
বন্যায় ১৮ জেলার ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যাদুর্গত এলাকায় চাহিদা মোতাবেক ত্রাণ যাচ্ছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- আপলোড সময় : ০৭-০৭-২০২৪ ০৮:২৭:১৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-০৭-২০২৪ ১২:০০:৫২ পূর্বাহ্ন


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, সিলেটসহ বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে মানুষের প্রয়োজন এবং চাহিদা মোতাবেকই ত্রাণ যাচ্ছে। সিলেট-৩, সুনামগঞ্জ-১ ও মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসনে ২৫০০ প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের অনেক অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে মহিববুর রহমান বলেন, ‘যেসব এলাকায় বন্যা হয়েছে সেসব জেলার ডিসিরা নিশ্চিত করেছেন তাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। যাকে যেখানে সহযোগিতা করা দরকার সেটা করা হচ্ছে। এই অভিযোগের সত্যতা আমরা পাইনি। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, আমাদের ত্রাণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকায় দুর্গতদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য এ পর্যন্ত ১৮ জেলায় ২১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ পাঁচ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ৬৫ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার, গো-খাদ্য বাবদ ৪০ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্যের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত জেলার সংখ্যা ১৮টি, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। বন্যাদুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য প্রায় তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য ৬১৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। কেউ ত্রাণ না পাওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারপরেও যদি এমন তথ্য আমাদের কাছে আসে, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া ৯৯৯-এ কল করলেও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। বাংলাদেশের এমন কোনো গ্রাম-ইউনিয়ন নেই, যেখানে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী নেই। এখন পর্যন্ত আমাদের কোথাও কোনো ঘাটতি নেই। দেশের প্রতিটি জেলায় বন্যাকালীন ত্রাণ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়ে রাখা হয়েছে। এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সমগ্র পৃথিবীতে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ একটা মডেল। বন্যাপরবর্তী ক্ষতি যাতে মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারে, সেসব বিষয়েও আমরা কাজ করছি। বন্যায় ত্রাণ সরবরাহে যাতে কোনো সমন্বয়হীনতা না থাকে সেদিকে খেয়াল রেখে সব জেলার ডিসিদের সঙ্গে জুম মিটিং করেছি। তাদের প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছ।’ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ মাথাপিছু কেমন বরাদ্দ পাচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বর্তমান বন্যটা অনেক লম্বা সময়ের জন্য হয়। এখনকার বন্যার মাথাপিছু বরাদ্দ করা হয়নি। তবে যখন যার যেটা দরকার, সেটা দেওয়া হচ্ছে। এখানে গ্যাপ থাকার সুযোগ নেই।’
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ