ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

দাগী বড়লোকদের গলায় পা দিয়ে কর দিতে বাধ্য করেন : ইনু

  • আপলোড সময় : ০৯-০৬-২০২৪ ০৮:১৫:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৬-২০২৪ ০১:১১:২৭ পূর্বাহ্ন
দাগী বড়লোকদের গলায় পা দিয়ে কর দিতে বাধ্য করেন : ইনু
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, যারা ধনী ও সামর্থ্যবান, তাদের করের জালে আনেন। দাগী বড়লোকদের গলায় পা দিয়ে কর দিতে বাধ্য করেন। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) আয়োজিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দাগী ঋণখেলাপিদের বিশেষ ট্রাইবুনালে নিয়ে তড়িঘড়ি করে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ইনু। তিনি বলেন, উপজেলায় রাজস্ব অফিস নেই কেন? একটা ইউনিয়নে পাঁচটা গ্রোথ সেন্টার আছে। ইউনিয়নে যারা স্থায়ী দোকান নিয়ে ব্যবসা করে, তাদের কর জালে আনেন। সেখানে লাখো কোটি টাকা রাজস্ব বাড়াতে পারেন। তিনি আরও বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের যে ধাক্কায় আমরা বিপর্যস্ত এবং বাজারে নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্য ডলার সংকট, সুদের হারের গন্ডগোল, ব্যাংকের বিশৃঙ্খলা, রাজস্ব আনয়নে ধীরগতি এবং সমগ্র অর্থনীতিতে যে অনাস্থা ভাব ও অর্থনীতিতে যে শাসন প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, সবকিছু মিলিয়ে একটা অর্থনৈতিক সংকট সময় পার করছি। এসব ধাক্কা সামলানোর বাজেট আমরা আশা করেছিলাম। এই বাজেটে অর্থমন্ত্রী সব সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু আমি যখন পাতার পর পাতা দেখি, তখন এর কোনও সমাধান খুঁজে পাইনি। শুধু কিছু বরাদ্দের হেরফের দেখি আর কিছু নেই। এটা ছিল ধাক্কা সামলানোর বাজেট উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটাকে আমি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বাজেট বলবো। এবার প্রবৃদ্ধি ধরেছে। কী দরকার ছিল প্রবৃদ্ধি ধরার? আমাদের তো দরকার মূল্যস্ফীতি কমানো। সবাই জানে যে বেশি টাকা খরচ করলে বাজারে টাকা যাবে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। প্রবৃদ্ধি বেশি না বাড়িয়ে প্রকল্প কাটছাঁট করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা খাতে টাকা বাড়িয়ে মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনা যেতো। উন্নয়নের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে লোক দেখানো ফুটানি। তিনি বলেন, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের জন্য ক্রাইসিস স্টেপ লাগে। একই সঙ্গে বলবো, অর্থনীতির সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক আছে। আপনি বলছেন আধুনিক অর্থনীতি চাই আর আরেক পক্ষ বলছে, এখানে তালেবানি শাসন চাই। আধুনিক অর্থনীতি চান আবার বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে মিছিল এলাও করছেন। এটা কী? এভাবে চলবে বাংলাদেশ? আপনি আধুনিক শিক্ষানীতি করতে দেবেন না, তাহলে আধুনিক অর্থনীতি কীভাবে হবে? সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের পরিচালক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এখন আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের অনেক মুদি দোকানেও বছরে কোটি টাকার লেনদেন হয়। তাই আমাদের এখন উপজেলা পর্যায়েও কর অফিসগুলো নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন এসেছে। তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থার সংশোধন ছাড়া মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব হবে না। তাই আমাদের বাজার নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য আরও ব্যয় বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার আনেন, তার থেকে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার আনেন প্রবাসী শ্রমিকরা। তাই এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্যে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট সাধারণ মানুষের কাছে বাজেট মানে আতঙ্ক। সাধারণ মানুষ কোন জিনিসের দাম কতটুকু বাড়বে, তাদের জীবনযাপন ব্যয় কতটুকু বাড়বে, এগুলো নিয়ে চিন্তিত। এ সময় ব্যক্তিমালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে উৎপাদন হোক বা না হোক, ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়ার চুক্তি সংশোধন করে ‘নো প্রোডাকশন নো চার্জ’ চুক্তি করা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধ করা, সামাজিক সুরক্ষা বাস্তবায়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণে জিডিপির ২ শতাংশ ও জাতীয় বাজেটের ৮ শতাংশ বরাদ্দ এবং মোবাইল ফোনের টকটাইম-ইন্টারনেট ডাটার ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স