ঢাকা , রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অপারেশন ডেভিল হান্টে ষষ্ঠ দিনে গ্রেফতার ৫০৯ বিপুলসংখ্যক কারখানা বন্ধে দিশেহারা হাজার হাজার শ্রমিক পোশাক রপ্তানির বিপুল টাকা বিদেশেই থেকে যাচ্ছে আশুলিয়ায় ১২শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার আটক ৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড রামগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা সরিষার বাম্পার ফলন কৃষক খুশি গাজি কালুর জীবন ও দর্শন নিয়ে শোকমেলা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে চার সাংবাদিকের ওপর হামলা, আটক এক চোরাকারবারি ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে নেই অভিযান শ্রমিকদের মজুরি ৩০ হাজার টাকা দাবি বিবি কর্মকর্তার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মুন্সীগঞ্জের নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ মিললো ডোবায় আদালত পরিচালনার সময় দাউদকান্দিতে এসি ল্যান্ডের ওপর হামলা আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন এআই ব্যবহারে নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে হবে-প্রধান বিচারপতি মহাসমাবেশের ঘোষণা প্রাথমিকের নিয়োগপ্রত্যাশীদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল অধিদফতরের আন্দোলনকারীদের উপর জলকামান-লাঠিচার্জ সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে গতিসীমা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা- ইলিয়াস কাঞ্চন

বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিরা করছে ‘অর্থপাচার’ দিচ্ছে কর ফাঁকি

  • আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৪ ০৭:৫৩:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৪ ০৭:৫৩:২৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিরা করছে ‘অর্থপাচার’ দিচ্ছে কর ফাঁকি
বাংলাদেশে অবস্থানরত বৈধ বিদেশি শ্রমিকের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণের অবৈধ বিদেশি কর্মী কাজ করছেন, যাদের কোনও ওয়ার্ক পারমিট নেইতারা কোথায়, কোন কারখানায়, কী কাজ করছেন, কত টাকা বেতনে কাজ করছেন তারও কোনও হিসাব নেইএর ফলে দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছেএকই সঙ্গে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব
সরকারি বিধি অনুযায়ী, কোনও বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে কোনও ধরনের কাজ করতে আগ্রহী হলে তাকে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসে কাজের জন্য অনুমতি বা ওয়ার্ক পারমিটনিতে হবেবিদেশি কর্মীদের ই-ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) এই অনুমতি দেবেবিডার অনুমতি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ই-টিআইএন এবং ব্যাংক হিসাব খুলতে হবেএই হিসাবে বিদেশি কর্মীর বেতন জমা হবেএকই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি কর্মীদের আয়কর রিটার্নও দাখিল করার বিধান রয়েছেঅথচ এসব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে, সরকারকে তার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে
গত ২৪ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী লিখিতভাবে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশিরা ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেনঅর্থমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বাৎসরিক আয় সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশে ব্যাংকেও সংরক্ষিত নেইএর ফলে ধারণা করা যায় বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশিদের দেশে পাঠানো টাকার পরিমাণ আরও বেশি
এদিকে বাংলাদেশে অবস্থানরত বৈধ ও অবৈধ বিদেশি কর্মীদের প্রকৃত সংখ্যা অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরূপণ করতে গত ২৮ মে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টএসব বিদেশি কর্মী কীভাবে ও কোন চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের অর্থ দেশের বাইরে পাঠায়, সে বিষয়েও অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছেএকটি রিট আবেদনের পর অর্থসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশে বৈধভাবে বসবাস করছেন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫৯২ জন বিদেশি নাগরিকদেশের প্রায় ১ হাজারের বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করছেন তাদের অনেকেইএসব প্রতিষ্ঠানকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছেতবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও কয়েক হাজার হতে পারে
তবে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের প্রকৃত সংখ্যা কত সে বিষয়ে সরকারের কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেইস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও এনজিও ব্যুরোর মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর কোনোটির কাছেই বিদেশিদের সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেইএক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে অন্যটির তথ্যেও কোনও মিল নেইবিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অডিটের দায়িত্ব পালন করেন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)-এর সদস্য জসীম উদ্দিনএই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস গনমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে কাজ করছেন এমন বিদেশি কর্মীর অনেকের হয়তো ভিসা আছে, কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট নেইকাজেই নিয়ম অনুযায়ী তার এখানে কাজ করার অনুমতি থাকার কথা নয়প্রথমত এটার একটা সংখ্যা নিরূপণ করা জরুরিকোন সেক্টরে কারা, কীভাবে কাজ করছেন তা জানা দরকার
২০২০ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিদেশি কর্মী কর্মরত তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতেতাদের মধ্যে ভারত ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকই বেশিএছাড়া সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক এনজিও, চামড়া শিল্প, চিকিৎসাসেবা এবং হোটেল ও রেস্তোরাঁয়ও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশি কাজ করছেএদের বড় একটা অংশ ভ্রমণ ভিসায় এসেছে, ফলে তাদের কাজের অনুমতি নেইএ রকম অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ ভিসা নিয়ে অবস্থান করা বিদেশিরা প্রতি তিন মাস পরপর নিজ দেশে ফিরে যায়, এরপর দ্রুত নতুন পর্যটন ভিসা নিয়ে এসে একই বা একই ধরনের কাজে যোগদান করেতাদের এই কৌশলের ফলে সরকার তার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হন
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, তুরস্ক, মরিশাস, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৪৪টি দেশের নাগরিক বাংলাদেশে কর্মরত আছে
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এনবিআরে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিদেশিদের এই কর ফাঁকি অনুসন্ধানে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়পরবর্তী সময়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পুলিশের এসবি, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর (ডিজিএফআই), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতর (এনএসআই), বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেপজা, পাসপোর্ট অধিদফতর, এনজিও ব্যুরো ও বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি বা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রতিনিধিদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়এ টাস্কফোর্সের কাজ ছিল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে কর ফাঁকিবাজ বিদেশিদের চিহ্নিত করা এবং কর্মরত বিদেশিদের ডাটাবেজ তৈরি করাতবে টাস্কফোর্স তাদের কাজ এখনও শতভাগ শেষ করতে পারেনিবিডা, এসবি, ডিজিএফআই, এনএসআই, বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেপজা, পাসপোর্ট অধিদফতর, এনজিও ব্যুরো ও এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিরাও এর সঙ্গে যুক্ত আছেন
বিদেশিদের আয়করের আওতায় আনতে না পারার জন্য সরকারের দুর্বল নজরদারি ও বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরাবিদেশিরা কেন, কী কাজে বাংলাদেশে এসেছেন, কতদিন থাকবেন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠাগুলোর তথ্য সমন্বয় জরুরিএনবিআরের কাছে বিদেশি উদ্যোক্তা নিয়ে তথ্য থাকলেও বিদেশি কর্মীদের বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য নেইবাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও এনজিও ব্যুরো-এই তিন সরকারি প্রতিষ্ঠান বিদেশি কর্মীদের কাজ করার অনুমতি দেয়পোশাক, বস্ত্র, চামড়াসহ বেসরকারি শিল্প খাতের জন্য বিডা, রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বেপজা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় বিদেশিদের কাজ করার অনুমতি দেয় এনজিও ব্যুরোজাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরর তথ্য অনুযায়ী, ১৫ হাজার বিদেশি নাগরিকের তথ্য থাকলেও আয়কর দেন এমন বিদেশির সংখ্যা ১৪ হাজার
এ প্রসঙ্গে গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের ওপর সরকারের নজরদারি খুবই দুর্বলএছাড়া বিদেশি কর্মীদের কাজের অনুমতি দেওয়া এবং তাদের কাছ থেকে কর আদায়ে আইন থাকলেও তার খুব একটা প্রয়োগ নেইবাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহে গঠিত টাস্কফোর্সের কার্যক্রমেও গতি নেইটাস্কফোর্সের অন্তর্ভুক্ত সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতায় এতদিনেও গতি পায়নি সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) ডাটা ব্যাংক’-এর কার্যক্রমএমনকি বিমানবন্দরগুলোতে বিদেশি কর্মীদের জন্য আয়কর বুথ চালুর কথা থাকলেও সেটিও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নিফলে খুব সহজেই ভ্রমণ ভিসায় এসে নানা কাজে যুক্ত হতে পারছে বিদেশিরা
টিআইবির তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে এক বছরেই বাংলাদেশ থেকে বিদেশি কর্মীরা ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে গেছেকর ফাঁকি দিয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকামোট আড়াই লাখ বিদেশি কর্মীর মাধ্যমে এটা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছেতাদের মধ্যে ৯০ হাজার ছিল বৈধ কর্মী, বাকিরা আসেন পর্যটন ভিসায়
এতদিনেও সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) ডাটা ব্যাংক’-এর কার্যক্রম কেন গতি পায়নি সে প্রসঙ্গে এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যখনই ডাটা ব্যাংক’-এর কার্যক্রম বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়, তখন দেখা যায় বাংলাদেশে বিদেশি যারা কাজ করছে তারা, না হয় ওই প্রকল্পের বিনিয়োগকারী অথবা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ  নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যক্তিদের কাছ থেকে অদৃশ্য চাপ আসেএ কারণে হঠাৎ করেই সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েফলে বিদেশি নাগরিকদের প্রকৃত সংখ্যাই এখনও বের করা সম্ভব হয়নিএমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নথিতেও রয়েছে ভিন্ন তথ্য
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট জসীম উদ্দিন আরও জানিয়েছেন, যেসব বিদেশি কর্মী যথাযথ নিয়ম মেনে বাংলাদেশে এসে কাজ করেন, তারা যদি প্রথম বছর বাংলাদেশে ১৮২ দিন বা তার বেশি অবস্থান করেন, তাহলে আয়কর আইনে নিবাসী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেনএর সুবিধা হলো একজন বাংলাদেশি ব্যক্তি করদাতা যে হারে কর দেন, সেই একই হারে বিদেশি কর্মীও কর দেওয়ার সুবিধা ভোগ করেনকিন্তু যারা বৈধভাবে এসেও বছরে ১৮২ দিন থাকতে পারেন না, তাদের অনিবাসী ধরা হয় এবং তাদের মোট আয়ের ওপর সরাসরি ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়যেমন বিদেশ থেকে শিল্পীরা বাংলাদেশে এসে কনসার্ট করেনফিরে যাওয়ার আগে তাদের অবশ্যই ৩০ শতাংশ হারে কর পরিশোধের নিয়ম আছেযে প্রতিষ্ঠান তাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসে, তারা টাকা পরিশোধ করার সময় উৎসে করের টাকা কেটে বাকি টাকা তাদের পরিশোধ করবে
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনবিআরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারের রাজস্ব আহরণই এনবিআরের মূল কাজসেক্ষেত্রে রাজস্ব আহরণের জন্য যা করার প্রয়োজন হবে এনবিআর তাই করবেসেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) ডাটা ব্যাংক’-এর কার্যক্রম চলছেএটিকে আরও জোরদার করা হবেবিদেশি নাগরিকরা সরকারকে তার প্রাপ্য রাজস্ব ফাকি দেওয়ার চেষ্টা করলে তা রোধ করা হবে
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া জানিয়েছেন, কোনও রকমের ঝামেলা ছাড়াই যেকোনও দেশের নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করার আগ্রহী হলে সে নিবন্ধিত হতে পারেকিন্তু কোনও বিদেশি নাগরিক যদি বিডার অনুমতি না নিয়ে কাজ করে তা খুঁজে বের করা বিডার জন্য খুবই কষ্টকরসে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সোচ্চার হতে হবে
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স