ঢাকা , মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে দিশাহারা হাজারো পরিবার শুল্ক চাপে ব্যবসা-বাণিজ্য হঠাৎ অস্থির শিক্ষাঙ্গন বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনই বিএনপির সামনে এখন চ্যালেঞ্জ-মির্জা ফখরুল পুরুষশূন্য জোবরা গ্রাম, চবি ক্যাম্পাসে উৎকণ্ঠা অর্ধশত শিক্ষার্থীর মাথায় অস্ত্রের কোপ অনেকের থেঁতলে গেছে হাত-পা নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই -আসিফ নজরুল আরও ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা নীতিমালা সংশোধন ভোট কক্ষের সংখ্যা কমছে নির্বাচনে তিন বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন কৌশল নতুন চ্যালেঞ্জে নির্বাচন কমিশন ২১৩০ কোটি টাকায় আলেকজান্ডারকে দলে ভেড়ালো লিভারপুল ফাইনাল হেরে কর্মকর্তার মুখে থুতু দিলেন সুয়ারেজ! ভায়োকানোর বিপক্ষে হোঁচট খেলো বার্সা মাঠে ডিম পাড়লো পাখি, এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো স্টেডিয়াম পুরুষদের থেকেও বেশি প্রাইজমানি ঘোষণা নারী বিশ্বকাপে! পোরশায় ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালিও পরিছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসছে উন্ডিজ বিপিএলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পেল ‘আইএমজি’

তারাগঞ্জের হাতখোপা বিল প্রভাবশালীদের দখলে

  • আপলোড সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন
তারাগঞ্জের হাতখোপা বিল প্রভাবশালীদের দখলে
রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সরকারি জলাশয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জলাশয় হাতখোপার বিল।
প্রতিবছর ইজারা দিয়ে বিলটি থেকে খাস আদায় হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে কয়েক বছর ধরে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিলটি এক প্রভাবশালী নেতা সাব ইজারার নামে বাগিয়ে নেওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে জটিলতা। মামলার নামে বিলটি বে-দখলে রাখার কারণে স্থানীয় প্রশাসন খাস আদায় করতে পারছে না।
এতে রাষ্ট্র হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। জানা যায়, প্রায় ২৫ একর খাস জমির জলাশয় টি সর্বশেষ ১৪২৯-১৪৩৪ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত মোট ছয় বছরের জন্য হাতখোপা বিলটি ইজারা নেয় তারাগঞ্জ উপজেলার নারায়ঞ্জন জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি আরো বেশি অর্থের বিনিময়ে সাব ইজারা দেয় নজরুল ইসলাম নামক রংপুরের এক প্রভাবশালী নেতাকে। ইজারা নেওয়ার পর এক বছরের আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধ করে সরকারি নিয়ম মেনে বিলটি ভোগ দখল করেন ওই ইজারাদার। এরপর সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিলটি ভোগ দখলের উদ্দেশ্যে ওই মৎস্যজীবী সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের আঁতাত হয়। তারই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সমিতির সভাপতি ইজারা প্রত্যাহার চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সভাপতির আবেদনের ভিত্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে খাস আদায়ের নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা প্রকাশ হওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সমিতির অন্যান্য সদস্যরা খাস আদায়ের নির্দেশনা বাতিল ও তাদের ইজারা পুনঃ বহাল চেয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার শুনানির পর উভয়পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে আদেশ দেন। আদেশের বলে প্রথমে ৩ মাস ভোগদখল করেন। এরপর একাধিকবার আবেদন করে মেয়াদ বৃদ্ধি করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিলটি দখলে রেখেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিলটির খনন কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। বিলটিকে ইজারাদারের নিয়োগকৃত ছয় জন পাহারাদার দিবারাত্রি পাহারায় নিয়োজিত আছেন। তাদের ভয়ে বিলের আশপাশে ঘেঁসতে পারে না স্থানীয় সাধারণ মানুষ। জটিলতা কাটিয়ে বিলের খাস আদায়ের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা শুরু না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য বিলটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য