ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫ , ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য: প্রধান বিচারপতি নির্বাচিত সরকারে দায়িত্বে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই-ড. ইউনূস ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক রাজনীতিতে সুবাতাস আনবে-রিজভী এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা পাইকগাছায় পাটের আবাদে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা তেঁতুলিয়ায় বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন ঝিটকা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে হয়েছে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান পঞ্চগড়ে সুপারির বাম্পার ফলন প্রথম অস্কার প্রাপ্তির ঘটনা নিয়ে এখনো বিব্রত জোলি ৫ দিনে ১০০ কোটির মাইলফলক পার করলো ‘হাউজফুল ৫’ বাবার জন্মদিনে দীপিকার অভিনব উপহার বলিউডে স্বজনপ্রীতি নিয়ে যা বললেন সোনাক্ষী না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পর যে বার্তা দিলেন শাকিব খান জলকেলিতে মাতলেন পরীমণি কলম্বিয়ার সাথে ড্রয়ে ম্যাচ শেষ করলো আর্জেন্টিনা এশিয়ান কাপে বাংলাদেশে খেলার চান্স কতটুকু? অবসর নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অধিনায়কত্ব পেলেন পুরান ও ম্যাক্সওয়েল ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া

​যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের মাসিক বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা!

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
​যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের মাসিক বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা!
যশোর থেকে শেখ দিনু আহমেদ
যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব সপ্তাহের দুইদিন ঢাকায় বিমানে যাতায়াত করেন। একবার ঢাকায় বিমানে যেতে ৫ হাজার টাকা লাগে। সেখানে তিনি প্রতি মাসে আটবার ঢাকায় যাতায়ত করেন। অর্থাৎ প্রতি মাসে তার বিমান ভাড়া বাবদ ব্যয় হয় ৪০ হাজার টাকা। প্রতি মাসের অবৈধ উপার্জনের টাকা থেকে তিনি এই অর্থ ব্যয় করেন বলে অফিসের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুত্রমতে, যশোর  জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব অবৈধভাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন। অবৈধ আয়ের খাতগুলো হচ্ছে, প্রতিদিন যশোর সদরসহ ৮ উপজেলায় কমপক্ষে ৫ হাজার দলিল  সম্পাদিত হয়। এর প্রতিটি দলিল থেকে ১শ’ টাকা, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২শ’ টাকা হারে জেলা রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন ৫ হাজার দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে যদি ১শ’ টাকা হারেও ঘুষ দেয়া হয়, তাহলে প্রতিদিন এ খাত থেকে জেলা রেজিস্ট্রার ৫ লাখ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন। এছাড়া যশোরের ৮ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের কাছ  থেকে প্রতি মাসে চুক্তি মাফিক তিনি একটি বড় অংকের উৎকোচ পেয়ে থাকেন। যশোর জেলায় ১২২ জন কাজী রয়েছেন যারা প্রতি মাসে অফিসের বড় বাবুর মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রারকে একটি ধার্য রেটে ঘুষ দিয়ে থাকেন। যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের রেকর্ড রুম থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার দলিলের নকল সরবরাহ করা হয়। এখাত থেকেও বড় বাবুর মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রার উৎকোচ পেয়ে থাকেন। তাছাড়া উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসগুলো অডিট ও রদবদলের ক্ষেত্রেও জেলা রেজিস্ট্রারের অবৈধ উপার্জন রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে জেলা রেজিস্ট্রারের অবৈধ উপার্জনের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। তবে প্রতি মাসে তার লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন আছে তা অনুমান করা গেছে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুর্নীতির এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য