ঢাকা , সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই অধিকাংশ কৃষকের রঙিন ফুলকপি চাষে নারী উদ্যোক্তার বাজিমাত রামপালে মন্দিরসহ জমি ফিরে পেতে বৃদ্ধের আকুতি বিপিজেএর সভাপতি মহসীন সম্পাদক বাবুল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবা সরকারি কলেজের সম্পত্তি দখল পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ ‘মাছের প্রজনন বাড়াতে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে হবে’ বোতল দিয়ে ঘর তৈরি করে বাবার স্বপ্নপূরণ আগুনে পুড়ে নিঃস্ব বিকাশ ত্রিপুরার পরিবার ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ কর্মকর্তা আটক অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু ৮ম দিনে এসেছে ১০২ নতুন বই শিক্ষাখাতে বিশৃঙ্খলা দিশেহারা সরকার শিক্ষাখাতে বিশৃঙ্খলা দিশেহারা সরকার বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের রায় প্রকাশ ধানমন্ডি-৩২ সহ দেশব্যাপী ভাঙচুর ও সহিংসতায় উদ্বেগ টিআইবির প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরবে বিএনপি বাজারে চাল ও তেল নিয়ে অস্থিরতা কাটছে না
করলা-বেগুন ১০০, বাকিগুলোও বাড়তি

উত্তাপ গরুর মাংসের বাজারে

  • আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৪ ০৭:৪৩:১৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৪ ০৭:৪৩:১৮ অপরাহ্ন
উত্তাপ গরুর মাংসের বাজারে
পবিত্র ঈদুল আজহার আমেজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফের কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দামতবে মুরগি ও মাছের দাম তুলনামূলক কমে আসায় মাছ-মুরগিতেই স্বস্তি খুঁজছেন কম আয়ের মানুষবিক্রেতারা বলছেন, বাজারে গরুর আমদানি কম থাকায় বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে, ফলে মাংসও কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়তবে সব ধরনের মুরগির মাংসের দামে সন্তুষ্ট ক্রেতারাতাদের দাবি, ব্যবসায়ীরা চাইলেই সারাবছর এই দামে মুরগির মাংস বিক্রি করতে পারেনকিন্তু যখনই চাহিদা বেড়ে যায়, দামও অটোমেটিক বেড়ে যায়গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা এলাকার বিভিন্ন বাজার গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকের বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও ৭৫০ টাকার মধ্যেই ছিলএছাড়াও প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকাদেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায় এবং প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য পণ্যের তুলনায় মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি মিলছেবড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহেও ছিল ৭০০ টাকা পর্যন্তশিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকাএছাড়াও পাঙাশ ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কার্প মাছ ২৬০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ টাকা, মলা মাছ ২৮০, কই ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছেতবে সপ্তাহ ব্যবধানে পাবদা মাছের দাম কিছুটা বেড়েছেগত সপ্তাহে যেখানে পাবদা মাছ ছিল ৩৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা, আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকা পর্যন্তবিক্রেতারা বলছেন, মানুষের ঘরে কোরবানির মাংস থাকায় ঈদের পর মুরগির চাহিদা কিছুটা কমএ কারণে আগের সপ্তাহের চেয়ে দামও কিছুটা কমেছেতবে বাজারে গরুর পরিমাণ কম থাকায় বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদেরফলে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে নাতবে কেউ কেউ ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও অন্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরাতন মাংস ও হাড়-চর্বি একটু বাড়িয়ে দিলে আমরাও ৭৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারব, কিন্তু এতে করে মানুষকে ঠকানো হবে
গরুর মাংস বিক্রেতা শান্ত ইসলাম বলেন, ঈদের আগ মুহূর্তে কোরবানির জন্য প্রচুর গরু বিক্রি হয়েছেযে কারণে ঈদের পরপর এখন খামারিরা গরু কম ছাড়ছেযেগুলোও বিক্রি হচ্ছে দাম তুলনামূলক একটু বেশি দামেতাই মাংসের বাজারেও তার প্রভাবটা পড়েছে
তিনি বলেন, গরুর মাংস মোটামুটি ৮০০ টাকার মধ্যেই আটকে গেছেআর কমবে বলে মনে হয় নাএই দামে বিক্রি করতে পারলে আমাদেরও কিছু লাভ থাকেএর কমে বিক্রি করলে কিছু থাকে নাতবে আমরা যদি একটু দুই নম্বরি করি, তাহলেই আবার কমে বিক্রি করতে পারবোআমরা তো চর্বিটা আলাদা করে রেখে দেই, সেটা যদি মাংসের সাথে মিশিয়ে দিয়ে দেই, তাহলেই দাম কমে আসবেমুরগির মাংস বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, কোরবানির ঈদের সময় বাজারে মুরগির চাহিদা খুবই কম থাকেযেকারণে দামটাও তুলনামূলক কমতবে কিছু মানুষ আছে যারা কোরবানি দিতে পারেননি, আবার অনেকে ছুটি না পাওয়ার কারণে, কাজের কারণে ঢাকায় ঈদ করেছেতাদের বাসায় আবার মুরগির চাহিদা আছেবাড্ডা পাঁচতলা বাজার থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন মনিরুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতাতিনি বলেন, গরুর মাংস কিনতে গিয়ে গিয়ে মুরগির মাংস নিয়েছিগত সপ্তাহেও দেখলাম ৭৫০ টাকা কেজি, আজকে ৮০০ টাকার নিচে দেবেই নাআমিও রাগ করে চলে এসে মুরগি নিয়েছিঈদের পর এই সময়টাতে গরুর মাংসের দাম কম থাকার কথা, কিন্তু দেখছি উল্টোবাজার করতে আসা মো. রফিকুল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, অন্যান্য সপ্তাহের তুলনায় আজকের বাজারে মুরগি ও মাছের দাম কিছুটা কমতবে গরুর মাংসটা আগের মতোই বাড়তির দিকেএকটা সময় প্রতি সপ্তাহে একদিন গরুর মাংস খাওয়া হতোএখন আর আগের মতো প্রতি সপ্তাহেই গরুর মাংস কেনা যায় নাকিনতে গেলেও বারবার হিসেব করতে হয়তবে মুরগির দাম কম থাকাটা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তির জায়গা
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স