ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ‘উদ্বিগ্ন’-রাহুল গান্ধী

  • আপলোড সময় : ১২-০৯-২০২৪ ১২:৪৭:৫২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৯-২০২৪ ১২:৪৭:৫২ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ‘উদ্বিগ্ন’-রাহুল গান্ধী
বাংলাদেশে ‘উগ্রবাদের উপস্থিতি’ নিয়ে ভারত ‘উদ্বিগ্ন’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী।
তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল’ হয়ে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা ভবিষ্যতে যে কোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথাও তিনি বলেছেন।
এনডিটিভি লিখেছে, চারদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন রাহুল। ওয়াশিংটনের জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস নেতা।
রাহুল বলেন, বাংলাদেশে উগ্রবাদীদের উপস্থিতি নিয়ে ভারতে উদ্বেগ আছে। এবং আমরাও উদ্বিগ্ন। আমি আত্মবিশ্বাসী, বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। এবং আমরা বর্তমান সরকার বা তার পরে অন্য কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে সক্ষম হব।
এর আগে রাহুল গান্ধী যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ক্যাপিটল হিলে একদল মার্কিন আইনপ্রণেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
রাহুল সে বিষয়ে বলেন, আইন প্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আমরা বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরি। এবং তারাও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
রাহুলের ভাষ্য, দেখুন, আমরা যে কোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে। এবং আমরা এটা বন্ধ করতে চাই। এবং সত্যি বলতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সহিংসতা বন্ধ করা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব। আমাদের সরকারের দায়িত্ব সহিংসতা বন্ধে চাপ প্রয়োগ করা।
প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্টে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর মাস পেরিয়েছে, এখনও তিনি সেখানেই আছেন।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশে হিন্দু ধর্মের মানুষদের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কিছু ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনালাপে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বাস দেন।
এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক এখন কেমন হবে, তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার লক্ষেèৗয়ে ভারতের তিন বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারদের এক যৌথ সম্মেলনে রাজনাথ সিং বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ভারত একটি ‘শান্তিপ্রিয় দেশ’। তবে ‘অপ্রত্যাশিত’ ঘটনার মুখোমুখি হলে শান্তি রক্ষার স্বার্থে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার।
রাজনাথের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীনু সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, আমি কোনো অবস্থাতেই মনে করি না যে ভারতের সাথে আমাদের কোনো যুদ্ধ বিগ্রহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। উনি এটা নিজের দেশের কনজাম্পশনের জন্য বলেছেন কি না, সেটাও আমাদের বুঝতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স