ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

সড়ক ও ফুটপাতে চাঁদাবাজি, আইনগত ব্যবস্থা নিন

  • আপলোড সময় : ১৩-০৭-২০২৪ ১১:১৫:১৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৭-২০২৪ ১১:১৫:১৮ অপরাহ্ন
সড়ক ও ফুটপাতে চাঁদাবাজি, আইনগত ব্যবস্থা নিন

বাংলাদেশে বেকারত্ব সমস্যা এটা সবারই কম বেশি জানা। শিক্ষিত বেকারও দেশে কম নয়। শিক্ষিত হয়েও চাকরি না পাওয়ায় পেশা হিসেবে অনেকে ব্যবসা করাকে বিবেচনা করেন। এভাবে অনেকের যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন না পাওয়াতে ব্যবসার সিদ্ধান্ত নেন। এই লক্ষ্য যথার্থ পুঁজি না থাকায় ফুটপাতে ব্যবসার পরিকল্পনা করেন অনেকে। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার অনেক গুরত্বপূর্ণ জায়গায় ফুটপাত ব্যবসা পরিলক্ষিত হয় ঠিক যেমনটা দেখা যায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে। উন্নত সড়ক এবং ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে জনসাধারণের উপকারের কথা ভেবে। কিন্তু সেখানে যদি সবসময় হকারদের জ্যাম লেগে থাকে তাহলে কেমন হয়? নিশ্চয় খুব খারাপ বিরক্তিকর বিষয় মনে হবে। এখন প্রশ্ন থাকতেই পারে যে সরকারিভাবে তো ফুটপাতে সড়কে ব্যবসা করার কোনো অনুমতি নেই, তাহলে অনুমতি দেয়ার পিছনে কী কোনো অপক্ষমতার হাত আছে? নিশ্চয় ক্ষমতাবান নেতাদের চাঁদাবাজির কারসাজি আছে। পত্রপত্রিকার খবর থেকে জানা যায়, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের ওভারব্রিজের পিলারের ফাঁকে খেজুরের এবং চা-দোকান বসানো হয়েছে। বাসস্ট্যান্ডের রাজ হোটেলের সামনে থেকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল গেট পর্যন্ত অসংখ্য ছোট-বড় দোকান বসে সড়ক আটকে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হকাররা। বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজারের সামনের সড়কে বসেছে বিভিন্ন পণ্যের পসরা। অন্যদিকে পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক ভাগের ভাগ হকারদের দখলে। এভাবেই সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সড়ক দখল করে চলে হকারদের বিভিন্ন ব্যবসা। বাসস্ট্যান্ড গোল চত্বর থেকে উপজেলা গেট পর্যন্ত এই লাইনে দেখা মিলে আরো হকারদের। এই লাইনের হকাররা দুপুর পর্যন্ত ব্যবসা করে। পরে বিকাল পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়কে এসে ভিড় করে। ফলে সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। এসব হকারের যত্রতত্র দোকান বসানোর কারণে অতিষ্ঠ পথচারীরা। অন্যদিকে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন চার লেন সড়ক এখন হকার স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজের আয়ের ৎস। একেকটি দোকান বসিয়ে ২০ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সালামি নেয় প্রভাবশালীরা। একই সঙ্গে প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ নেয়া হয় হাজার টাকা। প্রশাসনের সামনেই এসব ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এখনি উপযুক্ত সময় এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার। বেকারত্ব সমস্যা রোধে হকারদের একেবারে ব্যবসা থেকে বঞ্চিত না করে তাদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে দেয়া হোক।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য