ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

শিক্ষায় ঘাটতি থাকলে চিকিৎসক তৈরি সম্ভব নয়

  • আপলোড সময় : ২৯-০২-২০২৪ ০৯:৫৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০২-২০২৪ ০৯:৫৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিক্ষায় ঘাটতি থাকলে চিকিৎসক তৈরি সম্ভব নয় শিক্ষায় ঘাটতি

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় শিক্ষক সংকটের বিষয়টি বহুল আলোচিত। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অবস্থায় শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা করা কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে, তা সহজেই অনুমেয়। চিকিৎসক তৈরির নামে জোড়াতালির পাঠদান কোনোভাবেই কাম্য নয়। মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে দেশে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে গত দেড় দশকে। এসব মেডিকেল কলেজে প্রতি বছর চার হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি খরচে পড়ার সুযোগ পান। এসব মেডিকেল কলেজে শিক্ষকদের পদের বড় একটি অংশই ফাঁকা। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ২০ থেকে ৬০টি আসন বাড়িয়ে এক হাজার ৩০টি আসন বৃদ্ধি করার অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে বর্তমানে শিক্ষকের পদ রয়েছে পাঁচ হাজার ৬৬৮টি। যার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে দুই হাজার ৫৪৪টি পদ। সে অনুযায়ী সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় মোট পদের বিপরীতে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। জানা যায়, কাক্সিক্ষত সময়ে পদোন্নতি না হওয়া এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ কম থাকায় অধিকাংশ চিকিৎসকের মেডিকেল কলেজের মৌলিক বিষয়গুলোর শিক্ষক হওয়ার আগ্রহ কম। অন্যদিকে বেসরকারি বহু মেডিকেল কলেজে পরিচালনা ব্যয় কমাতে কম জনবল দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষক সংকটের মতো বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা মেনে নিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে যে সংকট তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি করছে, তা হচ্ছে শিক্ষক-স্বল্পতা। এভাবে আর কত দিন চলবে? এই শিক্ষকের বিদ্যমান সংকট শিগগিরই দূর না হলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অনেক বিষয়ে জানার ঘাটতি নিয়েই শেষ হতে পারে পাঁচ বছরের শিক্ষাজীবন। ফলে এ খাতে বিদ্যমান সংকটগুলো দূর করতে হলে নতুন জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং তাদের পদোন্নতি নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে সেসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের মেডিকেল কলেজগুলোয় জরুরি ভিত্তিতে অবকাঠামো সংকট দূর করতে হবে। এ অবস্থায় দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো চলতে পারে না। ফলে যেসব বিষয়কে চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রাণ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়, সেসব বিষয়ে প্রাধান্য দিতে হবে। তা না হলে মেডিকেল কলেজগুলোয় পাঠদান কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে আসবে এবং ভবিষ্যতে দক্ষ মেডিকেল শিক্ষক বা চিকিৎসক খুঁজে পাওয়াই কঠিন হতে পারে।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স