ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫ , ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সাঁথিয়ায় সোতি জালে বাধাগ্রস্ত পেঁয়াজের আবাদ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ নির্বাচনে আগে সহিংসতার শঙ্কা নিয়ে আইআরআই’র সঙ্গে একমত সরকার সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থ রাজনৈতিক দলগুলো ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা তদারকিতে মাঠে নামছে ডিএসসিসি মিথ্যা মামলার বাদীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীলতায় হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধনসহ সাত জন ১০ দিনের রিমান্ডে গাজীপুরে ৩৭ রোগাক্রান্ত ঘোড়াসহ বিপুল পরিমাণ ঘোড়ার মাংস জব্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬-এ লড়বেন জোনায়েদ সাকি ভাড়া বেশি নিলে তিনগুণ ক্ষতিপূরণ টিকিট কারসাজিতে ৫ বছরের জেল এনা পরিবহনের বাস জব্দের দাবি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ৭ নভেম্বরের বিপ্লবই দেশের অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিল-নজরুল গবেষণায় আগ্রহী হচ্ছে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেগা প্রকল্পের পরিবর্তে মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে হবে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জ্বালানির অভাবে ১৩৫ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ১৫টির উৎপাদন বন্ধ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পাশাপাশি উন্নত অবকাঠামো চায় বন্দর রাষ্ট্রপতির কাছে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি

সাঁথিয়ায় সোতি জালে বাধাগ্রস্ত পেঁয়াজের আবাদ

  • আপলোড সময় : ০৭-১১-২০২৫ ১২:০২:২৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-১১-২০২৫ ১২:০২:২৬ পূর্বাহ্ন
সাঁথিয়ায় সোতি জালে বাধাগ্রস্ত পেঁয়াজের আবাদ
সাঁথিয়ায় প্রতিনিধি
সোতি জালে বাধাগ্রস্ত পেঁয়াজের আবাদ জমিতে ধান কাটতে দেরি হচ্ছে। ফলে সেখানে পেঁয়াজসহ অন্য রবিশস্যের আবাদ করতে পারছেন না। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাগেশ্বরী নিষ্কাশন খালে বসানো হয়েছে অবৈধ সোতিজালের ঘের। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় করমজা ইউনিয়নে বড়গ্রাম দত্তপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রধান নিষ্কাশন খালের জায়গায় বাঁশের ঘের তৈরি করে সোতি জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উপজেলার অন্তত ১৫টি বিলের প্রায় ১০ হাজার বিঘা আমনের খেত জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এসব জমিতে ধান কাটতে দেরি হচ্ছে। ফলে সেখানে পেঁয়াজসহ অন্য রবিশস্যের আবাদ করতে পারছেন না। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, কাগেশ্বরী নদীকে ১৯৯২ সালে প্রধান নিষ্কাশন খালে (ডি-২) রূপান্তরিত করা হয়। এই নদীর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে উপজেলার অন্তত ১৫টি বিলের। বর্ষা মৌসুমে এসব বিলসহ উপজেলার নিচু এলাকার পানি ওই খালের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এসব খালে আমন ধান কেটে পেঁয়াজসহ রবিশস্যের আবাদ করা হয়। কৃষকরা জানান, প্রতিবছর অক্টোবরের শেষেরদিকে জমি থেকে পানি নেমে যায়। কিন্তু এ বছর উপজেলার নন্দনপুর, গৌরীগ্রাম, করমজা, কাশীনাথপুর ও ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ২৫টির বেশি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার বিঘা আমন খেতে এখনো ১ থেকে ৬ ফুট পানি জমে আছে।
সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, প্রধান নিষ্কাশন খালের করমজা ইউনিয়নের বড়গ্রামের দত্তপাড়া খালে  বাঁশ, পলিথিন ও চাটাই দিয়ে বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে। সেই বেড়ার সঙ্গে সোতি জাল স্থাপন করে অবাধে পোনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আকারের মাছ ধরা হচ্ছে। বেড়ার কারণে পানিনিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলার আফড়া গ্রামের কৃষক নেকবার সরদার বলেন, ‘পেঁয়াজ আবাদের সময় পার হয়া যাতেছে। কিন্তু জমিতে পানি থাকায় আমাগরে গ্রামের কেউই তা আবাদ করব্যার পারতেছি না। তা ছাড়া জমির আমন ধান পাকার পরে তা-ও কাটব্যার পারতেছি না।’
এলাকার কৃষকেরা জানান, সোতি জালের ঘের নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা স্থানীয় প্রভাবশালী। ফলে ভয়ে তারা ঘেরমালিকদের কিছু বলতে পারছেন না। প্রশাসনের উদ্যোগে ঘেরগুলো উচ্ছেদ করার দাবি জানান তাঁরা।
করমজা ইউনিয়নের বড়গ্রাম দত্তপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, নিষ্কাশন খালের আড়াআড়ি জুড়ে বাঁশ, পলিথিন, চাটাই ও সূক্ষ্ম জালের সাহায্যে বেড়া দিয়ে সোতি জালের ঘের বোনানো হয়েছে। পানিপ্রবাহের জন্য মাত্র কয়েক ফুট জায়গা রাখায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানিনিষ্কাশন। বড়গ্রাম দত্তপাড়া এলাকার বক্স মণ্ডলের ছেলে রাজু, বয়েজ খাঁর ছেলে আশরাফ আলী,  রেজাউল খাঁর ছেলে আবুল খাঁ, আল মাহমুদ মোল্লার ছেলে বাশার মোল্লা সোতি জালের ঘের নির্মাণ করেছেন। তারা বলেন, বর্ষা শেষে বিলের পানি বের হওয়ার সময় এই এলাকায় বছরের পর বছর ধরে সোতি জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। সেই হিসাবে অন্যদের মতো তিনিও সোতি জাল বসিয়েছেন। আর সোতি জালের কারণে বিলের পানি বের হতে সমস্যা হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

নির্বাচনে আগে সহিংসতার শঙ্কা নিয়ে আইআরআই’র সঙ্গে একমত সরকার

নির্বাচনে আগে সহিংসতার শঙ্কা নিয়ে আইআরআই’র সঙ্গে একমত সরকার