রচুর চামড়া নিয়ে যায়। কমপ্লায়েন্সের কারণে চামড়ার প্রকৃত দাম পাওয়া যাচ্ছে না। রফতানির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে চীন প্রচুর আমদানিও করে জানিয়ে এ কে আজাদ বলেন, তারা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে ও পণ্য বানাতে সমগ্র পৃথিবী থেকে পণ্য নেয়। আমরা পণ্যের গুণ-মান বাজায় রাখতে পারছি না, আবার তাদের বাজারেও পৌঁছাতে পারছি না। বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, চীনের যেসব পণ্য প্রয়োজন সেগুলো আমরা তৈরি করতে পারছি না। চীনে বাংলাদেশি কৃষিজাত পণ্য ও হিমায়িত মাছের চাহিদা আছে। আমরা তাদের মান মেনে চলতে পারলে এসব পণ্যের রফতানি বাড়বে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষিজাত পণ্য ছাড়াও পরিশোধিত তামা, পলিমার, প্রসাধনী, ইলেকট্রনিক সার্কিট, অপরিশোধিত তেল, ফোন সিস্টেম ডিভাইস, পেট্রোলিয়াম গ্যাস, তামার তার ও ডেটা প্রসেসিং মেশিনের চাহিদা রয়েছে চীনে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য