ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

তারাগঞ্জের হাতখোপা বিল প্রভাবশালীদের দখলে

  • আপলোড সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন
তারাগঞ্জের হাতখোপা বিল প্রভাবশালীদের দখলে
রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সরকারি জলাশয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জলাশয় হাতখোপার বিল।
প্রতিবছর ইজারা দিয়ে বিলটি থেকে খাস আদায় হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে কয়েক বছর ধরে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিলটি এক প্রভাবশালী নেতা সাব ইজারার নামে বাগিয়ে নেওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে জটিলতা। মামলার নামে বিলটি বে-দখলে রাখার কারণে স্থানীয় প্রশাসন খাস আদায় করতে পারছে না।
এতে রাষ্ট্র হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। জানা যায়, প্রায় ২৫ একর খাস জমির জলাশয় টি সর্বশেষ ১৪২৯-১৪৩৪ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত মোট ছয় বছরের জন্য হাতখোপা বিলটি ইজারা নেয় তারাগঞ্জ উপজেলার নারায়ঞ্জন জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি আরো বেশি অর্থের বিনিময়ে সাব ইজারা দেয় নজরুল ইসলাম নামক রংপুরের এক প্রভাবশালী নেতাকে। ইজারা নেওয়ার পর এক বছরের আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধ করে সরকারি নিয়ম মেনে বিলটি ভোগ দখল করেন ওই ইজারাদার। এরপর সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিলটি ভোগ দখলের উদ্দেশ্যে ওই মৎস্যজীবী সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের আঁতাত হয়। তারই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সমিতির সভাপতি ইজারা প্রত্যাহার চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সভাপতির আবেদনের ভিত্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে খাস আদায়ের নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা প্রকাশ হওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সমিতির অন্যান্য সদস্যরা খাস আদায়ের নির্দেশনা বাতিল ও তাদের ইজারা পুনঃ বহাল চেয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার শুনানির পর উভয়পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে আদেশ দেন। আদেশের বলে প্রথমে ৩ মাস ভোগদখল করেন। এরপর একাধিকবার আবেদন করে মেয়াদ বৃদ্ধি করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিলটি দখলে রেখেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিলটির খনন কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। বিলটিকে ইজারাদারের নিয়োগকৃত ছয় জন পাহারাদার দিবারাত্রি পাহারায় নিয়োজিত আছেন। তাদের ভয়ে বিলের আশপাশে ঘেঁসতে পারে না স্থানীয় সাধারণ মানুষ। জটিলতা কাটিয়ে বিলের খাস আদায়ের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা শুরু না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য বিলটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য