ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মহালছড়িতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ শ্রীপুরে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে থানার এএসআই ক্লোজড সাঘাটার ভূমিদস্যু সুইট ও সহযোগীদের শাস্তির দাবি ফুলবাড়ীতে প্রতিপক্ষের গাড়ি ভাঙচুর ও মারপিট ৩১ শয্যার হাসপাতালে ২২ পদ শূন্য, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেননি ডিসি আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা বান্দরবানে হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি আমতলীতে ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২জন স্টাফদের মধ্যে১৬ জনের শুন্যপদ থাকায় চিকিৎসাসেবা ঝুঁকে পরছে হেরা ফেরি ৩-তে ফিরছেন টাবু বাশার-তিশার নতুন রোমান্সের গল্প ‘বসন্ত বৌরি’ ওজন কমাতে সার্জারি, প্রাণ গেল মেক্সিকান ইনফ্লুয়েন্সারের ‘স্কুইড গেম’ অভিনেত্রী লি জু-শিল আর নেই বিচ্ছেদের পর ফের নতুন প্রেম খুঁজছেন মালাইকা অরোরা? দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘বলী’ আসছে ৭ ফেব্রুয়ারি হামলার পর প্রথমবার জনসমক্ষে সাইফ আলী খান অবশেষে প্রকাশ্যে এলো চিত্রনায়িকা পপির স্বামী-সন্তানসহ ছবি সমালোচনা সহ্য না হলে উপদেষ্টা পদ ছেড়ে রাজনৈতিক দল করেন-রিজভী

তৈরি পোশাক রফতানিতে ভালো করছে নতুন বাজার

  • আপলোড সময় : ৩০-০৬-২০২৪ ০৪:০২:১৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৬-২০২৪ ০৪:০২:১৭ অপরাহ্ন
তৈরি পোশাক রফতানিতে ভালো করছে নতুন বাজার
তৈরি পোশাক খাতের সামগ্রিক রফতানি আয় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দশমিক ৮৬ শতাংশ বাড়লেও অপ্রচলিত বাজারে আয় বেড়েছে দশমিক ৪৭ শতাংশ। অপ্রচলিত বাজারে তুলনামূলক ভালো প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন রফতানিকারক অর্থনীতিবিদরা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত অপ্রচলিত বাজার থেকে পোশাক পণ্যের রফতানি আয় দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১৮ কোটি ডলার, যা একই সময়ে আগের বছরে ছিল ৭৬৮ কোটি লাখ ডলার। মোট রফতানি আয়ের ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ এসেছে নতুন বাজার থেকে। অন্যদিকে, তৈরি পোশাকের পণ্যের সামগ্রিক রফতানি আয় বেড়েছে দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং আয় হয়েছে হাজার ৩৮৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল হাজার ২৬৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
অপ্রচলিত বাজারের মধ্য থেকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে জাপান থেকে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে জাপান থেকে তৈরি পোশাক রফতানি করে আয় হয়েছে ১৪৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। আগের বছর রফতানি হয়েছিল ১৪৫ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় হয়েছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। সেখান থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি আয় ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরে ছিল ১০৬ কোটি ডলার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকলেও রাশিয়া থেকে তৈরি পোশাক রফতানি আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। আয় হয়েছে ৪৬ কোটি ২৩ লাখ ডলার, যা আগের বছরে ছিল ৪০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের প্রতিবেশী এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক অংশীদার ভারতে পোশাক পণ্যের রফতানি কমেছে ২৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ৭৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরে ছিল ৯৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশের এক নম্বর বাণিজ্যিক অংশীদার চীনে রফতানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। আয় হয়েছে ৩১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার, যা আগের বছরে ছিল ২৫ কোটি লাখ ডলার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে রফতানি বেড়েছে ৫৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। সময়ে আয় হয়েছে ২৭ কোটি লাখ ডলার, যা গত বছর ছিল ১৭ কোটি লাখ ডলার
কোরিয়ায় তৈরি পোশাকের রফতানি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ১১ মাসে আয় হয়েছে ৫৭ কোটি ২৮ লাখ ডলার। গত বছর পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছিল ৫০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানি আয়ের ৪৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ আসে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে। অপ্রচলিত বাজারে রফতানি আয় ইতিবাচক থাকলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে রফতানি কমেছে শতাংশ। জুলাই-মে সময়ে আয় হয়েছে হাজার ১৬৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি কমেছে দশমিক ৪৩ শতাংশ। প্রথম ১১ মাসে আয় হয়েছে ৭৪৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। গত বছর একই সময় আয় হয়েছিল ৭৭৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক পণ্যের রফতানি বেড়েছে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আয় হয়েছে ৫১৬ কোটি ডলার, যা গত বছর ছিল ৪৫৯ কোটি ডলার।
পোশাক পণ্যের রফতানি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, প্রচলিত বাজারের প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা কমাতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। ফলে নতুন বাজারে রফতানির হিস্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এবং প্রচলিত বাজারের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হারও বেশি।
প্রবৃদ্ধির হার ধরে রাখতে এবং আগামী দিনে আরো ভালো করতে সরকারের চলমান সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি বাজেটে যে নতুন ধরনের কর আরোপ করা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করা এবং বাজেট রফতানিবান্ধব করতে হবে। অন্যথায় রফতানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হবে বলে দাবি করেন হাতেম।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমরা সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছি না। সম্ভাবনা অনুযায়ী আমরা রফতানি আয় বাড়াতে পারছি না। এক্ষেত্রে সরকারকে অশুল্ক বাধা দূর করা এবং রফতানি সহজীকরণের প্রতি নজর দেয়া প্রয়োজন। ভারত একটি বড় বাজার। কারণ এর রয়েছে অনেক বড় জনসংখ্যা। সেখানে যদি আমরা খুব সামান্য পরিমাণও মার্কেট ধরতে পারি সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন হবে। সুতরাং ভারতসহ সম্ভাবনাময় সব অপ্রচলিত বাজারগুলোর প্রতি সরকারকে বিশেষ নজর দিতে হবে এবং বাণিজ্যিক রিংগুলো কাজে লাগাতে হবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক . আহসান এইচ মনসুর বলেন, নতুন বাজারের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। তবে তা সম্ভাবনার চেয়ে কম। আমাদের নতুন বাজার আরো বেশি করে অনুসন্ধান করা উচিত। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে প্রচলিত বাজারে মার্কেটের হিস্যা রফতানিতে কমেছে।
অন্যদিকে প্রচলিত বাজারে অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা ঝুঁকিপূর্ণ এবং যে কোনো সময় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হতে পারে। সরকার রফতানিকারকদের নতুন বাজারে রফতানির জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদ। আহসান এইচ মনসুর বলেন, নতুন ধরনের নীতির সহায়তা প্রদান করতে হবে এবং নগদ সহায়তার পুনর্বিন্যাস করতে হবে, যাতে নতুন পণ্য নতুন মার্কেটে রফতানি করতে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা আগ্রহী হন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স