ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ
* অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান * ধরা হবে মাদকের গডফাদার * জননিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের চিহ্নিত করে অভিযান * স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সতর্কীকরণ

আজ রাত থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান

  • আপলোড সময় : ০৩-০৯-২০২৪ ১০:৪১:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৯-২০২৪ ১২:২০:৪৬ পূর্বাহ্ন
আজ রাত থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান
রাজধানীসহ সারাদেশে আজ বুধবার রাত ১২টার পর থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র?্যাব ও আনসারের যৌথ বাহিনী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট হয়ে যায়। যারা গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত স্বেচ্ছায় অস্ত্র জমা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। শুধু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চালাবে না, একইসঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত গডফাদারদেরও ধরা হবে। এছাড়াও প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোর করে পদত্যাগ, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজিসহ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারীকে চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হবে। 
জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সদ্য গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্দোলনের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলির একটি বড় অংশ এখনো দুর্বৃত্তদের হাতে রয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণহারে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়ায় পলিটিক্যাল ক্যাডার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এ সুযোগ নিয়ে বৈধ অস্ত্র কিনেছে। যা পরবর্তীতে খুন, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করার আশঙ্কা রয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে এসব বৈধ অস্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এতে বিপুল সংখ্যক আন্দোলনকারী আহত ও নিহত হলেও ওইসব পলিটিক্যাল আর্মস ক্যাডাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেয়া অস্ত্রের লাইসেন্সও স্থগিত করে সেগুলো থানায় জমা দেয়ার জন্য ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়। তবে এরপরও এসব অস্ত্র-গোলাবারুদ খুব বেশি জমা পড়েনি। তাই আজ বুধবার রাত ১২টার পর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠক শেষে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সভা ছিল আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা। এ সভায় দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা হয়েছে। কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করা যায়, সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা কিছু কিছু পদক্ষেপও নেব। গতকাল মঙ্গলবারই সব বৈধ এবং অবৈধ অস্ত্র জমাদানের শেষ দিন ছিল। আজ বুধবার রাত ১২টা থেকে যৌথ বাহিনীর অপারেশন শুরু হবে হাতিয়ার কালেকশনের জন্য, যেন অবৈধ অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করতে পারি। আমি এ নিয়ে আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, মাদক আমাদের বড় সমস্যা। মাদক আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য খুবই জরুরি। এ নিয়ে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। মাদকের গডফাদারদের আমরা আইনের আওতায় আনার জন্যও কাজ করছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীসহ সারাদেশে এখন বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হাতে। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। যাদের অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের সময়ে অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।
এদিকে বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার ঘোষণায় শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি। অনেকে নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় শঙ্কা দেখছেন। কারণ ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে সরকার পতনের দিন অনেক থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি আক্রান্ত হয়েছে। ভস্মীভূত ও ধ্বংস হয়েছে পুলিশের অনেক স্থাপনা। পুরো সক্ষমতায় ফেরেনি পুলিশ। চালু হয়নি পুলিশের টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম। নেই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের সাঁড়াশি অভিযান। এ পরিস্থিতিতে তাদের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেয়ায় তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন, শঙ্কার কোনো কারণ নেই। পুলিশের সক্ষমতা ফিরে এসেছে। বৈধ-অবৈধ ও থানা-ফাঁড়ি থেকে লুণ্ঠিত সব ধরনের অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান বা সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় যৌথ অভিযান আজ বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, রাজধানীসহ সারাদেশে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৫০ হাজার ৩১০। এর মধ্যে ব্যক্তিগত অস্ত্র ৪৫ হাজার ২২৬টি। এগুলোর মধ্যে পিস্তল ৪ হাজার ৬৮৩টি, রিভলবার ২ হাজার ৪৩টি, একনলা বন্দুক ২০ হাজার ৮০৯টি, দোনলা বন্দুক ১০ হাজার ৭১৯টি, শটগান ৫ হাজার ৪৪৪টি, রাইফেল ১ হাজার ৭০৬টি এবং অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৪ হাজার ৬টি। বাকি অস্ত্রগুলো বিভিন্ন আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে লাইসেন্স করা। প্রাপ্ত হিসাব বলছে, এসব অস্ত্রের মধ্যে ১০ হাজার ২১৫টি রয়েছে রাজনীতিবিদদের কাছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে ৭ হাজার ২১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। বিএনপির নেতাকর্মীর কাছে ২ হাজার ৫৮৭টি এবং অন্যান্য দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে ৭৯টি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের। ওই সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে ১ হাজার ৮৯৮টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়েছে। খোয়া যাওয়া বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের মধ্যে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৪৫৩টি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ১ হাজার ৪৪৫ অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩৪৮টি চায়না রাইফেল, শটগান ৭০৩টি, ৩০টি এসএমজি (টি ৫৬ চায়না মডেল), ১৩টি এলএমজি, ৮৯টি পিস্তল (টি-৫৪ চায়না), ৫৬০টি পিস্তল, ১৫২টি গ্যাসগান ও ৩টি টিয়ার গ্যাস লাঞ্চার।
আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরের শাসনামলে বিভিন্ন সময়েই বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার দেখা গেছে। বিরোধীপক্ষকে শায়েস্তা করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অস্ত্রের প্রদর্শন করতেও দেখা গেছে। এসব ক্ষেত্রে অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। তবে গত পহেলা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের তিন হাজার ৮৮০টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গোলাবারুদের মধ্যে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড গুলি, ২২ হাজার ২০১টি টিয়ার গ্যাসের শেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া লুণ্ঠিত দুই হাজার ১৩৯টি সাউন্ড গ্রেনেডও উদ্ধার হয়েছে। শুধু রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে এক হাজার ৮৯৮টি অস্ত্র লুট করা হয়। এর মধ্যে গত ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৪৫৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি এক হাজার ৪৪৫টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, স্থগিত করা লাইসেন্সের বিপরীতে থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় জমা না দিলে উদ্ধার অভিযানে সেগুলো জব্দ করা হবে। একই সঙ্গে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেহাত হওয়া ও হারানো অস্ত্রসহ যেকোনো অবৈধ অস্ত্র এ অভিযানে উদ্ধার করা হবে। সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র?্যাব ও আনসারের যৌথ সমন্বয়ে অপারেশন টিম গঠন করে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মহানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন পুলিশ কমিশনার। সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় কমিশনার এ অভিযান পরিচালনা করবেন।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোর কমিটির মাধ্যমে স্থগিত করা লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনার ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হবে। এই কমিটিতে পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণ বা হেফাজতকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি জেলা তথ্য অফিস প্রচার করবে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি এনামুল হক সাগর বলেন, প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ৩ তারিখের পর তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে এবং অস্ত্র আইনে কিন্তু মামলা রুজু হবে। আপনাদের মাধ্যমে আহ্বান জানাতে চাই, ৩ তারিখের মধ্যে যাতে সবাই সব অস্ত্র জমা প্রদান করে। কাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে এনামুল হক জানান, অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধারে একেবারেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। উদ্ধারে যে যৌথ অভিযান পরিচালনা হবে, তাতেও আশা করছি একটি ভালো রিকভারি আমাদের হবে। বেশ আশাবাদী আমরা, যে যৌথ অভিযানে আমাদের বাহিনীগুলোর মধ্যে একটা সুসমন্বয়ের মাধ্যমে সেই জায়গায় পৌঁছতে পারব। তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর কোনো কিছু যেন কখনো সংঘটিত না হয়, সে জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। অস্ত্র, গোলাবারুদ যেগুলো এখনো মিসিং রয়েছে, সেগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি, করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। এরপর কারও কাছে কোনো অস্ত্র থাকলে সেটা অবৈধ বলে গণ্য হবে। অভিযানে সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা যেহেতু বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য মাঠে আছে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযানে তাদেরও সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। থানা-ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। তাছাড়া দাগি অপরাধী ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। আন্দোলনের সময় দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের লোকজনও বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। তারাও ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে। আমরাও তথ্য পেয়েছি গত ১৫ বছরে এক লাখের বেশি অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স