ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সেন্টমার্টিনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন খাদ্য ও জ্বালানি সংকট ফ্যাসিবাদী রাজনীতির শূন্যস্থান পূরণের অপচেষ্টায় জামায়াত-শিবির ঈদের পর রাজপথ কাঁপাবে জামায়াত টানা বৃষ্টিতে লোকালয়ে ঢুকছে পানি জুলাই আন্দোলনে ১৬৮ পথশিশু নিহত: লিডো গ্যাস সংকট নিয়ে শিল্প মালিকদের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা ২ জুন বিএনপিকে যমুনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত করেছে সৌদি আরব পর্দার অন্তরালে ত্রিমুখী আলোচনায় নির্বাচন সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি পেলো আরও ৫২ প্রতিষ্ঠান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা আম উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে : কৃষি সচিব বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ আটক ৮ ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক যশোরের শার্শা সীমান্তে বিদেশি অস্ত্রসহ দুই ব্যবসায়ী আটক শৈশবের ক্লাবে ফিরে গেলেন ডি মারিয়া

বরাদ্দকৃত সেতু অকেজো কেন?

  • আপলোড সময় : ০৮-০৬-২০২৪ ১০:৪৬:০৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৬-২০২৪ ১০:৪৬:০৩ অপরাহ্ন
বরাদ্দকৃত সেতু অকেজো কেন?
আশা রানি ঘোষ
উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা করা হয় জনজীবনের উন্নয়নের কথা ভেবেই। উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা করতে গেলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। দেশ এবং মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, সেতু ইত্যাদিতে সরকার যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে থাকেন। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে তৈরি করা হয় উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা। যখন সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ অনার্থকে পরিণত হয় তখন বিষয়টা কেমন দাঁড়ায়? বলছি ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর কালীগঙ্গা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণের কথা।
 দুই পাশের কৃষিজমির ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে একটি সেতু হঠা দেখলে মনে হবে যেন কৃষিজমি থেকে বেরিয়েছে। জমি অধিগ্রহণ জটিলতার মধ্যে ৩৪ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা সেতুটির নেই কোনো সংযোগ সড়ক ফলে সেটি স্থানীয়দের কোনো কাজেই আসছে না। উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনযায়ী, ২০১৮ সালের দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর কালীগঙ্গা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স এবং মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ। দরপত্র অনুযায়ী ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এরই মধ্যে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও, ওই সময়ের মধ্যেও শেষ হয়নি। ৩৬৫ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ কেটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, দুই বছর আগেই সেতু নির্মাণ শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ঠিকাদার দুই পাশের সংযোগ সড়ক করতে পারছে না। দুই পাড়ে ৬৩০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে দশমিক ৯৬ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণ করার কথা ছিল। সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ শতভাগ শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ আটকে গেছে। সংযোগ সড়কের অভাবে আগের মতোই খেয়া নৌকা দিয়ে পার হচ্ছেন দুই পাড়ের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ। সেতুর দুই পাশে কোনো রাস্তা করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। এলাকার প্রায় ৫০-৬০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে যতদ্রুত সম্ভব সেতুতে যাতায়াত ব্যবস্থা করা হে।
লেখক : শিক্ষিকা
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য