ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ , ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
গাজায় ইসরায়েলি নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ নড়াইলে সৌদি প্রবাসী হত্যা হামলা-ভাঙচুরের পর পুরুষশূন্য গ্রাম প্রেস সচিবের মন্তব্যকে ‘অযাচিত’ বলছে ভারত রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘কাফন মিছিল’ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা অনৈক্যের সুর রাজনীতিতে বাড়ছে অবিশ্বাস দলিতদের পরিবর্তনে সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ- আনু মুহাম্মদ মালয়েশিয়ায় অভিযানে ১৬৫ বাংলাদেশি আটক জাবির থিসিসের ফলাফল বিপর্যয়ের অভিযোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি চীনের অর্থায়নে পঞ্চগড়ে হাসপাতাল নির্মাণের দাবি যশোরে আগুনে পুড়লো ফার্মের ৪৪ হাজার মুরগি ঈদের পর থেকে বাজারে সবজির দাম বাড়তি চার মাসের সন্তানকে বিক্রি করে মোবাইল কেনেন মা! মানহীন কিন্ডারগার্টেনে ধ্বংস শিশুর ভবিষ্যৎ টিসিবির জন্য কেনা হবে ৫৪২ কোটি টাকার তেল সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ ৫ জন দুদকের হাতে গ্রেফতার টিপাইমুখ বাঁধ দেয়ার প্রতিবাদ করায় ইলিয়াস আলী গুম হন- রিজভী কনটেইনারবাহী জাহাজ চলবে দুই বন্দরে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইসলামী দলগুলোর বৈঠক নির্বাচন নিয়ে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ইসলামি দলগুলোর সতর্ক থাকার আহ্বান

​‘রূপরেখা’ জানতে চাইল রাজনৈতিক দলগুলো

  • আপলোড সময় : ০১-০৯-২০২৪ ১১:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০৯-২০২৪ ১১:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন
​‘রূপরেখা’ জানতে চাইল রাজনৈতিক দলগুলো
জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেছেন। নির্বাচন ও সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আসন্ন দুর্গা পূজায় কেউ যাতে নৈরাজ্য করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ইসলামি দলগুলোর প্রতিও এসময় আহ্বান জানান তিনি। গত বৃহস্পতিবার দেশ সংস্কার প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করে অন্তর্বর্তী সরকার। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার রাজনৈতিক দলগুলো সাথে মতবিনিময় সভায় বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে ‘অতি দ্রুত’ সংলাপের দাবি উঠার পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যে সংলাপ হয়েছে, তাতে একেক দল একেক ধরনের দাবি তুললেও নির্বাচনের ‘সময়সীমা’ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। দলগুলোর পক্ষ থেকে বরং আগে সংস্কার করে পরে নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকার পতন আন্দোলনে হত্যার দ্রুত বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, সংবিধানে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপনের দাবি উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার বিকাল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে এই সংলাপ। ইসলামী দল ও সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই আলোচনা। পরে একে একে যায় জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি, অলি আহমদের নেতৃত্বে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম, শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাসদ, ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ১২ দলীয় জোট। দলগুলো তাদের দলীয় প্যাডে নির্বাচন, রাষ্ট্রীয় সংস্কারসহ বিভিন্ন প্রস্তাব ও দাবি লিখিতভাবে উপস্থাপন করেন। বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান ও ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা এএফএম খালিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, হেফাজতে ইসলামী, জমিয়তে উলামে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন, নেজামী ইসলাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিটি), জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ জাসদ, ১২ দলীয় জোট ও গণফোরামের সাথে পর্যায়ক্রমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক করার চিঠি পান। তারই পরিপেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল শনিবার বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত একের পর এক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার চার দিনের মাথায় ১২ ও ১৩ আগস্ট বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, জামায়াতে ইসলামী, কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) কয়েকটি দল ও জোটের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল বিকেল ৩টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আলাদাভাবে খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, হেফাজতে ইসলামী, জমিয়তে উলামে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও নেজামী ইসলামের নেতাদের যমুনায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দিচ্ছেন চরমোনাই পীর মাওলানা রেজাউল করীম। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মুফতি ফয়জুল করীম, অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আশরাফুল আলম। খেলাফত মজলিশের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক কাজী মিনহাজুল ইসলাম মিলন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নেতৃত্ব দেন দলটির আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন। জমিয়তে উলামে ইসলামের একাংশের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি। হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও কেন্দ্রীয় নেতা মুনীর হোসেন কাশেমী। নেজামী ইসলামের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মোমিনুল ইসলাম। খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামেদি। ইসলামী দলগুলোর পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় করতে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা ১১ দলীয় জোটসহ আরও কয়েকটি দলকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করতে দেখা যায়।
বৈঠকের কার্যক্রম তুলে ধরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক জানান, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেছি। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে নিহতসহ সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছি। ৫ মে ও পরবর্তী সময়ে হেফাজতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর নেতাদের বিরুদ্ধে দেয়া মামলাগুলো এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার দাবি জানিয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তার সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে মামুনুল বলেন, আমরা সহযোগিতা করার প্রত্যয় জানিয়েছি। নির্বাচন ও প্রশাসনসহ সব খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছি। সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে লিখিত আকারে যে দাবিগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে, তা হলো; ১. প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। ক. নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার: জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগকারীদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। সেজন্য আসনভিত্তিক বিজয়ী সংসদ সদস্যদের বাইরে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদে প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা। খ. নির্বাচনবিধি সংক্রান্ত সংস্কার: প্রার্থীদের নিজস্ব প্রচারণার পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করা। যোগ্য, সৎ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা। ২. সাংবিধানিক সংস্কার; ক. বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া একচ্ছত্র ক্ষমতা স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেয়। তাই এ ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ভারসাম্য সৃষ্টি করা। খ. দুই মেয়াদের বেশি একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা বন্ধ করা। গ. প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের বিধান করা। ঘ. সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেয়ার সুযোগ রাখা। ৩. বিচারব্যবস্থা; ক. বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করা। বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপমুক্ত রাখার স্বার্থে বিচারপতি নিয়োগ ও বিয়োগের জন্য জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা। ৪. শিক্ষাব্যবস্থা; শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিতর্কিত বিষয়গুলো বাদ দিয়ে ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা সংযোজন করা। ৫. পুলিশ ও প্রশাসন; পুলিশ ও প্রশাসনকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখা। রাজনৈতিক উদ্দেশে তাদের ব্যবহারের পথ বন্ধ করা। ৬. ধর্মীয় আইন; কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী আইন ও নীতি প্রণয়ন না করা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এসব মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবিধানে সংসদ ভেঙে দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা আছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার কবে নির্বাচন করবে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিচ্ছে না। গত ২৪ আগস্ট থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি উঠছে, তবে জামায়াত মনে করে নির্বাচনের সময় ‘এখন নয়’। এ নিয়ে দুই দলের বাদানুবাদের ঘটনাও ঘটেছে। তবে গত বৃহস্পতিবার মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির যে প্রতিনিধি দল ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে সেখানে নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানানো হয়। সংলাপ শেষ করে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, অতি দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পর্যায়ক্রমে প্রধান উপদেষ্টা মতবিনিময় করবেন। দলগুলোর আলোচনাতেও নির্বাচনের সময়সীমার বদলে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক’ সময়’ নেয়ার কথাই বলা হয়েছে।
এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যস্ত রাখার জন্য একমাত্র অস্ত্র হলো একটা ফোরকাস্ট দিয়ে দেয়া। এটা ছয় মাস পরেও হতে পারে, নয় মাস পরেও হতে পারে। সংস্কার করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দেয়ার কথা আমরা বলেছি। কিন্তু নির্বাচন তো হতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্যও ভালো, রাজনৈতিক দলের জন্যও ভালো, দেশের জন্যও ভালো। সংস্কার করার আগে নির্বাচন কোনো অবস্থাতে বাঞ্ছনীয় নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এটাই বলেছেন যে, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে প্রত্যেকটা বিষয়ে। আমি উত্তর দিকে গেলাম, আপনি দক্ষিণ দিকে গেলেন, তা হলে তো দেশের সমস্যার সমাধান হবে না। সবাইকে একটা ঐকমত্যে আসতে হবে’।
সংলাপ শেষে বের হয়ে এসে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। আমরা লিখিত প্রস্তাব দিয়েছি। আলোচনা ভালো হয়েছে। গণফোরামের পক্ষ থেকে ২১ দফা দাবি দেয়ার কথা জানান তিনি।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমাদ আবদুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনা যেসব চুক্তি করেছেন সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন করে যেগুলো ‘দেশবিরোধী’, সেগুলো বাতিল করার কথা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। দলের পক্ষ থেকে সংস্কারের ৭ দফা প্রস্তাবও দেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে সরকার ব্যবস্থায় কাঠামোগত সংস্কার, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদের বেশি না থাকা এবং কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় প্রধান পদে না থাকা, নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার, প্রশাসনিক, আর্থিক ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আনা দাবি ও পরামর্শ আছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স