ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ , ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
৫ মামলায় সাবেক মেয়র আইভীর জামিন স্থগিত এলএনজি আমদানি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করবে-আইইএ ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩৯ জন একটি বড় দল সংস্কার থেকে সরে গেছে-নাসীরুদ্দীন ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি থেকে গুলিসহ ২ শটগান উদ্ধার ঢাবি’র ৫ স্থাপনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তালা জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে ডেমরায় মানববন্ধন রাজধানীতে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা গ্রেফতার ২ আত্মসমর্পণের পর বন কর্মকর্তা কারাগারে চট্টগ্রাম বন্দরের বিপজ্জনক পণ্যের কনটেইনার ধ্বংসের উদ্যোগ আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত : প্রধান উপদেষ্টা আ’লীগের নৈরাজ্যের জবাব দিতে প্রস্তুত ছাত্রশিবির শীর্ষ সন্ত্রাসী রনির পরিকল্পনায় মামুন হত্যা আ’লীগ ও জাপাকে ভোটের বাইরে রাখার দাবি গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিবেশী দুই দেশ থেকে আসছে অস্ত্র বিচার বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে-প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ জানা যাবে আজ ১১ মাসে এসেছে বাংলাদেশে ১ লাখ ৩৬ হাজার নতুন রোহিঙ্গা অরাজকতার পথে হাঁটছে দেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কাজ করবে ব্র্যাক-এসএমই ফাউন্ডেশন
অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড

  • আপলোড সময় : ০৭-১১-২০২৫ ০৭:০৬:১০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-১১-২০২৫ ০৭:০৬:১০ অপরাহ্ন
গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। আইনে গুম করার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর সাজার বিধান রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য একটা আইন নিয়ে অনেকদিন যথেষ্ট ডিবেট হয়েছে। এরপর আজকে (বৃহস্পতিবার) এটা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়নের পাশাপাশি চলমান অপরাধ, কন্টিনিউ অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন, যা আয়নাঘর নামে পরিচিত, তা ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুম প্রতিকারের লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভো-সুাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চয়তা প্রদান সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, গুম প্রতিরোধ প্রতিকার এবং সুরক্ষার উদ্দেশ্যে তহবিল গঠন এবং তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠার বিধানও সংযোজিত হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, মিটিংয়ে বৃহস্পতিবার কয়েকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়া এবং চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। জাতীয় নগরনীতি নিয়ে একটু আলাপ হয়েছে। এই বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। আর আজকে আগামী বছর ২০২৬-এর সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন হয়েছে। তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে বৃহস্পতিবার। শেখ হাসিনার সময় বাংলাদেশে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে গুম হয়েছে। তার মধ্যে গুম বিষয়ক যে কমিশন করা হয়েছে, সেখানে অভিযোগের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার এবং ওই কমিশনে যারা মেম্বার আছেন, তারা তাদের রিপোর্টে বারবার বলছেন যে এটার সংখ্যা ৪০০-এর উপরে হবে। আর দেশে শত শত আয়নাঘর ছিল, সেখানে এদেরকে রাখা হতো। অনেকে যারা গুম হয়েছেন, কেউ কেউ ফিরে এসেছেন, আবার অনেকে ফিরে আসেননি। আপনি জানেন বিএনপির অনেক কর্মী এখনো ফিরে আসেননি। তিনি আরও বলেন, গুম সংক্রান্ত একটি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন আছে। যেটার নাম হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোরস ডিসএপিয়ারেন্স। গত বছর ২৯ আগস্ট বাংলাদেশের উপদেষ্টা পরিষদ এটার এপ্রুভ করেছেন। বাংলাদেশ এটার অংশীদার হয়েছে। অংশীদারের এই কনভেনশনকে ফলো করে অধ্যাদেশটা তৈরি করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক আইন। এর ফলে বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার এসে গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না। দেশে কোনো আয়নাঘর তৈরি হবে না।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স