ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ , ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
৫ মামলায় সাবেক মেয়র আইভীর জামিন স্থগিত এলএনজি আমদানি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করবে-আইইএ ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩৯ জন একটি বড় দল সংস্কার থেকে সরে গেছে-নাসীরুদ্দীন ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি থেকে গুলিসহ ২ শটগান উদ্ধার ঢাবি’র ৫ স্থাপনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তালা জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে ডেমরায় মানববন্ধন রাজধানীতে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা গ্রেফতার ২ আত্মসমর্পণের পর বন কর্মকর্তা কারাগারে চট্টগ্রাম বন্দরের বিপজ্জনক পণ্যের কনটেইনার ধ্বংসের উদ্যোগ আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত : প্রধান উপদেষ্টা আ’লীগের নৈরাজ্যের জবাব দিতে প্রস্তুত ছাত্রশিবির শীর্ষ সন্ত্রাসী রনির পরিকল্পনায় মামুন হত্যা আ’লীগ ও জাপাকে ভোটের বাইরে রাখার দাবি গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিবেশী দুই দেশ থেকে আসছে অস্ত্র বিচার বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে-প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ জানা যাবে আজ ১১ মাসে এসেছে বাংলাদেশে ১ লাখ ৩৬ হাজার নতুন রোহিঙ্গা অরাজকতার পথে হাঁটছে দেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কাজ করবে ব্র্যাক-এসএমই ফাউন্ডেশন
তৃণমূলের জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে যেসব পরিকল্পনা আঁকছে জামায়াত

  • আপলোড সময় : ১১-১১-২০২৫ ১০:১১:২০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-১১-২০২৫ ১০:১১:২০ অপরাহ্ন
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে যেসব পরিকল্পনা আঁকছে জামায়াত
দীর্ঘদিন ধরে কোণঠাসা থাকা জামায়াতে ইসলামী ফের ঘুরে দাঁড়াতে চায়। একইসঙ্গে ত্রয়োদশ নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে দেশজুড়ে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে। একইসঙ্গে ক্ষমতায় যেতে নানা পরিকল্পনা আঁকছে দলটি। সেই পরিকল্পনার অন্যতম হচ্ছে দেশের ভোটার ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে সহায়তার হাত প্রসারিত করা। একইসঙ্গে প্রতিটি নাগরিকের সাথে সম্প্রীতির বন্ধন বাড়ানো এবং নিজেদের মানবিক হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত করা।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে যে দলগুলো সবচেয়ে বেশি দমন-পীড়নের মুখে পড়েছিল, তাদের মধ্যে শীর্ষে থাকবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নিষেধাজ্ঞা-গ্রেফতার, গুম ও রাজনৈতিক নিষ্ঠুরতার দীর্ঘ ছায়া পেরিয়ে দলটি এখন নতুন এক বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে। গেল বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগের পতনের পর সেই অন্ধকার অধ্যায় থেকে বেরিয়ে এসে জামায়াত যেন আবারও ফিরে পেয়েছে রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা ও জনসম্পৃক্ততা। নতুন নেতৃত্ব, নীতি ও সংগঠনের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে দলটি এখন শুধু ইসলামপন্থী ভোটার নয়, বরং মধ্যবিত্ত, তরুণ ও নারী সমাজের মাঝেও জায়গা করে নিতে শুরু করেছে। এর আগে বিরোধী দলে গেলেও মানবিক ও কল্যাণমূলক কাজে অংশ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোক না কেন, দেশের কল্যাণে প্রত্যেকটি ভালো কাজে জামায়াত অংশ নেবে। সম্প্রতি সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, একটি বন্ধু সংগঠন বলেছে, তারা ক্ষমতায় গেলে জামায়াত ছাড়া সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করবে। কিন্তু আল্লাহ যদি আমাদেরকে জনগণের ভালোবাসায় নির্বাচিত করেন, আমরা তাদেরকেও সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠন করব। তিনি বলেন, যদি আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের বিরোধী দলে বসতে হয়, আমরা তাদের আশ্বস্ত করছি-প্রত্যেক মানবিক ও ভালো কাজে আমরা তাদের কর্মী হয়ে কাজ করব। এতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে তারা যদি সরকারে গিয়ে পুরোনো কায়দায় উল্টাপাল্টা কিছু করে, আগে ব্যক্তিগতভাবে বলব ‘এটা ছেড়ে দিন’। যদি সংশোধন না হয়, তাহলে যেমন আগে আন্দোলন করেছি, ভবিষ্যতেও ছাড় দেওয়া হবে না।
দলীয় সূত্রমতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরসহ বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসব নৈরাজ্য প্রতিরোধ, জনমনে স্বস্তি ফেরানো এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ছাত্র আন্দোলনে আহতদের খোঁজ নেওয়া ও মন্দির পাহারার পাশাপাশি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মাইকিং, শান্তি সমাবেশ, মতবিনিময় সভা, লিফলেট বিতরণ, সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি গঠনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন তারা। ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে খাওয়ার পানি, দুপুরের খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ড করছে দলটি। পাশাপাশি আতঙ্কিত নাগরিকদের মাঝে স্বস্তি ফেরাতে সচেতনতামূলক প্রচার ও গণসংযোগ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ছাত্রশিবিরও সারা দেশে হিন্দুদের মন্দির পাহারা, শহর পরিষ্কারসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। মূলত জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার লক্ষ্য নিয়ে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে আসছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে তারা শরিক হয়েছিল। আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই যোগ্য, জনপ্রিয় প্রার্থী দিয়ে এককভাবে নির্বাচন করার পরিকল্পনা তাদের। তারা এমনও আশা করছে, দেশের জনগণ তাদের সরকার গঠনের মতো আসনে বিজয়ী করতেও পারে। তাদের এই প্রত্যাশার ভিত্তি প্রধানত বিগত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সরকার নিয়ে দেশের মানুষের অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা সাধারণভাবে সুখকর ছিল না। সব সরকারের সময়ই তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে দেশের মানুষ। অবশিষ্ট আছে কেবল জামায়াতে ইসলামী ও তার নেতৃত্বাধীন ইসলামি দলগুলো। ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে জামায়াত আগেই জোট গঠন করে। অবশ্য এই জোট ছিল বিগত সরকারের পতন ঘটানোর আন্দোলনের। সরকারের পতন ঘটার পর আগামী দিনের রাজনীতি, বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন জামায়াতের নেতারা। সমমনা ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
সূত্র জানায়, দলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক অভিযোগ এবং শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও বিগত সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে ব্যাপক কোণঠাসা হয়ে যায় জামায়াত। এরপর প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দেয়। পরে গোপনেই সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে জামায়াতে ইসলামী। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবারও নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে জামায়াত। দলটির নেতাদের মতে, একসময় বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা থাকলেও সেসব ছাপিয়ে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছেন তারা। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতারা সারা দেশে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পরিবর্তিত সময়, নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব এবং বাস্তবমুখী রাজনৈতিক কৌশলের কারণে আসন্ন নির্বাচনের অঙ্কে জামায়াত এবার এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠতে পারে। ইসলামী জোটের কারণে বিএনপিকে টেক্কা দিয়ে বাগিয়ে নিতে পারে ক্ষমতাও। ইসলামী দল বা জামায়াত ক্ষমতায় আসলে নারীদের চলাচল বা স্বাধীনতা হরণ হবে এমন কথা ছড়িয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যদিও দলটি নারী ভোট ব্যাংক বাড়াতে বিশেষভাবে কাজ করছে। কর্মজীবী নারীদের জন্য স্বস্তিকর পরিবেশ, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও সামাজিক নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি পর্দা ইস্যুতে কঠোর অবস্থান না নিয়ে বাস্তবমুখী ও সহনশীল দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলছে জামায়াত। ইতোপূর্বে ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, আমাদের বদনাম দেওয়া হয় যে, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নাকি নারীদের ঘরে তালা দিয়ে রাখবে। কিন্তু এত তালা কেনার টাকা কোথায়? বর্তমান সময়ে জামায়াতের উপর দেশের মানুষের আস্থা বাড়ছে। তাদের দারুণ সব কার্যক্রম এবং সামাজিক বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে মানুষের ভিতরে আস্থা তৈরি করেছে দলটি। সারাদেশে নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা এবং দলীয় নির্দেশনায় শান্তি বজায় রাখতে ৫ আগস্টের পর থেকে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখায় মানুষ আস্থায় নিয়েছে- ফলাফল হয়তো পাওয়া যাবে জাতীয় নির্বাচনে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের আরেকটি দিক হলো সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রতি নতুন বার্তা। দলটি বলছে, নীতিতে পরিবর্তন এসেছে, হিন্দু নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই অবস্থান যদি বিশ্বাসযোগ্য হয়, তবে হিন্দু ভোটারদের একটি অংশও এবার জামায়াতের দিকে ঝুঁকতে পারে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজে ঐক্যের আহ্বানও জামায়াতের রাজনৈতিক কৌশলের কেন্দ্রে। ইসলামী জোটগুলোর সঙ্গে সমন্বয় এবং মুসলিম ভোট বিভাজন ঠেকাতে ঐক্যের বার্তা দিয়ে তারা একটি বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায়। দলটির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও প্রার্থীদের আচরণও ইতিবাচক আলোচনায় এসেছে। প্রার্থীদের নম্রতা, মাঠের শৃঙ্খলাবোধ এবং দলীয় কাঠামোর ঐক্য অনেক ভোটারের কাছে জামায়াতকে ‘গোছানো ও সংগঠিত দল’ হিসেবে উপস্থাপন করছে। তাছাড়া দেশের বড় সংখ্যাক মানুষ এখন ভুগছে চাঁদাবাজিসহ নানান সমস্যা মহামারি আকার ধারণ করেছে। তবে এসব থেকে অনেকটা দূরে রয়েছে এই দলটি- যা মানুষের মাঝে দারুণভাবে সাড়া ফেলেছে। এবারের নিরব ব্যালোট বিপ্লব ঘটাতে পারে জামায়াতসহ ৮ দলীয় জোট। বেকারত্ব, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি দূর করার প্রতিশ্রতি জামায়াতের নির্বাচনী ইশতেহারে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। দলটি বলছে, ক্ষমতায় গেলে সৎ, দক্ষ ও জনবান্ধব নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে, মসজিদভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলবে এবং ঘোষিত ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে কঠোর থাকবে। সব মিলিয়ে নারী, তরুণ, সংখ্যালঘু ও ধর্মভিত্তিক ভোটের জোট গড়ে তোলা এবং নতুন প্রজন্মের পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব সামনে আনা-এই সমন্বিত প্রচেষ্টা যদি মাঠে বাস্তব রূপ পায়, তবে জামায়াত রাজনীতির নতুন সমীকরণে ক্ষমতার দ্বারেও পৌঁছাতে পারে-এমনই ইঙ্গিত মিলছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আলোচনায়।
এ বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী সব সময় জনকল্যাণে কাজ করেছে এবং এখনো করছে। আমরা এত দিন স্বাভাবিকভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ পাইনি। আল্লাহ দীর্ঘদিন পর হলেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে মুক্ত করেছেন। আমরা দেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই এগিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলছেন, জামায়াত ক্ষমতায় যেতেই পারবে না। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কথা বলেন। এর আগে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার আশা প্রকাশ করেছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেছিলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির যেভাবে জয়ী হয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তেমন ‘নীরব ভোটবিপ্লব’ হবে। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ফেসবুকে লিখেছেন, জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। কেন তা মনে করছেন, তার ব্যাখ্যায় তিনি লেখেন, দলটির রাজনৈতিক দর্শন ও অতীত আচরণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মানচিত্র ও জাতীয় চেতনার পরিপন্থী। তারা যতবার ইতিহাসের মঞ্চে ফিরে আসতে চেয়েছে, ততবারই জনগণের অন্তর থেকে প্রতিধ্বনি উঠেছে। এই দেশকে আর ‘অন্ধকারে’ ফেরানো যাবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে সামনের কাতারে থাকা তরুণদের দল এনসিপির সঙ্গে শুরুতে নানা প্রশ্নে জামায়াতের মিল থাকলেও জুলাই সনদে জামায়াতের স্বাক্ষর করা এবং এনসিপির স্বাক্ষর না করার পর দৃশ্যপট বদলে গেছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স