ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫ , ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ফের আইটেম গানে নাচবেন তামান্না সম্মানসূচক পাম ডি’অর পাচ্ছেন রবার্ট ডি নিরো মালাইকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সিআইডিতে আসছে নতুন এসিপি বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানি গায়িকা আইমা বেগ হলে বাড়লো জংলির শো ছেলেকে নিয়ে ছুটি কাটাতে সিঙ্গাপুরে অপু নতুন ছবি নিয়ে পর্দায় আসছেন মোশাররফ করিম সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নির্দেশ মাউশির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘরে ঢ়ুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা মোদির মতো নেতাকে ছুড়ে ফেলার বিকল্প নেই -সারজিস আট মাসের শিশুকে অপহরণের পর বিক্রি, ৮ দিন পর যশোর থেকে উদ্ধার ঈদযাত্রার ১১ দিনে সড়কে ঝরল ২৪৯ প্রাণ নওগাঁ বাড়ির ভেতরে মিললো ভাইবোনের মরদেহ পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ নয় জাটকা সংরক্ষণের আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যা মামলায় আরসা প্রধানসহ ১০ জন কারাগারে মার্চে ৪৪২ নারী নির্যাতনের শিকার, ধর্ষণ ১৬৩ -মহিলা পরিষদ ১০ এপ্রিলের মধ্যে যোগদানের নির্দেশ প্রধান শিক্ষকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে স্টার্টআপ খাতে ৯০০ কোটি টাকার তহবিল সবার অংশগ্রহণে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের প্রচেষ্টা -আলী রীয়াজ

দাগী বড়লোকদের গলায় পা দিয়ে কর দিতে বাধ্য করেন : ইনু

  • আপলোড সময় : ০৯-০৬-২০২৪ ০৮:১৫:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৬-২০২৪ ০১:১১:২৭ পূর্বাহ্ন
দাগী বড়লোকদের গলায় পা দিয়ে কর দিতে বাধ্য করেন : ইনু
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, যারা ধনী ও সামর্থ্যবান, তাদের করের জালে আনেন। দাগী বড়লোকদের গলায় পা দিয়ে কর দিতে বাধ্য করেন। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) আয়োজিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দাগী ঋণখেলাপিদের বিশেষ ট্রাইবুনালে নিয়ে তড়িঘড়ি করে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ইনু। তিনি বলেন, উপজেলায় রাজস্ব অফিস নেই কেন? একটা ইউনিয়নে পাঁচটা গ্রোথ সেন্টার আছে। ইউনিয়নে যারা স্থায়ী দোকান নিয়ে ব্যবসা করে, তাদের কর জালে আনেন। সেখানে লাখো কোটি টাকা রাজস্ব বাড়াতে পারেন। তিনি আরও বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের যে ধাক্কায় আমরা বিপর্যস্ত এবং বাজারে নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্য ডলার সংকট, সুদের হারের গন্ডগোল, ব্যাংকের বিশৃঙ্খলা, রাজস্ব আনয়নে ধীরগতি এবং সমগ্র অর্থনীতিতে যে অনাস্থা ভাব ও অর্থনীতিতে যে শাসন প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, সবকিছু মিলিয়ে একটা অর্থনৈতিক সংকট সময় পার করছি। এসব ধাক্কা সামলানোর বাজেট আমরা আশা করেছিলাম। এই বাজেটে অর্থমন্ত্রী সব সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু আমি যখন পাতার পর পাতা দেখি, তখন এর কোনও সমাধান খুঁজে পাইনি। শুধু কিছু বরাদ্দের হেরফের দেখি আর কিছু নেই। এটা ছিল ধাক্কা সামলানোর বাজেট উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটাকে আমি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বাজেট বলবো। এবার প্রবৃদ্ধি ধরেছে। কী দরকার ছিল প্রবৃদ্ধি ধরার? আমাদের তো দরকার মূল্যস্ফীতি কমানো। সবাই জানে যে বেশি টাকা খরচ করলে বাজারে টাকা যাবে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। প্রবৃদ্ধি বেশি না বাড়িয়ে প্রকল্প কাটছাঁট করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা খাতে টাকা বাড়িয়ে মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনা যেতো। উন্নয়নের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে লোক দেখানো ফুটানি। তিনি বলেন, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের জন্য ক্রাইসিস স্টেপ লাগে। একই সঙ্গে বলবো, অর্থনীতির সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক আছে। আপনি বলছেন আধুনিক অর্থনীতি চাই আর আরেক পক্ষ বলছে, এখানে তালেবানি শাসন চাই। আধুনিক অর্থনীতি চান আবার বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে মিছিল এলাও করছেন। এটা কী? এভাবে চলবে বাংলাদেশ? আপনি আধুনিক শিক্ষানীতি করতে দেবেন না, তাহলে আধুনিক অর্থনীতি কীভাবে হবে? সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের পরিচালক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এখন আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের অনেক মুদি দোকানেও বছরে কোটি টাকার লেনদেন হয়। তাই আমাদের এখন উপজেলা পর্যায়েও কর অফিসগুলো নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন এসেছে। তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থার সংশোধন ছাড়া মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব হবে না। তাই আমাদের বাজার নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য আরও ব্যয় বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার আনেন, তার থেকে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার আনেন প্রবাসী শ্রমিকরা। তাই এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্যে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট সাধারণ মানুষের কাছে বাজেট মানে আতঙ্ক। সাধারণ মানুষ কোন জিনিসের দাম কতটুকু বাড়বে, তাদের জীবনযাপন ব্যয় কতটুকু বাড়বে, এগুলো নিয়ে চিন্তিত। এ সময় ব্যক্তিমালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে উৎপাদন হোক বা না হোক, ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়ার চুক্তি সংশোধন করে ‘নো প্রোডাকশন নো চার্জ’ চুক্তি করা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধ করা, সামাজিক সুরক্ষা বাস্তবায়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণে জিডিপির ২ শতাংশ ও জাতীয় বাজেটের ৮ শতাংশ বরাদ্দ এবং মোবাইল ফোনের টকটাইম-ইন্টারনেট ডাটার ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স