ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ

শয্যার চার গুণ রোগী বারান্দা, সিঁড়িতে চিকিৎসা

  • আপলোড সময় : ১৮-০৯-২০২৪ ১২:১৪:২২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৯-২০২৪ ১২:১৪:২২ পূর্বাহ্ন
শয্যার চার গুণ রোগী বারান্দা, সিঁড়িতে চিকিৎসা
স্টাফ রিপোর্টার
‘আমারে সিঁড়ির কোণে রাখছে কেন? দিনরাত মানুষ যাওয়ার পথে পা দিয়ে ধাক্কা মারছে। আমার খুব কষ্ট অইতেছে। আমি এহানে থাকমু না। ওয়ার্ডের ভেতরে নিয়ে যাও আমারে।’ কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো স্বজনদের বলতে ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডের ১ নম্বর ইউনিটে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া আনজু মনোয়ারা (৫৫)। তিনি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বাশাটি গ্রামের কামাল উদ্দিনের স্ত্রী। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার রাতে অসুস্থ হলে আনজু মনোয়ারাকে পরিবারের সদস্যরা ভর্তি করেন হাসপাতালে। ওয়ার্ডের ভেতরে, বারান্দায় জায়গা না পেয়ে হাসপাতালের র্যাম সিঁড়ির পথের মাঝে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাকে।’ নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে আনজু মনোয়ারাবলেন, ‘সিঁড়ি কোণে কোনো ফ্যান নেই। গরমে ঘেমে অতিষ্ঠ অবস্থা। আরও অনেকে এভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।’ শুধু আনজু মনোয়ারা নন, হাসপাতালের বিছানার বিপরীতে প্রায় চার গুণ রোগী ভর্তি থাকায় ওয়ার্ডের বিছানা, মেঝে কিংবা বারান্দায় জায়গা না পেয়ে বহু রোগী সিঁড়ি কোণে বসে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। ত্রিশালের বৈলর এলাকার মোসলেম উদ্দিন জানান, তিনি পেটের ব্যথা নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে টয়লেটের পাশের বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। ওয়ার্ড থেকে দূরে থাকায় চিকিৎসক, নার্স তাকে খুঁজে পান না। এ কারণে চিকিৎসক-নার্সকে প্রতিদিন ডেকে আনতে হয়। তবে চিকিৎসক-নার্স আন্তরিকভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নেওয়া আরেক রোগীর স্বজন দিলরুবা বেগমবলেন, ‘হাসপাতালে প্রচুর রোগী। রোগীদের সঙ্গে স্বজন থাকে কয়েকজন। তারা আবার এখানেই অবস্থান করেন। এ কারণে হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের চাপ বেশি থাকে। রোগীদের চাপ সামলাতে চিকিৎসক-নার্স ও কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হয়। তবে হাসপাতালে বিছানার সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।’ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের ২ নম্বর ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. খুরশেদুল আলম জানান, ‘এক হাজার শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। বর্তমানে তিন হাজার ৬০০ রোগী আছেন। মেডিসিন বিভাগে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। ওয়ার্ডে ২৪ বিছানার বিপরীতে দুই শতাধিক রোগী ভর্তি বেশি থাকছেন। সব রোগীকে প্রতিদিন দেখতে হয়। তবে চিকিৎসক-নার্স এবং কর্মচারীরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বিনা চিকিৎসায় কেউ বাড়ি ফিরছেন না।’ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. জাকিউল ইসলাম বলেন, ‘রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। এক হাজার শয্যার হাসপাতালে চার হাজার রোগী এলে এমন অবস্থা হওয়া স্বাভাবিক। বিছানার তুলনায় রোগী অতিরিক্ত থাকায় তাদের জন্য ওয়ার্ডের ভেতরে বিছানার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। তবে সব রোগীর জন্য বিনামূল্যে ওষুধসহ খাবারের ব্যবস্থা আছে। স্বল্প খরচে রোগীরা হাসপাতালের ভেতরে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারছেন। এখানে রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হয়, এজন্য রোগী বেশি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স