ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ‘উদ্বিগ্ন’-রাহুল গান্ধী

  • আপলোড সময় : ১২-০৯-২০২৪ ১২:৪৭:৫২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৯-২০২৪ ১২:৪৭:৫২ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ‘উদ্বিগ্ন’-রাহুল গান্ধী
বাংলাদেশে ‘উগ্রবাদের উপস্থিতি’ নিয়ে ভারত ‘উদ্বিগ্ন’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী।
তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল’ হয়ে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা ভবিষ্যতে যে কোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথাও তিনি বলেছেন।
এনডিটিভি লিখেছে, চারদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন রাহুল। ওয়াশিংটনের জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস নেতা।
রাহুল বলেন, বাংলাদেশে উগ্রবাদীদের উপস্থিতি নিয়ে ভারতে উদ্বেগ আছে। এবং আমরাও উদ্বিগ্ন। আমি আত্মবিশ্বাসী, বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। এবং আমরা বর্তমান সরকার বা তার পরে অন্য কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে সক্ষম হব।
এর আগে রাহুল গান্ধী যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ক্যাপিটল হিলে একদল মার্কিন আইনপ্রণেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
রাহুল সে বিষয়ে বলেন, আইন প্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আমরা বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরি। এবং তারাও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
রাহুলের ভাষ্য, দেখুন, আমরা যে কোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে। এবং আমরা এটা বন্ধ করতে চাই। এবং সত্যি বলতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সহিংসতা বন্ধ করা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব। আমাদের সরকারের দায়িত্ব সহিংসতা বন্ধে চাপ প্রয়োগ করা।
প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্টে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর মাস পেরিয়েছে, এখনও তিনি সেখানেই আছেন।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশে হিন্দু ধর্মের মানুষদের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কিছু ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনালাপে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বাস দেন।
এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক এখন কেমন হবে, তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার লক্ষেèৗয়ে ভারতের তিন বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারদের এক যৌথ সম্মেলনে রাজনাথ সিং বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ভারত একটি ‘শান্তিপ্রিয় দেশ’। তবে ‘অপ্রত্যাশিত’ ঘটনার মুখোমুখি হলে শান্তি রক্ষার স্বার্থে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার।
রাজনাথের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীনু সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, আমি কোনো অবস্থাতেই মনে করি না যে ভারতের সাথে আমাদের কোনো যুদ্ধ বিগ্রহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। উনি এটা নিজের দেশের কনজাম্পশনের জন্য বলেছেন কি না, সেটাও আমাদের বুঝতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স