ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুনামগঞ্জের সেই গ্রামে কড়া নিরাপত্তা, বসেছে ক্যাম্প সীমান্তে বিএসএফের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন ভারতীয় প্রচারণার জবাব দিতে জাতীয় সমাবেশের প্রস্তাব এসেছে: আসিফ নজরুল সাড়ে ৩ বছর পর কারামুক্ত বাবুল আক্তার সেই মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী অধিকারের ভিত্তিতে ভারতের সাথে সমস্যার সমাধান চায় বাম জোট দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে আ’লীগ-লন্ডনে মির্জা ফখরুল ঢাকা সফরে আসতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব দেশকে নতুন করে অস্থির করার চেষ্টা চলছে কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে : সুপ্রিম কোর্ট চিন্ময় ইস্যুতে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র কারাবন্দি ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ এখনো পলাতক ডিসেম্বর মাসে ১২ বার শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা সীমান্তে আমদানি রফতানি বন্ধ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে এলো ঢাকা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টার প্ল্যান পুনর্গঠন করা হবে হাইকমিশনে আক্রমণ কোনো সভ্য রাষ্ট্রের আচরণ নয়- নাহিদ সাগরে ইলিশ নেই দুশ্চিন্তায় জেলেরা পুরনো ইঞ্জিন ও কোচে বাড়ছে রেল দুর্ঘটনা

ইলিশের সংকট উত্তরণে ব্যবস্থা নিন

  • আপলোড সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:১১:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:১১:৩১ পূর্বাহ্ন
ইলিশের সংকট উত্তরণে ব্যবস্থা নিন
ইলিশ মাছ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কম। বাঙালিদের কাছে ইলিশ খুব জনপ্রিয়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশ ইলিশ মাছ রফতানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। ইলিশ মাছ স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টি উপাদানেও ভরপুর। ইলিশ একটি চর্বিযুক্ত মাছ। ইলিশ মাছ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। ইলিশে বিদ্যমান ভিটামিন এ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের জন্য উপকারী। ইলিশ রক্ত কোষের জন্যও বিশেষভাবে উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশে রয়েছে ২৫ গ্রাম প্রোটিন, ২০৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩ দশমিক ৩৯ গ্রাম শর্করা, ২ দশমিক ২ গ্রাম খনিজ ও ১৯ দশমিক ৪ গ্রাম চর্বি। আরও রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, নায়সিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন বি১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস।  ইলিশ ভিটামিন ডি’র ভালো উৎস। ভিটামিন ‘ডি’ মানবদেহে ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। ইলিশ উৎপাদনে ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। ওয়ার্ল্ড ফিশের পরিসংখ্যান মতে, ৮৬ শতাংশ ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়, কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এর পেছনে দায়ী নদী দখল-দূষণ, বালি উত্তোলন, নাব্য সংকট, জাটকা নিধন, অবৈধ জালের ব্যবহারসহ নানা কারণ। আশঙ্কা আছে, উল্লিখিত সমস্যাগুলোর সমাধান করা না গেলে আগামীতে ইলিশের উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে শূন্যের কোটায়। ইলিশের ভরা মৌসুম চললেও ইলিশের সংকটে মেঘনাপাড়ের জেলেরা। দিনরাত নদীতে জাল ফেললেও কাক্সিক্ষত ইলিশের দেখা মেলে না। আমাদের অতিমাত্রার লোভ, নদীর নাব্য সংকট, শব্দদূষণ, নদীদূষণ, নদীর জল দূষণের ফলে ইলিশ সংকট আজকে অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছেছে। এখনও সময় এবং সুযোগ আছে এই সংকট উত্তরণের। অনেকটা আমাদের সাধ্যের মধ্যে। আমাদের নদীগুলো আজ প্রায় মৃত। দখলদারদের অধীনে অধিকাংশ নদী। নদীদূষণ নদীগুলোকে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। যে নদীগুলো ইলিশের চারণভূমি, ইলিশের আঁতুড়ঘর সেই নদীগুলোয় প্রচুর ডুবোচর।
এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ইলিশের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। নদীর দুই পাড়ে ভাঙনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর জল দূষণ আজকে অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছেছে। দেশের অর্থনীতির চাকা উন্নতির পথে ধাবমান রাখতে ইলিশ হতে পারে মোক্ষম পণ্য। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে জেলেদের জীবনে যেমন অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, নিরাপত্তা আসবে, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকাও সচল থাকবে। ডলার সংকট মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখবে। ইলিশের উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি করতে সরকার এবং জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সমস্যা সমাধানের পথ সুগম করবে বলে আশা করা যায়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য