ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি পেলো আরও ৫২ প্রতিষ্ঠান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা আম উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে : কৃষি সচিব বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ আটক ৮ ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক যশোরের শার্শা সীমান্তে বিদেশি অস্ত্রসহ দুই ব্যবসায়ী আটক শৈশবের ক্লাবে ফিরে গেলেন ডি মারিয়া রোনালদোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চায় আল নাসর ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে উঠলো নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উইন্ডিজের বিপক্ষে ইংলিশদের রানের পাহাড় ৯ বছর পর ফাইনালের টিকেট পেলো আরসিবি পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতাতে চান হাসান আলি সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুকের দেশ ছাড়ার গুজব বিসিবির নতুন সভাপতি হলেন বুলবুল হোটেলে কথা কাটাকাটির জের বালিশচাপা দিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঝড়ো হাওয়া ভারী বৃষ্টি

আত্রাই দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ১৫ জন ॥ শিক্ষক ৬ জন

  • আপলোড সময় : ১৬-০৩-২০২৪ ১২:৫৩:১৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৩-২০২৪ ১২:৫৩:১৬ পূর্বাহ্ন
আত্রাই দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ১৫ জন ॥ শিক্ষক ৬ জন আত্রাই দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

আত্রাই (নওগাঁ) থেকে মো. কাজী রহমান
আত্রাই উপজেলার দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়েএই ১৫ জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখায় রয়েছেন ছয় জন শিক্ষককাগজে-কলমে মোট ৬৮ জন শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে এর হদিস মেলেনিঅভিযোগ ওঠেছে বিদ্যালয়ের দুই এক জন শিক্ষকের কারণে শিশুদের ভর্তি করান না অভিভাবকরাফলে শিক্ষার্থী শূন্য হতে চলেছে বিদ্যালয়টিতে
জানাগেছে, দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত ১৯৯১ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্থাপতি হয়েছেএর পর সরকারের ঘোষণা অনুয়ায়ী গত ২০১৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেবিদ্যালয়ে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং নানা দুর্ভোগের কথা জানতে পেরে গত সোমবার সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তৃতীয় শ্রেণীতে ৬ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ৫ জন এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ৪ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত আছেএবং প্রাক-প্রাথমিক কক্ষে যেখানে কোমলমতি শিশুদের জন্য সাজানো গোছানো মনোরম পরিবেশ থাকার কথা সেখানে রয়েছে বাচ্চা ঘুমানোর ব্যবস্থাস্কুলে মুজিব কর্ণার ও শেখ রাসেল কর্ণার আছে কি না জানে না কোনো শিক্ষার্থীনেই শিশুদের খেলাধুলার জন্য সরঞ্জামওতবে শিক্ষার্থী কম থাকলেও কম নেই শিক্ষকের সংখ্যাঅনেক বিদ্যালয় যেখানে শিক্ষকের অভাবে সুষ্ঠু পাঠদান করাতে পারছেন না, সেখানে এমন কম সংখ্যক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষক পাঠদান করাচ্ছেনবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মুজিব কর্ণার কি জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে আমরাতো সেটা কখনো দেখিনি! স্যারতো আমাদেরকে বলেনি কোনটা মুজিব কর্ণারওই এলাকার নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এই বিদ্যালয়ে তেমন পড়ালেখা হয় নাদুইজন শিক্ষকের কারণে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছেফলে আমরা শিশুদের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিয়েছিঅভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা নারগিস বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আমরা তাই গ্রামের মানুষেরা আমার বিরুদ্ধে অনেক কিছু বলে থাকেবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আশপাশে অনেক মাদ্রাসা গড়ে ওঠার কারণে অভিভাবকরা মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছেনএছাড়া এছাড়া এলাকায় খেত থেকে আলু উত্তোলন করার মৌসুম পড়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী আলু তোলার কাজে ব্যস্ত রয়েছেফলে উপস্থিতি কমে গেছেঅবশ্য এ বিষয়গুলো আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অবগত আছেন বলে দাবি করেন তিনি
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুল হক বলেন, এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেক কমতবে স্কুলের দুই একজন শিক্ষকের জন্য অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদেন স্কুলের ভর্তি করান নাস্কুলের টয়লেট গণশৌচাগার হিসেবে ব্যবহার হয়এবিষয়ে আমি অনেকবার পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করেছিএছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে আমি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছিতারাও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনিএবং প্রধান শিক্ষকের সাথে সমন্বয় করার চেষ্টা করেছিকোনো বিষয়ে সমস্যা সমাধান কার সম্ভব হয়নিএ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাযহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়গুলো আমি জানলাম, সেখানে আমি যাবো এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য