ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ , ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অক্টোবরে ৫৩২ দুর্ঘটনায় নিহত ৫২৮ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা-ডিবি আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশন এলাকা থেকে ককটেল-সদৃশ বস্তু উদ্ধার কানাডার সংসদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ আমিরাত-তুরস্ক থেকে সয়াবিন তেল ও চিনি কিনবে সরকার চট্টগ্রামে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাসায় অভিযান, আটক ৭ নিষিদ্ধ দলের কর্মসূচি প্রচার করা ফ্যাসিবাদী চক্রান্তের অংশ-রিজভী বিএনপি এবং মির্জা আব্বাসের লোকজনকে চাঁদাবাজ বললেন নারায়ণগঞ্জ-৩ এর প্রার্থী মান্নান আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা সক্রিয় ৫ মামলায় সাবেক মেয়র আইভীর জামিন স্থগিত এলএনজি আমদানি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করবে-আইইএ ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩৯ জন একটি বড় দল সংস্কার থেকে সরে গেছে-নাসীরুদ্দীন ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি থেকে গুলিসহ ২ শটগান উদ্ধার ঢাবি’র ৫ স্থাপনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তালা জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে ডেমরায় মানববন্ধন রাজধানীতে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা গ্রেফতার ২ আত্মসমর্পণের পর বন কর্মকর্তা কারাগারে চট্টগ্রাম বন্দরের বিপজ্জনক পণ্যের কনটেইনার ধ্বংসের উদ্যোগ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা সক্রিয়

  • আপলোড সময় : ১৩-১১-২০২৫ ১২:২৬:৫৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-১১-২০২৫ ১২:২৬:৫৭ অপরাহ্ন
আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা সক্রিয়
মনির হোসেন জীবন বর্তমান সরকারের ঘোষনা মতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী মাসের যে কোনো দিন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। সারা দেশজুড়েই চলছে দলীয় প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠক করছেন। সম্প্রতি ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সরকারের হাইকমান্ড। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ কয়েকটি স্থানে হত্যাকাণ্ড ও গুলির ঘটনার পেছনে আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম উঠে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো জানায়, ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সারা দেশে ব্লকেডের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে তথ্য এসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকার নয়টি স্থানে যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আদালতে যাওয়ার সময় পুরান ঢাকায় সাবেক ছাত্রদল নেতা তারিক সাঈদ মামুনকে কমান্ডো স্টাইলে কয়েকশ লোকের সামনে গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করে বীরদর্পে চলে গেছে খুনিরা। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন গ্রুপ সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি নিহতের পরিবারের। দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চাঁদাবাজি, দলবাজি, দখলবাজী, পূর্ব শত্রুতা, আধিপত্য বিস্তার, টাকার ভাগবাটোয়ারা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, লবিং- গ্রুপিংয়ের কারণে নগরীজুড়ে উত্তেজনা ও উত্তপ্ত বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ও পুলিশ বলছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কারাগার থেকে মুক্ত হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও অপরাধ জগৎ ‘গরম’ করার পাঁয়তারা করছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ মন্টি বর্তমানে দুবাইয়ে এবং ইমন বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে। গতকাল সোমবার নিহত মামুন এক সময় ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের দ্বন্দ্ব চলছিল। দীর্ঘ ২৪ বছর জেল খাটার পর ২০২৩ সালে মামুন জেল থেকে বের হন। আর ৫ আগস্টের পর বের হয়ে মামুনকে খুন করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইমন। কারণ শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও মামুন এক সময় হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তারা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি। ২০২৩ সালে মামুন জেল থেকে বের হয়ে এসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় ইমন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপি পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করছে। সেই কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশ জুড়ে খুনের ঘটনা বেড়েছে। ওইসব অপরাধীকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা সতর্ক আছি। তারপরও আমরা উদ্বিগ্ন। একাধিক নির্ভরশীল সূত্র গুলো বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পর শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্বাস আলী ওরফে কিলার আব্বাস, সুইডেন আসলাম, ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন, খোরশেদ আলম ওরফে ফ্রিডম রাসু কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। আর মোল্লা মাসুদ ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন। আমেরিকা থেকে দেশে ফেরেন আমিন রসুল সাগর ওরফে টোকাই সাগর। এরপরই তারা এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। জেলে থাকা অবস্থায় যেসব ক্যাডার তাদের কথামতো চলত এবং টাকা উঠাত তাদের ডেকে নেওয়া হয় সন্ত্রাসীদের আস্তানায়। তাদের কাছে এলাকাভিত্তিক টাকা আদায়ের তালিকা চাওয়া হলে এরপর তারা বেঁকে বসেন। তারা আগের মতো চাঁদার ভাগ দিতে রাজি হলেও এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ দিতে অনেকে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তাদের অনেকের মধ্যে চরম মনোমালিন্য দেখা দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের তালিকা নিয়ে পুলিশ সদর দফতেেরর একটি প্রতিবেদনের তথ্যে বলা হয়েছে-আগামী এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা দেওয়া, ভোটারদের ভয় দেখানো বা বিরোধী পক্ষকে চাপে রাখতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সদস্যদের ভাড়াটে হিসেবে ব্যবহারের ঝুঁকি আছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে বা আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সূত্র গুলো বলছে, বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে এলাকা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, জবরদখল, বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, রেষারেষি ও পূর্ব শত্রুতা যেমন দ্বন্ধ রয়েছে-কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা সুযোগ নিচ্ছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ ও ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল ২০২৫ সালের প্রায় মাঝামাঝি সময়ে কুষ্টিয়া থেকে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতার কর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তীতে বিষয়টি টের পেয়ে দেশ ত্যাগ করেন পিচ্চি হেলাল। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তেজগাঁও সাত রাস্তায় (আদালত পাড়ায় নিহত) মামুনকে লক্ষ্য করেও গুলি করে ইমন গ্রুপের সদস্যরা। ওই ঘটনায় মামুন আহত হলেও পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হন। এরপর আত্মগোপনে চলে যান মামুন। বাড্ডা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে আদালত পাড়ায় তিনি খুন হন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ও একাধিক গোয়েন্দা সূত্র গুলো বলছে, মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন, ইব্রাহিম, শাহাদাত ও মুক্তার মিলে গড়ে তুলেছেন ভয়ংকর ‘ফোর স্টার’ গ্রুপ। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অন্তত শতাধিক স্থানীয় সন্ত্রাসী এ কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। এর মধ্যে মামুনের ক্যাডাররা সম্প্রতি ৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীর সাগুফতা এলাকার একে বিল্ডার্সে হামলা করে। হামলাকারীদের বেশিরভাগই উঠতি বয়সী তরুণ, কিশোর গ্যাং সদস্য। সবার হাতেই ছিল দেশি-বিদেশি অস্ত্র। একইভাবে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ভাসানটেকে বেলায়েত হোসেন নামের একজনের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় কিলার ইব্রাহিম বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও আগারগাঁও, কাজিপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ-প্রকাশের নাম বলে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাচ্ছে থানা পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ২০২৫ সালে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শুধু মিরপুর জোনে হত্যার শিকার হয়েছে প্রায় ৩৫-৪০ জন। এর মধ্যে শুধু পল্লবীতেই খুন হয়েছে ১৫ জন। মিরপুর মডেল থানা ৯টি, দারুস সালাম থানা ৭টি, কাফরুলে ৩টি, ভাসানটেকে ২টি, শাহআলী থানায় ২টি, রূপনগর থানায় ২টি হত্যা বলে জানা গেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে ফোর স্টার ও বিকাশ-প্রকাশের নাম আসছে তদন্তে। মামুনের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১২, পল্লবী, বাউনিয়া ও সাগুফতা, ইব্রাহিমের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১৩, ১৪, ভাসানটেক ও কালশী, শাহাদাতের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১, ২, ৬ ও ৭; সর্বশেষ মুক্তারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১০ ও ১১। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। মামুন গ্রুপের হয়ে তার অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন তারই বড় ভাই জামিল, ছোট ভাই মশিউর, রফিকুল, শহিদুল, নাটা আলমগীর, কালা মোতালেব, দেলোয়ার হোসেন রুবেল, রাজন, সানি, ভাগ্নে মামুন, সোহেল, কায়েস। কিলার ইব্রাহিমের হয়ে কাজ করছে যুবরাজ, সাবু, শাকিল, ভাগ্নে সোহেল, কালা ইব্রাহিম, জনি। শাহাদাতের হয়ে টিপু সুমন, ফিটিং শিশির, বিহারি নিলা, প্রচার সাইফুল, পিচ্চি আলামিন, শামিম। মুক্তারের হয়ে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে হাড্ডি সোহাগ, নওশাদ, আশিক, ডাসা শরিফ, এলেক্স জুয়েল, শুটার জাকির, তপু, আমিন, রকি, ছোট রাকিব, শাহাপরান, মিঠু ও আতিক। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে আমাদের দুই ধরনের পুলিশিং ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে । খুব শিগগিরই অ্যাকশনে যাবে পুলিশ। সূত্র জানায়, রাজধানীতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবার পূর্বের পেশায় ফিরছে। কারণ-হিসেবে উল্লেখ করা যেগে পারে, দখল বেখল, চাঁদাবাজি ইত্যাদি। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময়ে দলছুট ক্যাডারদের কাছে টেনে নিচ্ছেন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ও দেশে ফিরে আসা শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা, চাঁদার ভাগ বাড়ানো ও এলাকার নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়াসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে তুলে দেওয়ারও প্রলোভন দেখানো হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র গুলোর তথ্য বলছে, ৯০-এর দশকে ঢাকার অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ যে কজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর হাতে ছিল, তাদের অন্যতম সুব্রত বাইন। তার সেভেন স্টার নামক সন্ত্রাসী গ্রুপে মোল্লা মাসুদও ছিল। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল যুবলীগ নেতা লিয়াকত ও মুরগি মিলনের নেতৃত্বাধীন ফাইভ স্টার গ্রুপ। গণপূর্ত ও নগর ভবনের টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায়ই দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হতো। সেভেন স্টার গ্রুপের হাতে খুন হন মুরগি মিলন। ১৯৯১ সালে আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদকে হত্যার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসী হিসেবে সুব্রত বাইনের যাত্রা শুরু। তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ ২০০৪ সালের দিকে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যান। পুরস্কার ঘোষিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর মধ্যে ১১ জন বিদেশে আত্মগোপনে থাকলেও তারা সক্রিয় আছে। তাদের নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি করা আছে। ২০০৩ সালে মালিবাগের সানরাইজ হোটেলে ডিবি পুলিশের দুই সদস্যকে হত্যার পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান দুবাইয়ে আত্মগোপনে থেকে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করছেন। তার সহযোগী জাফর আহমেদ মানিক ওরফে ফ্রিডম মানিক ভারতে পালিয়ে আছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম এবিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। দেশে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে কঠোরহস্তে দমন করা হবে। তাছাড়া সন্ত্রাসীদের ধরতে প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। আইজিপি আরো বলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ড বলতে কিছু বুঝি না। যারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে পুলিশের সবকটি ইউনিটকে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হলেও আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তারা মাঠ উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলোর একযুগে কাজ করা উচিৎ এমনটাই দাবি দেশের সর্বস্তরের মানুষের।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ