ঢাকা , বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এবারের অস্কারে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেল যে সিনেমাগুলো অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন এড শেরন দর্শকদের ওপর মেজাজ হারালেন সোনু নিগম বরুণের হাতে কি হয়েছে? ছবি দেখে চিন্তিত ভক্তরা আইসিইউতে শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় সুস্থ হয়েই গানের মঞ্চে সাবিনা ইয়াসমিন ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ পাবে ফাহিমের নতুন গান ভক্তদের জন্য কষ্টের গান গাইবেন আসিফ ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ১২ ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ১২ নিখোঁজের ৫৪ ঘণ্টা পর কামরাঙ্গীরচর থেকে উদ্ধার অন্তর খুবই দুঃখজনক মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানিত করা হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্তির সুপারিশ ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এনআইডি তথ্য ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে ইসি ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে-স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্বাচন নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর : প্রেস সচিব বেনজীরকে ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির আদেশ ১০ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পুনরায় ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু অপরিবর্তিত আছে বেসরকারি ঋণ ও নীতি সুদহার মুদ্রানীতি ঘোষণা

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় দেড় লাখ কৃষকের ২২৭ কোটি টাকার ক্ষতি

  • আপলোড সময় : ১১-০৯-২০২৪ ১২:২৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৯-২০২৪ ১২:২৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
লক্ষ্মীপুরে বন্যায় দেড় লাখ কৃষকের ২২৭ কোটি টাকার ক্ষতি
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  তথ্য
* সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আউশ ধান, আমনের বীজতলা, রোপা আমন ও সবজি
* পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে ৭ হাজার ৬১০.৭০ হেক্টর জমির রোপা আমন
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে চলমান বন্যায় কৃষিখাতে ২২৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক লাখ ৫৭ হাজার ২০৯ কৃষক। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আউশ ধান, আমনের বীজতলা, রোপা আমন ও সবজি ক্ষেতের। এ ছাড়া পান, আখ, হলুদ, আদা এবং নানা জাতের ফলের গাছেরও ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার কথা জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৬০৭ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। বন্যা, জলাবদ্ধতা ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে দুই হাজার ৫৩৬.৮০ হেক্টর জমির বীজতলা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। যা মোট বীজতলার ৭০ ভাগের বেশি। এতে ৬৩ হাজার ৪২০ জন কৃষকের ২৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। রোপা আমনের আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৩৯৪ হেক্টর জমিতে। পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে ৭ হাজার ৬১০.৭০ হেক্টর জমির রোপা আমন। যা আবাদ করা মোট জমির ৫৩ ভাগ। এতে ৩১ হাজার ৭০৬ জন কৃষকের ৮৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ২৪ হাজার ৪২৩ জন কৃষকের ৪ হাজার ৭০.৫০ হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। আমনে ৯ হাজার ৭২০ জন কৃষকের এক কোটি দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় ১০ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমির শরৎকালীন শাক-সবজি নষ্ট হয়েছে। যা আবাদকৃত জমির শতভাগ। এতে ২০ হাজার ৭৮০ জন কৃষকের ৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পান নষ্ট হয়েছে ১১২.২ হেক্টর জমির। এতে ১৬৬৩ জন কৃষকের ক্ষতি হয়েছে ১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। ২৪০ জন কৃষকের ৮৩.৩৩ হেক্টর জমির আদা নষ্ট হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ৭০ লাখ টাকার। ৩৯ হেক্টর জমিতে থাকা ৯৮ মেট্রিক টন হলুদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ২০৪০ জন কৃষকের ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৭৪৪ জন কৃষকের ৯.৩ হেক্টর জমির আখ নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি ৯ লাখ টাকা। ২০৭৩ জন ফল চাষির ৪১.৪৬ হেক্টর জমির ফল বাগান নষ্ট হয়েছে। এতে ২০৭ মেট্রিক টন ফলের ক্ষতি হয়েছে। যারা বাজার মূল্য ২ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ বলেন, চলমান বন্যা, বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে লক্ষ্মীপুরের ফসলি জমিতে পানি জমে গেছে। কৃষকের আমনের বীজতলা, রোপা আমন ক্ষেত, পান, সবজি ও ফলের গাছ নষ্ট হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ২২৭ কোটি টাকা। আমরা ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। দ্রুত কৃষকদের মধ্যে যাতে পুনর্বাসন প্রণোদনা দেওয়া যায়, কর্তৃপক্ষ সে নির্দেশনা দিয়েছে। এরইমধ্যে আমরা ৬ হাজার কৃষকের মধ্যে আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণ করেছি। তাদের অ্যাকাউন্টে এক হাজার টাকা করে সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগাম রবি মৌসুমের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ হাতে পেয়েছি। ১৩২০০ কৃষকের মধ্যে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, মুগ, মসুর, খেসারি, চিনা বাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ বিতরণের জন্য কর্মসূচি আসবে। আমন ধান চাষিদের উদ্দেশে এ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমন ধানের চারা লাগানো যাবে। তারা যেন নাভি জাতের বিআর-২২, বিআর-২৩ ধানের চারা রোপণ করেন। এ ছাড়া আমরা যে বীজ দিয়েছি, বিআর-৭৫, বিআর-১৭, এ দুটা বীজ দ্রুত কাদাযুক্ত মাটিতে বপন করলে ১৫ দিনের চারা জমিতে রোপণ করতে পারবেন। এ জাতের ধানে নির্দিষ্ট সময়ে ভালো ফলন হয়। ৬৫ হাজার কৃষকের জন্য প্রণোদনা হিসেবে শীতকালীন সবজির চাহিদা পাঠিয়েছি ওপর মহলে। তারা যাতে বাড়ির আঙ্গিনায় শীতের সবজি চাষ করতে পারেন, সে জন্য সহযোগিতা করা হবে। আমরা কৃষকদের জন্য যতটুকু করণীয়, তা করার জন্য তৎপর আছি, যোগ করেন তিনি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য