ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫ , ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সাঁথিয়ায় সোতি জালে বাধাগ্রস্ত পেঁয়াজের আবাদ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ নির্বাচনে আগে সহিংসতার শঙ্কা নিয়ে আইআরআই’র সঙ্গে একমত সরকার সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থ রাজনৈতিক দলগুলো ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা তদারকিতে মাঠে নামছে ডিএসসিসি মিথ্যা মামলার বাদীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীলতায় হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধনসহ সাত জন ১০ দিনের রিমান্ডে গাজীপুরে ৩৭ রোগাক্রান্ত ঘোড়াসহ বিপুল পরিমাণ ঘোড়ার মাংস জব্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬-এ লড়বেন জোনায়েদ সাকি ভাড়া বেশি নিলে তিনগুণ ক্ষতিপূরণ টিকিট কারসাজিতে ৫ বছরের জেল এনা পরিবহনের বাস জব্দের দাবি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ৭ নভেম্বরের বিপ্লবই দেশের অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিল-নজরুল গবেষণায় আগ্রহী হচ্ছে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেগা প্রকল্পের পরিবর্তে মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে হবে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জ্বালানির অভাবে ১৩৫ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ১৫টির উৎপাদন বন্ধ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পাশাপাশি উন্নত অবকাঠামো চায় বন্দর রাষ্ট্রপতির কাছে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি

গবেষণায় আগ্রহী হচ্ছে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

  • আপলোড সময় : ০৬-১১-২০২৫ ০৬:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-১১-২০২৫ ০৬:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন
গবেষণায় আগ্রহী হচ্ছে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
দেশের বেসরকারি অর্ধশতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ই গবেষণায় আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে ওই খাতে প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো টাকা খরচ করছে না। বর্তমানে ১১৬টিবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।আর ২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১১০টি। তখন সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেনি এবং চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা ৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশির গবেষণায় আগ্রহ দেখা যায়নি। যদিও ওই সময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় তিন লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জনশিক্ষার্থী ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রথাগত পড়ালেখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো অনেক কাজ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ হলো জ্ঞান সৃষ্টি ও গবেষণা এবং জ্ঞান বিতরণ ও সংরক্ষণ। তার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে জ্ঞানের সীমানা প্রসারিত করা হয় এবং মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাছাড়া বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করাও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই গবেষণা নিয়ে খুব একটা ভাবে না। তারা শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি ও তাদের সনদ দেয়ায় ব্যস্ত। কে কতটুকু শিখতে পারল সেদিকে নজর নেই। পাস করা শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে যুক্ত হতে পারল কি না সে ব্যাপারেও তাদের খেয়াল নেই।
সূত্র জানায়, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলোচনাক্রমে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। তাতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সমস্যা ও চাহিদার কথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জানাতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণার মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি উদ্ভূত সমস্যার উপায় বের করে দেবে।  ফলে বিশ্ববিদ্যালয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পাবে এবং পণ্যের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। এ ধরনের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে রাষ্ট্রের বাজেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে পারবে।
সূত্র আরো জানায়,ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ ৬৪ কোটি টাকারও বেশিব্যয় করেছে। তাছাড়া নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস গবেষণা খাতে জোর দিয়েছে। তারা ধারাবাহিকভাবে গবেষণা খাতে ব্যয় বাড়াচ্ছে। অথচ ২০ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতেএক টাকাও ব্যয় করেনি। আর এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করেছে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়। আর পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এর চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে নাম ওঠানোর জন্য নামকাওয়ান্তে কিছু ব্যয় দেখিয়েছে, যা মূলত গবেষণা খাতের ব্যয় নয়।২০২৩ সালে গবেষণায় এক টাকাও ব্যয় না করা আরো বিশ্ববিদ্যালয় হলো ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ, আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি, জেড. এন. আর. এফ. ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, আহসানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি এবং চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি।
এদিকে বিগত ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে চার হাজার ৮৮ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। অথচ ২০২৩ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণা খাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি। একই অবস্থা ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত সিটি ইউনিভার্সিটিও। বর্তমানে ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঁচ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষার্থী থাকলেও তারাও গবেষণায় কোনো অর্থ ব্যয় করেনি। পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্য পিপল’স ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও গবেষণায় কোনো অর্থ ব্যয় করেনি।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, গবেষণা খাতে আগে খুব করুণ অবস্থা ছিল। ইউজিসি এখন এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেটের কমপক্ষে ২ শতাংশ গবেষণা খাতে ব্যয় করতে হবে। এটা সব বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাজও শুরু করেছে।  আশা করা যায় ২০২৬ সালে গবেষণা খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। আসলে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। ইউজিসি তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
নির্বাচনে আগে সহিংসতার শঙ্কা নিয়ে আইআরআই’র সঙ্গে একমত সরকার

নির্বাচনে আগে সহিংসতার শঙ্কা নিয়ে আইআরআই’র সঙ্গে একমত সরকার