টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিটি বলেরই মূল্য। সীমিত ওভারের এই ফরম্যাটে যেখানে প্রতিটি রান গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা বারবার আটকে যাচ্ছেন ডট বলের ফাঁদে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলছে, মাঝের ওভারগুলোতে রান না তুলতে পারার এই দুর্বলতা দলকে হারিয়ে দিচ্ছে ম্যাচের পর ম্যাচ। এখন তাই ডট বলের সংখ্যা কমিয়ে কীভাবে ব্যাটিং উন্নত করা যায়, সেই পথ খুঁজছে বাংলাদেশ দল।
চট্টগ্রামের সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ আবারও ব্যর্থ হয় রান তুলতে। ১২০ বলের ইনিংসে লিটন দাসদের দল খেলেছে ৪৮টি ডট বল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থামে ইনিংস। প্রতিপক্ষের করা ১৪৯ রান পেরোতে পারেনি তারা। ব্যাটারদের এই ব্যর্থতায় হতাশ হয়েছেন দলের তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই জায়গায় যদি আমরা একটু ডট বলগুলো কমাতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের চাপটা একটু কম হতো। কিন্তু হয় নাই। এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, কীভাবে ডট বল আরও কম করে খেলাটাকে আগে নিয়ে যাওয়া যায়।”
প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও চিত্র ছিল প্রায় একই। ১২০ বলের ইনিংসে ৪৮টি বলেই কোনো রান আসেনি বাংলাদেশের। মাঝে রান তুলতে না পারায় শেষ ওভারগুলোতে চাপ বাড়ে ব্যাটারদের ওপর। তানজিদ মনে করেন, ধারাবাহিকতা না থাকাই এই সমস্যার মূল কারণ। তার ভাষায়, “হয়তো আমাদের জন্য একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে ব্যাটসম্যানরা ক্লিক করতে পারছি না। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, কীভাবে ধারাবাহিক হতে পারি এবং মিডল ওভারগুলোতে কীভাবে আরও স্ট্রাইক রোটেট করে খেলাটাকে বড় করতে পারি।”
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৮ বলে ৬১ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি তানজিদ। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫০ রান, কিন্তু স্বাগতিকরা করতে পেরেছে মাত্র ৩৫। জাকের আলী ও তানজিদের জুটি মিলে ৩০ বলে তুলতে পারেন মাত্র ৩২ রান। সেই জায়গাটিকেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যাওয়া সময় হিসেবে দেখছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। “আমার মনে হয় ওই জায়গায় যদি একটু বেশি রান তুলতে পারতাম, তাহলে ফলটা ভিন্ন হতে পারত,”বলেন তিনি।
অন্যদিকে বোলাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করলেও ব্যাটাররা ছন্দে ফিরতে পারছেন না। তানজিদ স্বীকার করেন, “আমাদের বোলিং ইউনিট এখন বিশ্বমানের। তারা প্রায় সব ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে সীমিত রানে আটকে রাখছে। এখন দায়িত্ব আমাদের ব্যাটারদের, কীভাবে আমরা তাদের সমানভাবে সহায়তা করতে পারি।”
বাংলাদেশ দলের সামনে এখন সবচেয়ে বড় কাজ হলো ডট বল কমিয়ে দ্রুত রান তোলার উপায় খুঁজে বের করা। তা না হলে আধুনিক টি-টোয়েন্টির গতির সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
ডট বলের বেড়াজালে বাংলাদেশ
- আপলোড সময় : ৩০-১০-২০২৫ ১০:৩৩:৫১ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩০-১০-২০২৫ ১০:৩৩:৫১ অপরাহ্ন
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস ডেস্ক