ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ , ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নিবন্ধন চাওয়া ১৪৪ দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে অনুত্তীর্ণ ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩৭৫ বাক্সবন্দি মেশিন এখন চায়ের টেবিল সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চার সংবাদ সম্মেলন নিয়ে পুলিশের ব্যাখ্যা ঐকমত্যে আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো প্রাণনাশের হুমকি দিল প্রতারক ৪ দফা দাবি জোরপূর্বক প্রত্যাগত ওমান প্রবাসী ফোরামের পুলিশ কল্যাণ তহবিল থেকে দেড় কোটি টাকার অনুদান পাবে ৩৮৯ জন বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া নির্বাচন কমিশনের ৫১ কর্মকর্তাকে বদলি গেটে হাঁটুপানি, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা জিয়ার অনুকম্পায় রাজনীতি করে এখন তার পুত্রকে টার্গেট করছেÑ রিজভী চাঁদাবাজির অভিযোগে ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার পঞ্চবেকি বয়া নদীর আয়রন ব্রিজ মৃত্যুফাঁদ ময়মনসিংহে মুক্তিপণ দিয়ে মিললো শিশুর লাশ ৪ লাখ টন চাল কিনবে সরকার, বেসরকারিভাবে ৫ লাখ টনের অনুমতি কে কাকে লাল কার্ড দেখাবে, তা ঠিক করবে জনগণ-ডা. জাহিদ বাংলাদেশিদের মিসরের ভিসা দিতে নিষেধাজ্ঞা নেই : দূতাবাস ইইউ’র প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল ঢাকা আসছে সেপ্টেম্বরে সংরক্ষিত আসন বিলুপ্তির সুপারিশের প্রতিবাদ মহিলা পরিষদের

সারাদেশে কমছে বন্যার পানি বাড়ছে পানিবাহিত রোগবালাই

  • আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৪ ০৭:২৯:৫৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৪ ০৭:২৯:৫৫ অপরাহ্ন
সারাদেশে কমছে বন্যার পানি বাড়ছে পানিবাহিত রোগবালাই
বিশেষ প্রতিনিধি
দেশের বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে পানি কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাদূষিত পানি পান ও বন্যার পানিতে চলাফেরার কারণে এ ধরনের রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ডায়রিয়া, চর্মরোগ, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ও চোখের প্রদাহের রোগীর সংখ্যাই বেশিতবে সিলেট বিভাগের কোনো জেলায় এখন পর্যন্ত পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক নয়আমাদের আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো
সিলেট : সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মে সিলেটে প্রথম দফা বন্যার পর থেকে গত বুধবার পর্যন্ত পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৮১৩ জনএর মধ্যে চর্মরোগে ৯৫ জন, ডায়রিয়ায় ৫৮ জন, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৬৮ জন, চোখের প্রদাহে পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেবাকিরা ভুগছে অন্যান্য পানিবাহিত রোগেসিভিল সার্জনের কার্যালয়ের এই পরিসংখ্যান শুধু সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের নিয়েতবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশিকারণ অনেক এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় রোগীদের পক্ষে হাসপাতাল পর্যন্ত আসা সম্ভব হচ্ছে নাআবার অনেকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতাল পর্যন্ত আসে না, ঘরেই চিকিৎসা নেয়ফলে প্রকৃত চিত্র জানা কঠিন ১৩ উপজেলাজুড়ে বন্যার বিপরীতে রোগীর এই সংখ্যা কম কি না-এমন প্রশ্নে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন, সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার কথাকারণ অনেকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে নাবন্যা আক্রান্তদের সেবা দিতে ১৩৯টি টিম কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক নয়, নিয়ন্ত্রণেই আছে
সুনামগঞ্জ : বানভাসিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ১০১টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানায়
সিভিল সার্জন কার্যালয়ও প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১০১টি টিম গঠনের কথা নিশ্চিত করেছেতবে এসব টিমের প্রদত্ত সেবার কোনো পরিসংখ্যান দিতে পারেনি তারাসুনামগঞ্জ পৌর শহরের কালিপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমার নাতি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েচারদিকে পানি, নৌকা নেইআমরা শুনেছিলাম মেডিক্যাল টিম এসে সেবা দেবেকিন্তু তাদের জন্য অপেক্ষা করেও পাইনিপরের দিন আমি নৌকা জোগাড় করে হাসপাতালে নিয়ে গেছিমোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, এখন অনেক মানুষের চর্মরোগ ও পেটের পীড়া দেখা দিচ্ছেকিন্তু ইউনিয়নের কোথাও মেডিক্যাল টিমকে সেবা দিতে দেখিনিরোগীরা স্থানীয় বাজার থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেসুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আহমদ হোসেন বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বয়ে মেডিক্যাল টিমগুলো গঠন করা হয়েছেতবে আমরা ব্যানার-সাইনবোর্ড নিয়ে কর্মসূচি না চালানোয় লোকজন আমাদের দেখতে পারেনিবন্যাকবলিতদের কতজনকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই পরিসংখ্যান করিনি আমরা
মৌলভীবাজার : বন্যায় জেলার ৪৯টি ইউনিয়নের নলকূপ ও  ভাসমান শৌচাগার তলিয়ে যায়সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৮০২ জন।  বন্যাদুর্গত এলাকায় বানভাসিদের চিকিৎসাসেবা দিতে মৌলভীবাজার জেলায় ৭৪টি মেডিক্যাল টিম করা হয়স্বাস্থ্যকর্মীরা বানভাসিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে সহযোগিতা করছেনজুড়ি উপজেলায় হাকালুকি হাওরপারের বাসিন্দা রহিমা খাতুন (৪৫) জানান, এখনো বন্যার পানির ভেতরেই তাদের চলাচল করতে হচ্ছেএতে তার হাতে-পায়ে চর্মরোগ দেখা দিয়েছেগ্রামের সব পরিবারেই কোনো না কোনো রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনিহাওর এলাকায় এখনো কোনো স্বাস্থ্যকর্মী আসেননি বলে অভিযোগ করে বানভাসি মানুষরাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি এলাকার সুরুজ মিয়া বলেন, আমার নাতি সুমন মিয়া (৮) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেবাড়িতেই চিকিৎসা চলছেসিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, জেলায় ৬৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবাহিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়েছেআমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা নৌকায় করে বানভাসিদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিচ্ছেনএখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য