ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ

আত্রাই দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ১৫ জন ॥ শিক্ষক ৬ জন

  • আপলোড সময় : ১৬-০৩-২০২৪ ১২:৫৩:১৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৩-২০২৪ ১২:৫৩:১৬ পূর্বাহ্ন
আত্রাই দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ১৫ জন ॥ শিক্ষক ৬ জন আত্রাই দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

আত্রাই (নওগাঁ) থেকে মো. কাজী রহমান
আত্রাই উপজেলার দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়েএই ১৫ জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখায় রয়েছেন ছয় জন শিক্ষককাগজে-কলমে মোট ৬৮ জন শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে এর হদিস মেলেনিঅভিযোগ ওঠেছে বিদ্যালয়ের দুই এক জন শিক্ষকের কারণে শিশুদের ভর্তি করান না অভিভাবকরাফলে শিক্ষার্থী শূন্য হতে চলেছে বিদ্যালয়টিতে
জানাগেছে, দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত ১৯৯১ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্থাপতি হয়েছেএর পর সরকারের ঘোষণা অনুয়ায়ী গত ২০১৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেবিদ্যালয়ে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং নানা দুর্ভোগের কথা জানতে পেরে গত সোমবার সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তৃতীয় শ্রেণীতে ৬ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ৫ জন এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ৪ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত আছেএবং প্রাক-প্রাথমিক কক্ষে যেখানে কোমলমতি শিশুদের জন্য সাজানো গোছানো মনোরম পরিবেশ থাকার কথা সেখানে রয়েছে বাচ্চা ঘুমানোর ব্যবস্থাস্কুলে মুজিব কর্ণার ও শেখ রাসেল কর্ণার আছে কি না জানে না কোনো শিক্ষার্থীনেই শিশুদের খেলাধুলার জন্য সরঞ্জামওতবে শিক্ষার্থী কম থাকলেও কম নেই শিক্ষকের সংখ্যাঅনেক বিদ্যালয় যেখানে শিক্ষকের অভাবে সুষ্ঠু পাঠদান করাতে পারছেন না, সেখানে এমন কম সংখ্যক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষক পাঠদান করাচ্ছেনবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মুজিব কর্ণার কি জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে আমরাতো সেটা কখনো দেখিনি! স্যারতো আমাদেরকে বলেনি কোনটা মুজিব কর্ণারওই এলাকার নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এই বিদ্যালয়ে তেমন পড়ালেখা হয় নাদুইজন শিক্ষকের কারণে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছেফলে আমরা শিশুদের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিয়েছিঅভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা নারগিস বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আমরা তাই গ্রামের মানুষেরা আমার বিরুদ্ধে অনেক কিছু বলে থাকেবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আশপাশে অনেক মাদ্রাসা গড়ে ওঠার কারণে অভিভাবকরা মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছেনএছাড়া এছাড়া এলাকায় খেত থেকে আলু উত্তোলন করার মৌসুম পড়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী আলু তোলার কাজে ব্যস্ত রয়েছেফলে উপস্থিতি কমে গেছেঅবশ্য এ বিষয়গুলো আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অবগত আছেন বলে দাবি করেন তিনি
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুল হক বলেন, এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেক কমতবে স্কুলের দুই একজন শিক্ষকের জন্য অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদেন স্কুলের ভর্তি করান নাস্কুলের টয়লেট গণশৌচাগার হিসেবে ব্যবহার হয়এবিষয়ে আমি অনেকবার পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করেছিএছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে আমি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছিতারাও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনিএবং প্রধান শিক্ষকের সাথে সমন্বয় করার চেষ্টা করেছিকোনো বিষয়ে সমস্যা সমাধান কার সম্ভব হয়নিএ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাযহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়গুলো আমি জানলাম, সেখানে আমি যাবো এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য