ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ

​ফেনীর প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছায় না ত্রাণ, দুর্ভোগে মানুষ

  • আপলোড সময় : ০৫-০৯-২০২৪ ১১:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০৯-২০২৪ ১১:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
​ফেনীর প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছায় না ত্রাণ, দুর্ভোগে মানুষ
ফুলগাজী ও পরশুরামের আগে দাগনভূঞার সব কটি গ্রাম ডুবে গিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানের দুর্ভোগের কথা আলোচনায় আসেনি। আমাদের গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে সরকারি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি
ফেনী প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বর্ষণে ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল কয়েক লাখ মানুষ। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে দাগনভূঞা উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। উপজেলার বানভাসি এলাকাগুলোতে বর্তমানে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ সহায়তার পরও প্রত্যন্ত এসব এলাকায় তা পৌঁছায়নি। ফলে অধিকাংশ জায়গায় ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন মানুষজন। দ্রুত ত্রাণ সহায়তা চেয়েছেন তারা। উপজেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগ এলাকার গ্রামীণ সব রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সারা দেশ থেকে ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীরা ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রবেশ করলেও ত্রাণ পাচ্ছেন না দাগনভূঞার পানিবন্দি লাখো মানুষ। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন উপজেলার নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই উপজেলার বন্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রচারণা না থাকায় কেউ তাদের উদ্ধার করতে আসছেন না। এজন্য তারা ত্রাণ এবং কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
উপজেলার নেয়াজপুর ও সোনাপুরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের মাঝে এখনও ত্রাণ পৌঁছায়নি। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের সামান্য কিছু উদ্যোগ ছাড়া ত্রাণ পাচ্ছেন না উপজেলার পানিবন্দি অন্তত আড়াই লাখ মানুষ। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
দুর্ভোগের কথা জানিয়ে সোনাপুর গ্রামের ছালেহ আহমেদ বলেন, ফুলগাজী ও পরশুরামের আগে দাগনভূঞার সব কটি গ্রাম ডুবে গিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানের দুর্ভোগের কথা আলোচনায় আসেনি। আমাদের গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে সরকারি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি। খাবারের কষ্টে আমরা হাহাকার করছি। সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। নেয়াজপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহিম ও আলী হোসেন জানান, অন্তত ১৫ দিন ধরে তাদের গ্রামগুলো পানির নিচে ডুবে আছে। গ্রামগুলো শহর থেকে অনেক ভেতরে হওয়ায় কেউ সেখানে আসছেন না। যার কারণে খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। পুরো উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোর একই অবস্থা। উপজেলার পানিবন্দি আরও কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ত্রাণ সহায়তা জেলার অন্যান্য উপজেলায় গেলেও দাগনভূঞা আসছে না। দোকানপাটে তেমন খাদ্যসামগ্রী নেই। কিছু থাকলেও অনেক বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের কাছে ত্রাণ সহায়তা চেয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা বলেন, ত্রাণের সংকট আছে। অনেক মানুষকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার পানিতে ডুবে থাকায় অনেক গ্রামে ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি, স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর। ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, এখন পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলায় আট লাখ ২৪ হাজার ৩৯২ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৪৫ জন। যারা এখনও পানিবন্দি অবস্থায় আছেন, তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি আমরা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য