ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুনামগঞ্জের সেই গ্রামে কড়া নিরাপত্তা, বসেছে ক্যাম্প সীমান্তে বিএসএফের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন ভারতীয় প্রচারণার জবাব দিতে জাতীয় সমাবেশের প্রস্তাব এসেছে: আসিফ নজরুল সাড়ে ৩ বছর পর কারামুক্ত বাবুল আক্তার সেই মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী অধিকারের ভিত্তিতে ভারতের সাথে সমস্যার সমাধান চায় বাম জোট দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে আ’লীগ-লন্ডনে মির্জা ফখরুল ঢাকা সফরে আসতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব দেশকে নতুন করে অস্থির করার চেষ্টা চলছে কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে : সুপ্রিম কোর্ট চিন্ময় ইস্যুতে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র কারাবন্দি ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ এখনো পলাতক ডিসেম্বর মাসে ১২ বার শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা সীমান্তে আমদানি রফতানি বন্ধ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে এলো ঢাকা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টার প্ল্যান পুনর্গঠন করা হবে হাইকমিশনে আক্রমণ কোনো সভ্য রাষ্ট্রের আচরণ নয়- নাহিদ সাগরে ইলিশ নেই দুশ্চিন্তায় জেলেরা পুরনো ইঞ্জিন ও কোচে বাড়ছে রেল দুর্ঘটনা

অর্থনৈতিক সংকট দ্রুত পুনর্গঠন জরুরি

  • আপলোড সময় : ১২-০৮-২০২৪ ১০:০৬:৩১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৮-২০২৪ ১০:০৬:৩১ অপরাহ্ন
অর্থনৈতিক সংকট দ্রুত পুনর্গঠন জরুরি

সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট অস্থিরতার প্রভাব গিয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যও ব্যাহত হয়েছে। অর্থনীতিবিদ ব্যবসায়ীদের অভিমত-দেশের অর্থনীতি আগে থকেই বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছিল। নতুন সরকারের প্রেক্ষাপটে এখন চ্যালেঞ্জের সংখ্যা আরও বাড়ল। বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। কারখানার নিরাপত্তা জোরদার করে ৎপাদন কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করা। পাশাপাশি ভেঙে পড়া সরবরাহ ব্যবস্থাও দ্রুত স্বাভাবিক করা দরকার। বস্তুত সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থায়। যে কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় ধীরে ধীরে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে পণ্যের দাম কিছুটা কমতে শুরু করলেও ৎপাদন ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কনটেইনার জট লেগে গেছে। নিরাপত্তার কারণে উদ্যোক্তারা পণ্যের ডেলিভারি নিচ্ছেন কম। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমদানি-রফতানিতে। বস্তুত নতুন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আগে থেকে চলা সংকটের কারণে খুব শিগগিরই অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনার কাজটি খুব কঠিন। অনিয়ম, দুর্নীতি, টাকা পাচার, হুণ্ডি এসব বন্ধ করা হলে আশা করা যায় দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অর্থনীতিকে গতিশীল করতে হলে সবার আগে আস্থার পরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার। দেশে ডলারের সংকট এখনো প্রকট। ডলারের দাম কৃত্রিমভাবে ধরে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত দামে ডলার মিলছে না। ফলে আমদানির এলসি খোলা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক আন্দোলনের নেপথ্যেও কাজ করেছে অর্থনৈতিক সংকট। কাজেই এসব সংকট দ্রুত দূর করার পদক্ষেপ নেয়া দরকার। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে অর্থনীতিকে গতিশীল করে এখন বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর পদক্ষেপও নিতে হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিকভাবে সরকারি খাতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর পদক্ষেপও নেয়া দরকার। সরকারি খাতের শূন্য পদগুলোতে নিয়োগ প্রদান করা হলে তারাও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন। সরকারি খাতের বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে জনবল সংকট রয়েছে। সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রদানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক করার পদক্ষেপও নিতে হবে। দেশের মোট কর্মসংস্থানের বড় অংশই হচ্ছে বেসরকারি খাতে। কাজেই বেসরকারি খাতকে চাঙা করার পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি শিল্পের বিকাশে দরকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ। আমরা আশা করি, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য