রাঙামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটিতে এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার দায়ে অংবাচিং মারমা নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেনের আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানার বড়খোলা পাড়ার নয় বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আসামি অংবাচিং মারমার বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায়। সেখানে পড়তে যাওয়া অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে ভিকটিমকে রেখে দেয় আসামি। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরায় শিশুটির বাবা খুঁজতে বের হন। তিনি আসামির কাছে জানতে চাইলে সে পড়া শেষ করে ছুটি দেওয়া হয়েছে জানায়। তাকে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা ওই বাড়ি পাহারা দেন। পরের দিন (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আসামি লাশ গুমের চেষ্টার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়। আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, আসামির বিরুদ্ধে সব সাক্ষ্য সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড এবং দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। অন্যদিকে এমন রায়ে সমাজের অপরাধপ্রবণতা বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। গৃহশিক্ষক অংবাচিং মারমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত। এই রায়ে আমরা খুশি। তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে দুটি রায়ে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কালেক্টরকে আসামির মালিকানাধীন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত করে ক্রোক এবং নিলামে বিক্রি করে টাকা ট্রাইব্যুনালে জমা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুনুর ইসলাম বলেন, আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় পরে আইন সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে আমি আইনি সহায়তা দিয়েছি। তবে এমন রায় সমাজে অপরাধ কমাতে সহায়তা করবে মনে আমি মনে করি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
