ঢাকা , বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫ , ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পোরশায় বি এন পি'র সালেক ডাক্তার পক্ষের বিজয় রেলি ও আলোচনা সভা কোটি টাকার ক্ষতির মুখে খামারিরা, নিশ্চুপ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ফরিদপুরে ড‍‍্যাব এর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, আহত ২ কোনাবাড়ী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন কুমিল্লায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৪ বোদায় অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগে যৌথ বাহিনীর অভিযান পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার মাদারীপুরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ৪৭ কিলোমিটার অংশ খানাখন্দকে ভরা পঞ্চগড়ের বোদায় মাদক ডিলার আটক কমলনগরে বিশেষ অভিযানে ২ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার হাটহাজারীতে সালিশি বৈঠকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা আমতলীতে জুলাই আন্দোলনের ১ বছর হওয়ায় মিছিল শেষে বাড়ী ফেরা হয়নি ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি রেজাউলের ভাণ্ডারিয়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান দাগনভূঞায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ঠিকাদারকে হত্যার হুমকি সাঁথিয়ায় ভূমি অফিসের নায়েব কুপ্রস্তাব দিলেন নারী গ্রাহককে ‘শাসক নয়, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সহায়তাকারী’ সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশনা নতুন মামলায় গ্রেফতার রাশেদ ইনু-পলক চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় তিন ভাইসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
পানিবন্দি-ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়ের জন্য দুর্গত এলাকাগুলোতে ৪৪০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে

বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫২

  • আপলোড সময় : ৩০-০৮-২০২৪ ০৭:১৬:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৮-২০২৪ ০৭:১৬:৩৬ অপরাহ্ন
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫২
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশের ১১ জেলার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে, তার মধ্যে ফেনীতেই সবচেয়ে বেশি ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সপ্তাহ পেরুনো এই বন্যায় এসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫ লাখের বেশি মানুষ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১১ জেলায় ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯টি পরিবার এখনো পানিবন্দি; ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৩ জন।
যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ; ৭ জন শিশু এবং ৬ জন নারী।
ফেনীতে সবচেয়ে বেশি ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লায় ১৪ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, নোয়াখালীতে ৮ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, লক্ষীপুর ও মৌলভী বাজারে ১ জন করে মারা গেছে। এর বাইরে একজন নিখোঁজ আছেন মৌলভীবাজারে।
আগের দিন বন্যায় ৩১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। আর ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা জানিয়েছিল ৫৮ লাখ।
উজানের তীব্র ঢল এবং অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত ২০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পরে দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।
?আলী রেজা বলেন, পানিবন্দি-ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দুর্গত এলাকাগুলো ৪ হাজার ৪০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ লাখ ২ হাজার ৫০১ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আর ৩৬ হাজার ৪৪৮টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে এসব এলাকায় ৫৯৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব।
এছাড়া বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ‘মজুদ রয়েছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আলী রেজা বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সংগ্রহ করা ১ লাখ ৪ হাজার ১০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) এর মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
বন্যাদুর্গত এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর (ডিডিএম) এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আলী রেজা বলেন, বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া চিকিৎসাসেবা দিতে ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় ক্লিনিক, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে সরকারের এই অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে মোবাইল ও টেলিফোন যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব রোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। যে কোনো তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ০২৫৫১০১১১৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন আলী রেজা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স