সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার দাবির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনে একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার এ অনুরোধ করা হয়েছে। চাকরিতে বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থাকায় এই অনুরোধ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে একটি চিঠি এসেছে। তারা এই বিষয়ে রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে জনপ্রশাসনে চিঠি দিয়েছেন। ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স ইতোপূর্বে যথাক্রমে ৩০ ও ৫৯ (মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের যথাক্রমে ৩২ ও ৬০) বছর করা হয়েছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছর। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছর। বিগত এবং বর্তমান সময়ে যেসব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকের বয়স ৬৭ বছরের ঊর্ধ্বে। এতে আরও বলা হয়, চাকরিতে প্রবেশের বয়স নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানদণ্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বিশ্বের ১শ ৬২টি দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর, কোনো কোনো দেশে আবার এটি উন্মুক্ত। একইসঙ্গে অবসরের বয়সসীমা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ভেদে ৬৫ থেকে ৬৭ বছর এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭২ বছর। সরকারি চাকরিতে প্রবেশ এবং অবসরের যাওয়ার বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে চাকরিপ্রত্যাশী এবং চাকরিরতদের পক্ষে আন্দোলন ও দাবি উত্থাপিত হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের জাঁতাকলে পড়ে বিভিন্নভাবে নিপীড়িত, বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হয়ে সৎ, যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তা সময় মতো পদোন্নতি ও উপযুক্ত পদে পদায়ন না হওয়ায় সরকারি কাজে তারা তাদের প্রকৃত মেধা ও যোগ্যতার সাক্ষর রাখতে সক্ষম হননি। স্বৈরাচারী কায়দায় দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ায় মেধাবী যুবসমাজকে কোটার আবরণে বঞ্চিতরাসহ কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কিংবা রাজাকারের সন্তান, ভিন্নমতাবলম্বী ইত্যাদি তকমা দিয়ে বিভিন্ন অপকৌশলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করায় বৈষম্যহীন, মেধাভিত্তিক ও যোগ্যতাভিত্তিক নিরপেক্ষ প্রশাসন গড়া সম্ভব হয়নি। চিঠিতে আরও বলা হয়, তাই মেধাভিত্তিক নতুন প্রজন্মের চাহিদাভিত্তিক কাক্সিক্ষত সংস্কারমুখী পুনর্গঠিত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ৩৫ ও অবসরের সময়সীমা যথাক্রমে ৬৫ বছর করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানা হচ্ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ
- আপলোড সময় : ১৯-০৯-২০২৪ ০১:৪২:১৩ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-০৯-২০২৪ ০১:৪২:১৩ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ