ঢাকা , বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এবারের অস্কারে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেল যে সিনেমাগুলো অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন এড শেরন দর্শকদের ওপর মেজাজ হারালেন সোনু নিগম বরুণের হাতে কি হয়েছে? ছবি দেখে চিন্তিত ভক্তরা আইসিইউতে শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় সুস্থ হয়েই গানের মঞ্চে সাবিনা ইয়াসমিন ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ পাবে ফাহিমের নতুন গান ভক্তদের জন্য কষ্টের গান গাইবেন আসিফ ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ১২ ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ১২ নিখোঁজের ৫৪ ঘণ্টা পর কামরাঙ্গীরচর থেকে উদ্ধার অন্তর খুবই দুঃখজনক মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানিত করা হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্তির সুপারিশ ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এনআইডি তথ্য ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে ইসি ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে-স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্বাচন নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর : প্রেস সচিব বেনজীরকে ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির আদেশ ১০ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পুনরায় ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু অপরিবর্তিত আছে বেসরকারি ঋণ ও নীতি সুদহার মুদ্রানীতি ঘোষণা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর # দিল্লি বৈঠকে অন্তত ১৪টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হবে # তিস্তা চুক্তি নিয়েও নতুন করে কথাবার্তা হবে # জ্বালানি, সংযুক্তি ও অর্থনীতিসহ সহযোগিতার নানান ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত হবে # চীনও ভারতকে টপকে দ্রুত উন্নয়নশীল বাংলাদেশের সঙ্গে সখ্য স্থাপনে তৎপর # দিল্লি সফর শেষে ৯ থেকে ১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী যাবেন চীনে

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সব দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ঢাকা

  • আপলোড সময় : ২০-০৬-২০২৪ ১০:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৬-২০২৪ ০৩:২০:৪২ পূর্বাহ্ন
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সব দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ঢাকা
ভারত, চীন, জাপান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বা যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশ বা শক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ সরকার। বন্ধু দেশগুলোর মধ্যে কারও ভেতরে পারস্পরিক অস্বস্তিকর সম্পর্কের বিষয়েও সরকার সচেতন রয়েছে। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও আজ শুক্রবার ভারত সফরে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ভারতের দিল্লি বৈঠকে গুরুত্ব পাবে অর্থনীতি ও যোগাযোগসহ আরও অন্তত ১৪টি চুক্তি ও সমঝোতা সই। এরমধ্যে অন্তত চারটির মেয়াদ শেষে নবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে। এসব চুক্তি ও এমওইউ জ্বালানি, সংযুক্তি, অর্থনীতিসহ সহযোগিতার নানান ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত হবে।  ভারতের দিল্লি সফর শেষে ৯ থেকে ১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাবেন চীনে। চীনও কিন্তু ভারতকে টপকে দ্রুত উন্নয়নশীল বাংলাদেশের সঙ্গে সখ্য স্থাপনের জন্য তৎপর। কেননা অর্থনৈতিকভাবে ভেঙ্গে পড়া পাকিস্তানের আর কদর নেই চীনের কাছে। জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে আজ শুক্রবার দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পাশাপাশি একান্তে বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে অন্তত ১৪টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ১৪টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে কাজ করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতার নবায়ন হবে। জ¦ালানি, সংযোগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে চুক্তি ও সমঝোতার নবায়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব চুক্তি ও এমওইউ জ্বালানি, সংযুক্তি, অর্থনীতিসহ সহযোগিতার নানান ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত। সড়ক, রেল, নৌসহ নানা মাত্রায় দুই দেশের মধ্যে সংযুক্তির (কানেকটিভিটি) বিষয়গুলো ২০১০ সাল থেকে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং তারপর প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত এক দশকে শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেশকিছু আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারত রক্ত ঝড়িয়ে যে অবদান রেখেছে, তা কখনো ভোলার নয়। যে কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার কখনো ভুলেনি বাংলাদেশ সরকার, গুরুত্বও কমেনি। স্বাধীনতা লাভে ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়েই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে আত্মিক সর্ম্পক গড়ে ওঠে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। দশ দিন আগে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে তা আবারও সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠলো। শেখ হাসিনা দিল্লিতে যে হোটেলে অবস্থান করছিলেন, সেখানে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দেখা করেছেন।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা টানা চার বার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টানা তিনবার ক্ষমতার হাল ধরে রেখেছেন। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি আগামীকাল শনিবার দিল্লিতে শীর্ষ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। দুই নিকট প্রতিবেশীর সম্পর্ক- তাঁরা ভবিষ্যতে কোথায় নিয়ে যেতে চান তার দিকনির্দেশনা থাকবে বৈঠকে। এই বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, যোগাযোগ বা সংযুক্তি ও জ্বালানির বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বিবাদ বা হত্যা কোনো নতুন ঘটনা নয়। মূলত চোরাচালান রুখতে গিয়ে এই বিবাদ বাড়ে।  শোনা যাচ্ছে, এবারে তিস্তা চুক্তি নিয়েও নতুন করে কথাবার্তা শুরু হতে পারে। নেপালের কাছ থেকে বিদ্যুৎ নেয়ার পাশাপাশি যাতে ভারতের কাছ থেকেও বেশি বিদ্যুৎ ঢাকা পেতে পারে সে ব্যাপারেও শেখ হাসিনা এবার নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে আলাপ করতে পারেন। এবার শেখ হাসিনার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ১৪টির বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইও নবায়ন হতে পারে। সফরের প্রথম দিন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে আগামীকাল শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে লালগালিচা বিছানো হবে। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেখানে তিনি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন। শেখ হাসিনা একই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক এবং প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনার জন্য হায়দরাবাদ হাউসে যাবেন। উভয়েই সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের বিবৃতি দেবেন। তারা হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবালয়ে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় (দিল্লির সময়) প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে ভারতের রাজধানী ত্যাগ করবেন এবং রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণের কথা।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সফরের সময় উভয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং তারপর প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত এক দশকে শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে বেশকিছু আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। এটি ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। তিনি গত ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে। ফ্লাইটটি বিকেল ৪টায় (দিল্লির সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
এদিকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে, ভৌগোলিক অবস্থান রয়েছে। প্রতিটি দেশের সঙ্গে সম্পর্কের মাত্রা এবং প্রেক্ষাপট থাকে। ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের অনেক ডিফাইনিং ফ্যাক্টর আছে। অন্যদিকে বর্তমান বিশ্বে চীনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তারা অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউজ, তাদের বিনিয়োগের সক্ষমতা আছে, ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও তাদের একটি অবস্থান রয়েছে। সুতরাং ওইসব দিক থেকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বা দৃঢ় করার আগ্রহ রয়েছে। একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে আমাদের যে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে এবং এখন যে পর্যায়ে আসছে অর্থাৎ সোনালি অধ্যায় এটিকে আরও কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, সেটিও আমাদের বিবেচনায় থাকবে।’ বর্তমান যে বৈশ্বিক পৃথিবীতে আমরা বাস করি, সেখানে সাপ্লাই চেইন বা ভূ-রাজনীতি যেটির কথাই বলেন, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার বিষয়টি অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। ‘ভারত-চীন বাণিজ্য বা চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য অনেক বেশি এবং এর মানে হচ্ছে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক যাই থাকুক না কেন, তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেক বেশি দৃঢ়। এভাবেই চলছে সারাবিশ্ব। সুতরাং আমরাও চাইবো যাতে সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে। কোনও একটি নির্দিষ্ট দেশ বা একটি নির্দিষ্ট জোটের প্রতি বেশি নির্ভরশীল না হয়ে আমরা যদি সবার সঙ্গে চলতে পারি সেটি আমাদের জন্য ভালো।’ পণ্য বা নিরাপত্তার কারণে কোনও একটি দেশের ওপর অধিক নির্ভরশীলতা না আসে, এভাবেই আমরা আমাদের স্বাধীন ও বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করছি বলে তিনি জানান। ‘আমাদের যে মৌলিক পররাষ্ট্র নীতি আছে সেটি অনুযায়ী চলছি। অর্থাৎ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। এখন বন্ধুত্বের মধ্যে পুরোনো বন্ধু, নির্ভরযোগ্য বন্ধু– বিভিন্নভাবে বিশেষায়িত করা যায়। তবে সামনে চীনের সফর আছে এবং আমরা এমন কোনও কিছু করছি না যেটি জিরো সাম গেম হয়। অর্থাৎ সবার জন্য লাভজনক এমন একটি পরিস্থিতিতে থাকতে চাইছি সব দেশের সঙ্গে।’ এছাড়া অন্য যে দেশগুলো আছে সেগুলোও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, রাশিয়া রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেন যুদ্ধের পরে রাশিয়া নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছে, কিন্তু আমরা ভারসাম্য রক্ষা করছি।’ আমরা কোনও নির্দিষ্ট জোটের কারণে কিছু করছি, বিষয়টি সেরকম নয়। আমাদের যে অগ্রাধিকার উদ্বেগ বা জাতীয় স্বার্থ সেগুলোকে আমরা অগ্রাধিকার হিসাবে রাখতে চাই- বলেন তিনি।


 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স