কোটা সংস্কার আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার আসামি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম। গতকাল রোববার দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে তাজুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ মামলায় তিনি প্রধান আসামি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। কেবল শেখ হাসিনা নয়, এই গণহত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত ছিল তাদের সবার বিরুদ্ধেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি জানান। প্রধান কৌঁসুলি বলেন, “জুলাই মাসে যে গণহত্যা হয়েছে, তার প্রমাণ বিভিন্নভাবে ধ্বংস করা চেষ্টা করা হচ্ছে। এটিকে সংরক্ষণ করে আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসে মামলাগুলো প্রমাণের যেই কাজ, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। “সারা দেশে সব জায়গায় ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার প্রমাণাদি সংরক্ষণের মাধ্যমে গণহত্যা বিচার প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হবে।” তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে আরও প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হবে। শিগগিরই তদন্ত সংস্থায় লোক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। গত শনিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন। এ ছাড়া মিজানুল ইসলাম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন ও বি এম সুলতান মাহমুদকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের মর্যাদা ভোগ করবেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
