ঢাকা , সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫ , ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
তালতলীতে বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলায় আ.লীগের সভাপতিসহ ১৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ওভালে রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা, সিরিজে সমতা আনল ভারত মুকিমের আঁটসাঁট বোলিংয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফের হটিয়ে সিরিজ পাকিস্তানের মেসির ইনজুরি, মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তিন থেকে চার সপ্তাহ বাংলাদেশ টেবিল টেনিসে থাইল্যান্ডের ২৫ বছর বয়সী কোচ স্মিথ ছিটকে পড়ায় টেস্ট দলে সুযোগ পেলেন ফকস ভারত সফরে আসছেন মেসি, কোহলি-টেন্ডুলকারদের সঙ্গে মাঠে নামার প্রস্তুতি পালমারে জিদানের ছায়া দেখছেন নেভিন, রোনালদো-মেসির সঙ্গে তুলনায় আপত্তি এশিয়া কাপের আগে ডাচ পরীক্ষা, সব ম্যাচই সিলেটে আটাবের কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিল, প্রশাসক নিয়োগ ৩৭০ ধারা বিলোপের পর জম্মু কাশ্মীরে অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন মাইলস্টোনে স্কুল কার্যক্রম শুরু হয়নি, কলেজে ভর্তি চলছে গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু, বাবা-মা দগ্ধ ৫ আগস্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বর্ণাঢ্য আয়োজন শেখ হাসিনাকে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না -মির্জা ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত তিন মাসেও স্বাস্থ্য খাতে সুপারিশ বাস্তবায়ন নেই মুজিববাদী সংবিধান আর রাখতে চাই না-সারজিস শেখ হাসিনা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী স্বৈরাচার-অ্যাটর্নি জেনারেল প্রথম সাক্ষ্য দিলেন গুলিতে মুখাবয়ব হারানো খোকন চন্দ্র

​যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের মাসিক বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা!

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
​যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের মাসিক বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা!
যশোর থেকে শেখ দিনু আহমেদ
যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব সপ্তাহের দুইদিন ঢাকায় বিমানে যাতায়াত করেন। একবার ঢাকায় বিমানে যেতে ৫ হাজার টাকা লাগে। সেখানে তিনি প্রতি মাসে আটবার ঢাকায় যাতায়ত করেন। অর্থাৎ প্রতি মাসে তার বিমান ভাড়া বাবদ ব্যয় হয় ৪০ হাজার টাকা। প্রতি মাসের অবৈধ উপার্জনের টাকা থেকে তিনি এই অর্থ ব্যয় করেন বলে অফিসের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুত্রমতে, যশোর  জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব অবৈধভাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন। অবৈধ আয়ের খাতগুলো হচ্ছে, প্রতিদিন যশোর সদরসহ ৮ উপজেলায় কমপক্ষে ৫ হাজার দলিল  সম্পাদিত হয়। এর প্রতিটি দলিল থেকে ১শ’ টাকা, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২শ’ টাকা হারে জেলা রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন ৫ হাজার দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে যদি ১শ’ টাকা হারেও ঘুষ দেয়া হয়, তাহলে প্রতিদিন এ খাত থেকে জেলা রেজিস্ট্রার ৫ লাখ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন। এছাড়া যশোরের ৮ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের কাছ  থেকে প্রতি মাসে চুক্তি মাফিক তিনি একটি বড় অংকের উৎকোচ পেয়ে থাকেন। যশোর জেলায় ১২২ জন কাজী রয়েছেন যারা প্রতি মাসে অফিসের বড় বাবুর মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রারকে একটি ধার্য রেটে ঘুষ দিয়ে থাকেন। যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের রেকর্ড রুম থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার দলিলের নকল সরবরাহ করা হয়। এখাত থেকেও বড় বাবুর মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রার উৎকোচ পেয়ে থাকেন। তাছাড়া উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসগুলো অডিট ও রদবদলের ক্ষেত্রেও জেলা রেজিস্ট্রারের অবৈধ উপার্জন রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে জেলা রেজিস্ট্রারের অবৈধ উপার্জনের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। তবে প্রতি মাসে তার লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন আছে তা অনুমান করা গেছে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুর্নীতির এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ