জনতা ডেস্ক
এক মাসের বিক্ষোভের মুখে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এই বিক্ষোভে ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর উচিত প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড ঠেকানো। আর গঠিত হওয়া অন্তর্বতী সরকারের উচিত নিপীড়নের তদন্ত করা এবং গণতন্ত্র ফেরানোর কাজ শুরু করা।
শেখ হাসিনা সরকারের ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এক মাসের গণবিক্ষোভের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। হাজারো বিক্ষোভকারী রাজধানী ঢাকায় তাঁর বাসভবনে ঢুকে পড়ায় প্রতিবেশী ভারতে তিনি আশ্রয় চান। কয়েক সপ্তাহ ধরে এটা অনিবার্য মনে হয়েছিল যে, হাসিনাকে পদ ছাড়তে বাধ্য করা হবে, কিন্তু তিনি ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অনমনীয় এবং নৃশংস কায়দায় লড়ে যান। সব মিলিয়ে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী অসন্তোষ দমন করার চেষ্টা করলে কমপক্ষে ৪৪০ জন নিহত হন, যাদের বড় অংশই বিক্ষোভকারী। সেনাবাহিনীর সমর্থন হারানোর পর তাঁর সরে যাওয়ায় ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য শহরে ?উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু একই সঙ্গে সহিংসতা ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। সেনাপ্রধান ঘোষণা দিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত একটি অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব নেবে এবং নতুন নির্বাচন দেওয়া হবে। রক্তাক্ত একটি মাসের পর তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার হচ্ছে নতুন যেকোনো হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ করা, সেটা বিক্ষোভকারীদের হাতে কিংবা হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের প্রতি অনুগত গোষ্ঠীগুলোর হাতেই হোক। কিন্তু বাংলাদেশকে গণতন্ত্র পুনর্গঠনের কঠিন কাজটিও শুরু করতে হবে, যা গত এক দশকে মারত্মকভাবে নষ্ট হয়ে গেছে; কারণ, দেশটি যেকোনো সময়ের চেয়ে একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার বেশি কাছাকাছি চলে যায়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata