ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ

বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে নকল খাদ্যপণ্য

  • আপলোড সময় : ১১-০৯-২০২৪ ১২:২৪:০০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৯-২০২৪ ১২:২৪:০০ পূর্বাহ্ন
বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে নকল খাদ্যপণ্য
নকল খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাপক হারে উৎপাদন ও বাজারজাতের কারণে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব : জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব খাদ্য শিশুর পেট ব্যথা, চর্মরোগ ইত্যাদি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঝুঁকি আছে শিশুর কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার


দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে নকল খাদ্যপণ্য। আর অতি লাভের আশায় দোকানিরাও ওসব পণ্য বিক্রিতে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাপক হারে নকল খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের কারণে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। আর অর্থনীতিকে ফেলছে হুমকির মুখে। সূত্র বলছেন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল খাদ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে বাজারে। যারা এসব পণ্য তৈরি করছেন, তারা দাম কমিয়ে দোকানিদের প্রলোভনে ফেলছেন। দোকানিরা কেউ বুঝে, কেউ না বুঝে এ ফাঁদে পা দিচ্ছেন, যার পরিণতিতে ঠকছেন ক্রেতারা। নিম্নমানের এসব খাদ্যপণ্য মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এসব ভেজাল পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিশু পণ্য। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভেজাল খাবারের কারণে শিশুর পেট ব্যাথা, চর্মরোগ ইত্যাদি লক্ষ করা যাচ্ছে। ঝুঁকি আছে শিশুর কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার। শিশুর ক্যান্সারেরও কারণ হতে পারে এসব খাদ্য। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এণ্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময় ভেজাল-বিরোধী অভিযান চালিয়ে আসছে কিন্তু থামছেনা এই নকল পণ্যর দৌরাত্ম্য। পুরান ঢাকার বংশাল, লালবাগ, ইসলামপুর, চকবাজার, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ও বছিলা এলাকায় নকল খাদ্যপণ্য তৈরির কারখানা বেশি। বিভিন্ন সংস্থার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানেও তার প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব নকল পণ্য যারা তৈরি করে তাদের একটা অংশ নির্দিষ্ট চক্রের সদস্য, যারা ছোট ছোট বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কারখানা চালায়। অভিযানে তাদের কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে নতুন কোনো বাসা ভাড়া নিয়ে কারবার চালায় তারা। এক গবেষণার সূত্র মতে ভেজাল খাদ্যের কারণে প্রতি বছর দেশে কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ ক্যান্সারে, ২ লাখ মানুষ কিডনি রোগে এবং দেড় লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও ১৫ লাখ বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হচ্ছে। বাংলাদেশে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) গঠন করা হয়। দেশের আইনে খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।  বিএসটিআই’র এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মান সংস্থার অনুমতি ছাড়া অনেকেই নিম্নমানের ও নকল খাদ্যপণ্য তৈরি করছে। নিয়মিত অভিযানে তা ধরা পড়ছে। খাদ্যপণ্যে নকল ও ভেজাল রোধে বিভিন্ন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ এসব ব্যবসা বন্ধে বিএসটিআইর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। পাশাপাশি নিয়মিত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও মামলা হচ্ছে।’ সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রতিরোধে ভোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। ভোক্তারা অভিযোগ করলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আরো সুযোগ তৈরি হবে। জনগণ সচেতন না হলে নকল পণ্য বন্ধ করা কঠিন। সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠলেই এ কাজ ত্বরান্বিত হবে। এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রসাধনী সামগ্রী, ওষুধ ও তামাকজাতসহ নকল পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। নকল প্রতিরোধে এর উৎসে যেতে হবে। উৎসে গিয়ে বন্ধ করলে এ ধরণের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স