ঢাকা , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ , ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এই সরকার দিয়ে কোনো অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়-ডা. তাহের লাখো মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে যারা ধর্মের নামে রাজনীতির ব্যবসা করে, তাদের হাতে নারীরা নির্যাতিত-সালাহউদ্দিন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না-প্রধান উপদেষ্টা নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে ভুল হবে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকালীন ডিসি নিয়োগ পুলিশ দেখে ফেলে যাওয়া প্রাইভেটকারে মিললো এক লাখ পিস ইয়াবা তিন মাসে আয়ে প্রবৃদ্ধি তবুও তিতাসের লোকসান ২৪৯ কোটি টাকা প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখেই তরুণের আত্মহত্যা দুই দশকে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা আটগুণ বৃদ্ধি মুন্সিগঞ্জের ভাষানচর বালুমহল ইজারা ঘিরে অভিযোগ, হয়রানি বন্ধে তদন্তের দাবি কৃষি গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শুরু ২৫ নভেম্বর, পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি ভয়াবহ দুর্ভোগ হানিফ ফ্লাইওভারে! যৌনাচারের অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক গ্রেফতার ইসলামী ব্যাংক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্বাচনের আগে গণভোট চায় ৮ দল আমি পাশে না দাঁড়ালে গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক স্থাপনা থাকতো না-কাদের সিদ্দিকী স্কুলে ভর্তিতে কোটা নিয়ে আপত্তি অভিভাবকদের দেশে দ্রুত কমছে খাদ্যের মজুত ট্রাভেল এজেন্সি অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবি

ডট বলের বেড়াজালে বাংলাদেশ

  • আপলোড সময় : ৩০-১০-২০২৫ ১০:৩৩:৫১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-১০-২০২৫ ১০:৩৩:৫১ অপরাহ্ন
ডট বলের বেড়াজালে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিটি বলেরই মূল্য। সীমিত ওভারের এই ফরম্যাটে যেখানে প্রতিটি রান গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা বারবার আটকে যাচ্ছেন ডট বলের ফাঁদে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলছে, মাঝের ওভারগুলোতে রান না তুলতে পারার এই দুর্বলতা দলকে হারিয়ে দিচ্ছে ম্যাচের পর ম্যাচ। এখন তাই ডট বলের সংখ্যা কমিয়ে কীভাবে ব্যাটিং উন্নত করা যায়, সেই পথ খুঁজছে বাংলাদেশ দল।
চট্টগ্রামের সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ আবারও ব্যর্থ হয় রান তুলতে। ১২০ বলের ইনিংসে লিটন দাসদের দল খেলেছে ৪৮টি ডট বল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থামে ইনিংস। প্রতিপক্ষের করা ১৪৯ রান পেরোতে পারেনি তারা। ব্যাটারদের এই ব্যর্থতায় হতাশ হয়েছেন দলের তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই জায়গায় যদি আমরা একটু ডট বলগুলো কমাতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের চাপটা একটু কম হতো। কিন্তু হয় নাই। এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, কীভাবে ডট বল আরও কম করে খেলাটাকে আগে নিয়ে যাওয়া যায়।”
প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও চিত্র ছিল প্রায় একই। ১২০ বলের ইনিংসে ৪৮টি বলেই কোনো রান আসেনি বাংলাদেশের। মাঝে রান তুলতে না পারায় শেষ ওভারগুলোতে চাপ বাড়ে ব্যাটারদের ওপর। তানজিদ মনে করেন, ধারাবাহিকতা না থাকাই এই সমস্যার মূল কারণ। তার ভাষায়, “হয়তো আমাদের জন্য একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে ব্যাটসম্যানরা ক্লিক করতে পারছি না। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, কীভাবে ধারাবাহিক হতে পারি এবং মিডল ওভারগুলোতে কীভাবে আরও স্ট্রাইক রোটেট করে খেলাটাকে বড় করতে পারি।”
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৮ বলে ৬১ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি তানজিদ। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫০ রান, কিন্তু স্বাগতিকরা করতে পেরেছে মাত্র ৩৫। জাকের আলী ও তানজিদের জুটি মিলে ৩০ বলে তুলতে পারেন মাত্র ৩২ রান। সেই জায়গাটিকেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যাওয়া সময় হিসেবে দেখছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। “আমার মনে হয় ওই জায়গায় যদি একটু বেশি রান তুলতে পারতাম, তাহলে ফলটা ভিন্ন হতে পারত,”বলেন তিনি।
অন্যদিকে বোলাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করলেও ব্যাটাররা ছন্দে ফিরতে পারছেন না। তানজিদ স্বীকার করেন, “আমাদের বোলিং ইউনিট এখন বিশ্বমানের। তারা প্রায় সব ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে সীমিত রানে আটকে রাখছে। এখন দায়িত্ব আমাদের ব্যাটারদের, কীভাবে আমরা তাদের সমানভাবে সহায়তা করতে পারি।”
বাংলাদেশ দলের সামনে এখন সবচেয়ে বড় কাজ হলো ডট বল কমিয়ে দ্রুত রান তোলার উপায় খুঁজে বের করা। তা না হলে আধুনিক টি-টোয়েন্টির গতির সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স