পুলিশের নাকের গডায় হত্যা মামলার আসামীরা
- আপলোড সময় : ০৪-১১-২০২৫ ০২:২৯:০২ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৪-১১-২০২৫ ০২:২৯:০২ অপরাহ্ন
রাজধানীর বংশাল থানা এলাকায় প্রেমের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া সজীবের হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করছে না থানা পুলিশ। আসামীরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও মোটা অংকের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়ায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এক্ষেত্রে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নীচ তলার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান নিহত সজীবের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নিহতের বোন প্রিয়াংকা আক্তার অনিকা, শান্তা আক্তার, বোন জামাই মো. কায়কোবাদ ও ভাবি তাহমিনা তৃষাসহ অন্যান্যরা।
লিখিত বক্তব্যে শান্তা আক্তার জানান, তার ভাই সজীবের সাথে ৪/৫ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল বংশাল থানা এলাকার ৯৩/১, আগামসি লেনের বাড়ির চতুর্থ তলায় বসবাসকারী খাদিজা নামের এক মেয়ের সাথে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর খাদিজার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টিকে মেনে নেয়নি। গত ২৫ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে খাদিজার সাথে দেখা করতে ওই বাড়ির চতুর্থ তলায় অবস্থিত হাজী মো. কামাল হোসেনের বাসায় যায় সজীব। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় চতুর্থতলার খাদিজাদের বাসার সিঁড়িতে হাতে-পায়ে, গলায় ও কোমরে জিআই তার প্যেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে থাকা সজীবের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় মামলা করতে সজীবের পরিবারের সদস্যরা বংশাল থানায় গেলে থানা পুলিশ কোনো মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে মামলা গ্রহণের দাবিতে দুইদিন স্থানীয়ভাবে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হলে বংশাল থানা পুলিশ মামলা গ্রহণে সম্মত হয় কিন্তু কোনো আসামীর নাম লিখতে নিষেধ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের দাবির মুখে মামলায় খাদিজার মামা প্রবাসী হাজী মো. কামাল হোসেন ও মো. হুমায়ুন কবিরের নাম লিখা হলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের গ্রেফতারে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ (বংশাল থানার মামলা নং-১৭, তারিখ : ২৯/১০/২০২৫ ইং)। তিনি আরও জানান, সজীবের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কিছু দিন পূর্বে খাদিজার মামা হাজী মো. কামাল হোসেন সজীবের পিতাকে জানায় সজীব যদি খাদিজার সাথে সম্পর্ক রাখে তাহলে তার ছেলেকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছিল। এছাড়াও পরবর্তীতে জানতে পারেন মামলার আসামী খাদিজার মামা প্রবাসী হাজী মো. কামাল হোসেন মামলা দায়েরের পর বংশাল থানায় গিয়ে ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ১ লাখ টাকা দিয়েছে। আরও টাকা দেয়া হবে বলে সে বিদেশে না যাওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করে এসেছে। এমতাবস্থায় মামলার আসামীরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং থানা পুলিশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলেও আসামীদের গ্রেফতারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
স্টাফ রিপোর্টার