ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
লক্ষীপুরের কামানখোলা জমিদার বাড়িকালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে ভাঙ্গায় আসন বিন্যাস নিয়ে উত্তেজনা, থানায় হামলা–অগ্নিসংযোগ ওরিয়েন্টেশনে চমক দেখালো ডিএমআরসি গাংগুরিয়া ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও শুভ উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্যক্রম শুরু ইসির যমুনা ও সচিবালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি গণঅধিকার পরিষদের মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, আসামি ৩১ জন টানা ১৪ দিনের দীর্ঘ ছুটি আসছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন টেলিকম নীতিমালা ঝুঁকিপূর্ণ রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ে বাড়ছে অপরাধ দেড় শতাধিক সাবেক আমলাকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিপুল টাকার আর্থিক অনিয়ম সোনা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ছে বিমানের ক্রুরা ডাকসু-জাকসুতে নির্দিষ্ট সংগঠনকে জালিয়াতি করে জয়ী করেছে কর্তৃপক্ষ-রিজভী কারাবন্দিদের সাজার মেয়াদ কমবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দোহায় আরব-মুসলিম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাপা ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি মামুনুল হকের খিলগাঁওয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বিয়েতে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকাকে খুন, গ্রেফতার ৩

সারিয়াকান্দিতে বেড়ছে লাল মরিচের আবাদ ও ভালো দামে খুশি কৃষকরা

  • আপলোড সময় : ০৬-০৩-২০২৪ ১০:২১:৫৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৩-২০২৪ ১০:২১:৫৯ পূর্বাহ্ন
সারিয়াকান্দিতে বেড়ছে লাল মরিচের আবাদ ও ভালো দামে খুশি কৃষকরা সারিয়াকান্দিতে বেড়ছে লাল মরিচের আবাদ
বাজারে সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মজুরি ও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে। লাভ বেশি হওয়ায় হাইব্রিড মরিচ চাষ বাড়লেও কমেছে দেশি লাল মরিচের আবাদ। এরপরও ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ার লাল মরিচ দেশসেরা। এর মধ্যে যমুনা ও বাঙালি নদীবিধৌত সারিয়াকান্দি উপজেলার বেলে-দোআঁশ মাটিতে মরিচ বেশি উৎপাদন হয়। কৃষকেরা এখন মাঠে মাঠে লাল মরিচ উত্তোলন, পরিবহণ করে বাড়িতে নেয়া, বাছাই করে উঠান, চাল, চাতাল বা খোলা স্থানে শুকাতে দিচ্ছেন। শুকিয়ে যাওয়ার পর লাল মরিচ আবারও বাছাই করে বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করবেন তারা। যমুনা এবং বাঙালি নদীর পানি নেমে যাওয়ার পরপরই জমিতে জো (কাক্সিক্ষত পানি থাকা) আসলে কৃষকেরা দেশি মরিচের বীজ বপন বা হাইব্রিড মরিচের চারা রোপণ করেন। বিগত বছরগুলোতে দেশি মরিচে লাগাতার লোকসানের জন্য কৃষকেরা হাইব্রিড জাতের মরিচ বেশি চাষ করেছেন। 
এ মরিচ আগাম ধরে ও দেশি মরিচের তুলনায় বেশি উৎপাদন হয়। এ ছাড়া কাঁচা অবস্থাতেই মরিচ বাজারজাত করে বেশি মুনাফা হয়। তাই কৃষকেরা দিন দিন হাইব্রিড মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। 
ফলে এ উপজেলায় কমেছে দেশি মরিচের আবাদ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং শ্রমিকের মজুরি বেশি, উত্তোলনে খরচ বৃদ্ধি, নদীতে নাব্যতা না থাকায় পরিবহণ খরচ বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এবার লাল মরিচের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। 
স্থানীয় আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার মরিচের দাম তুলনামূলক একটু কম। গত বছর যেখানে লাল টোপা মরিচ প্রতি মণ তিন হাজারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। এ বছর তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজারের কিছু বেশিতে। তবে কৃষকেরা জানিয়েছেন, এ দামে বিক্রি করেও তারা খুশি। এর চেয়ে দাম আরও কমলে তারা ব্যাপকভাবে লোকসানের মুখে পড়বেন।  
সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের পারতিতপরল গ্রামের মরিচচাষি লেবু মিয়া জানান, দেশি জাতের মরিচ চাষ ছেড়ে তিনি এ বছর আট বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে তিন লাখ টাকা।  এ বছর মরিচ চাষে খরচ বেশি হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, মরিচের জন্য বিখ্যাত সারিয়াকান্দিতে বরাবরের মতো এ বছরও আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। মরিচ চাষের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
আদিবাসী পাড়ায় থমকে গেছে প্রকল্পের কাজ ॥ বিপাকে বাসিন্দারা 
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের গোয়ালহুদা আদিবাসী পল্লির বাসিন্দা রেনুকা বালা বলেছেন, সরকারিভাবে গৃহনির্মাণ করার জন্য ঘর-দুয়ার ভাঙ্গার পর প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বসবাসকারীরা এখন মানবতার জীবন-যাপন করছে। গত সোমবার মহেশপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রেনুকা বালা ও তার ছেলে শ্যামল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা সরকারের ১/১ খতিয়ানের গোয়াহুদার ১৭ শতাংশ জমিতে তারা বসবাস করে আসছিল। সরকারের ভূমি অফিসের লোকজন যোগাযোগ করে জানায় এখানে তাদের গৃহনির্মাণ করে দেয়া হবে। সে হিসেবে স্থানীয় ভূমি অফিস ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস তাদের বসতঘর সরিয়ে নেয়ার জন্য বলে। এবং তারা ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। সেখানে গৃহনির্মার্ণের জন্য ইট বালি ফেললোও গত দুই মাসেও গৃহনির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। তারা আরও বলেন, খালিশপুরের সুমার আলী নামের একজন নিজে জমি দাবি করলে প্রকল্পে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন তারা মানবতার জীবনযাপন করছে। মহেশপুরে প্রকল্প বাস্তবায়নের কর্মকর্তা মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গৃহনির্মাণের করার জন্য সকল প্রস্ততি সস্পূর্ণ করেছিলাম। 
কিন্তু জমি নিয়ে মামলা থাকার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।  খালিশপুরের সুমার আলী জানায়, আমি হিরা বালা ও সবেদা বালার কাজ থেকে জমি খরিদ করেছি। মহেশপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন জানায়, ওই জমি নিয়ে মামলা থাকায় কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। গোয়ালহুদা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পক্ষে রেনুকা বালা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, তাদের দ্রুত গৃহনির্মাণ না করা হলে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়বে।

 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স