সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও প্রাণহানির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে আন্দোলন চলাকালে স্বার্থান্বেষীদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় সম্পদে ধ্বংসলীলা চালানো হয়। এই আন্দোলন ও ধ্বংসলীলা চলাকালে অনেক মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ভীত হয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়।
যদিও প্রতিদিনই কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে, মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করছে এবং অফিস-আদালত, ব্যাংক-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে; আশা করা যায়, দ্রুতই সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং কারফিউ উঠে যাবে। কোটা আন্দোলনকারীদের কোটা সংস্কার দাবি সম্পূর্ণ পূরণ হয়েছে। এখন শিক্ষা প্রাঙ্গণগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। আন্দোলন চলাকালে বিশেষ করে ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুবৃত্তরা মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, সেতু ভবন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কার্যালয়, বিভিন্ন স্থানের টোল প্লাজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস, মহাখালীর ডাটা সেন্টার, মহাখালী করোনা হাসপাতাল, পুষ্টি ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিদ্যুৎ অফিস, বিআরটিএ ভবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। এছাড়া বহু ব্যাংক, দোকানপাট, অফিস, সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা নরসিংদীতে কারাগারে হামলা করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সকল কয়েদিকে বের করে দিয়েছে। এসব ধ্বংসলীলা যারা সংগঠিত করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হবে। এই বিচার প্রক্রিয়ায় যেন কোনো নির্দোষ-নিরপরাধী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, সকল প্রকার গুজব ও সম্ভাব্য সন্ত্রাসী ঘটনা সম্পর্কে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সকল পক্ষকে একত্রিত হয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তদের দমন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে সুস্থ টেকসই গঠনতান্ত্রিক দেশ গঠনে প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও প্রাণহানির ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি
- আপলোড সময় : ২৭-০৭-২০২৪ ১২:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৭-০৭-২০২৪ ১২:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন


নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ